শরীর ভাল রাখার ঘরোয়া উপায়
শরীর ভালো রাখার ঘরোয়া উপায়-শরীর সুস্থ ও সকল রাখার জন্য প্রাকৃতিক এবং ঘরোয়া উপায় অত্যন্ত কার্যকর। প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে পুষ্টিকর খাবার যেমন শাকসবজি ফলমূল ও প্রচুর পানি অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।
প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে পুষ্টিকর খাবার যেমন শাকসবজি, ফলমূল ও প্রচুর পানি অন্তর্ভুক্ত করা দরকার। সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি শরীরকে সতেজ রাখে। ঘরোয়া উপায় নিয়মিত ত্বকের যত্ন, পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপ কমানো শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
পেজ সুচিপত্রঃ ভালো রাখার ঘরোয়া পদ্ধতি ও প্রাকৃতিক চিকিৎসা
- শরীর ভালো রাখার ঘরোয়া উপায়
- শরীর ভালো রাখতে হলে নিয়ম করে হাঁটতে হবে
- ভালো ঘুম ও হতে পারে শরীর ভালো রাখার অন্যতম উপায়
- শরীর ভালো রাখতে হলে শরীরে রোদ লাগাতে হবে
- ঘরে আলো বাতাস প্রবেশ করালে শরীর সুস্থ থাকে
- শরীর ভালো রাখতে হলে মাস্ক পড়তে হবে
- শরীর থেকে ঘাম ঝরালে শরীর ভালো থাকবে
- প্রচুর পানি পান করলে শরীর ভালো থাকে
- ফলমূল ও শাক-সবজি খেতে হবে শরীর ভালো রাখার জন্য
- অতিরিক্ত ওজন কমাতে হবে শরীর ঠিক রাখার জন্য
- লেখকের শেষ কথা, মন্তব্য-শরীর ভালো রাখার ঘরোয়া উপায়
শরীর ভালো রাখার ঘরোয়া উপায়
শরীর ভালো আর ঘরোয়া উপায় হিসেবে, স্বাস্থ্যকর খাদ্য কেমন দেখায় তা
ব্যক্তি পেতে আলাদা হতে পারে, এটি আপনার সংস্কৃতি, আপনি কোথায় থাকেন এবং
স্থানীয়ভাবে কোন খাবার পাওয়া যায় তার উপর নির্ভর করে। তবুও নীতিগুলি একই রকম।
লবণ, ফ্রি সুগার, সেচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্স ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার
কমানো।
শরীর ভালো রাখতে হলে,পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে এবং প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচ
ধরনের বিভিন্ন ফল এবং সবজি খেতে হবে। আপনার দৈনিক খাবার পরিকল্পনা করার সময় ফল,
সবজি , শস্য , বাদাম মনে রাখুন। শারীরিক কার্যকলাপের ক্ষেত্রে অনেক পরিবেশগত বা
মানসিক বাঁধা থাকতে পারে, কিন্তু সর্বদা মনে রাখবেন শারীরিক কার্যকলাপ হৃদপিণ্ড ,
শরীর এবং মনের জন্য উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য সুবিধা দেয়।
শরীর ভালো রাখতে হলে নিয়ম করে হাঁটতে হবে
ভালো রাখতে হলে সকালের নরম রোদ উঠার পর অথবা বিকালের দিকে হাঁটতে কিংবা জগিং করতে
পারেন। শীতের সময় নিয়মিত সক্রিয় উষ্ণ থাকাটা খুবই জরুরী। এক্ষেত্রে
ব্যায়াম উষ্ণ থাকতে সাহায্য করার পাশাপাশি রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। শীতে হাটা ও দৌড়ানো হল হল বাইরের
ব্যায়াম গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজ।
ফিটনেস লেভেল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাটার গতিও বাড়ান। যতক্ষণ পর্যন্ত না জগিং করা
সক্ষমতা অর্জন করছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত হাঁটার গতি বাড়াতে থাকুন। এরপর চাইলে
দৌড়ান বা জগিং করুন। খেয়াল রাখবেন, রাত হাঁটার রাস্তাটি যেন নিরাপদ হয়। আপনার
যদি ছেলে মেয়ে বা কিশোর-কিশোরী থাকে, তাদের সাথে সক্রিয় থাকুন এবং তাদের
প্রতিদিন ৬০ মিনিট ব্যায়াম করতে সাহায্য করুন।
ভালো ঘুম হতে পারে শরীর ভালো রাখার অন্যতম উপায়
ভালো ঘুম হতে পারে শরীর ভালো রাখার অন্যতম উপায়-স্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টি ও
ব্যায়ামের মতই গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি উপায় হল পরিপূর্ণ ঘুম। একজন প্রাপ্তবয়স্ক
মানুষের প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। দীর্ঘ সময় ধরে আরাম দেয়
ঘুমানোর জন্য শীতের সময়টা বেশ সহায়ক। পর্যাপ্ত ঘুম শরীরকে ঠান্ডার বিরুদ্ধে
লড়াই করতে সাহায্য করে এবং শীতকালে সারাদিন সতেজ রাখে।
ইমিউন সিস্টেম কার্যকর রাখা, ট্রেস হরমোন দূর করা সহ আরো অনেক কাজের সহায়তা করে।
এজন্য ঘুমের সময়সূচী ঠিক রাখুন। বিছানায় যাওয়ার জন্য একটি নির্ধারিত সময় ঠিক
করুন। অযথায় রাত জাগবেন না। ঘুমানোর এক ঘন্টা আগে ফোনটি দূরে সরিয়ে রাখুন।
তাই শরীর ঠিক রাখতে হলে ভালো ঘুম হওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
শরীর ভালো রাখতে হলে শরীরে রোদ লাগাতে হবে
শরীর ভালো রাখতে হলে শরীরের রোদ লাগাতে হবে-ভিটামিন "ডি"র র প্রধান উৎস হল রোদ।
শীতের সময় রোদ পোহালে ভালো থাকে শরীর, পূরণ হয় ভিটামিন "ডি"র ঘাটতি। যারা
আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় ভুগছেন, তারা অবশ্যই প্রতিদিন রোদ পোহাবেন। এতে হাড়ের
ব্যথা কমে, ঘুম ভালো হয়, ওজন কমাতে সাহায্য করে, জন্ডিস দূরে রাখে ইত্যাদি।
সকাল আটটার পর দুপুরের সময় পর্যন্ত প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রোদে
থাকলে উপকার পাওয়া যায়। আবার অতিরিক্ত সময় রোদে থাকলে ত্বক শুষ্ক হয়ে
যায়-এই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। প্রতিদিন ব্যায়াম করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে,
কিন্তু আপনি কি জানেন যে প্রতিটি ব্যায়ামি গুরুত্বপূর্ণ?
সকাল ৮-১০
পর্যন্ত সময় রোদ লাগানোর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।
প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিট মুখ, হাত ও পায়ের কিছু অংশে রোদ লাগানো উচিত।
ঘরে আলো বাতাস প্রবেশ করালে শরীর সুস্থ থাকে
শীতকালে ঘরে জানালা দরজা বন্ধ করে রাখেন। একটি স্বাস্থ্যসম্মত নয়। ঠান্ডা থেকে
বাঁচতে রাতে দরজা জানালা বন্ধ রাখুন। কিন্তু ঘুরে পর্যাপ্ত আলো প্রবেশ করান,
পর্দাগুলো খুলে দিন। এতে স্যাঁতসেতে পরিবেশ থেকে বাঁচা যাবে। সূর্যের আলো শরীরে
ভিটামিন ডি তৈরি করতে সাহায্য করে। ভিটামিন এর উপস্থিতি ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয়
করে তুলে, ফলে সর্দি কাশি, কিংবা অন্যান্য সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড় দুর্বল হতে শুরু করে। নিয়মিত রোদে থাকলে
অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমে যায়। সূর্যের আলো 'সেরোটোনিন" নামক হরমোনের নিঃসরণ
বাড়ায়, যা মন ভালো রাখতে সাহায্য করে ও বিষন্নতা কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে,
সূর্যের আলো শরীরে নাইট্রিক অক্সাইড নিঃসরণে সহায়তা করে, যার রক্তনালিকে প্রশস্ত
করে এবং রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। তার ঘরে আলো বাতাস প্রবেশ করলে শরীর সুস্থ
থাকে-নিচে কিছু পয়েন্ট দেওয়া হলঃ
- ভিটামিন ডি উৎপাদন
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
- হাড়ের সমস্যা প্রতিরোধ
- মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি
- ত্বকের কিছু রোগের উপশমের সাহায্য করে
- ঘুমের গুণমান বাড়ায়
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে
শরীর ভালো রাখতে হলে মাস্ক পড়তে হবে
শীতকাল সে প্রচুর ধুলাবালি থাকে। এগুলো নিঃশ্বাসের সঙ্গে দেহের ভেতরে যায়। এজন্য
ঘরের বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন। শ্বাসকষ্টে ভুগছেন যারা, তারা
অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন। মাস্ক পড়া শুধু করোনা বা ভাইরাস জড়িত রোগের
সময়েই নয়, বরং সামগ্রিক স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস
হয়ে উঠেছে।মাস্ক পড়লে ভাইরাস,ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য জীবাণু বাতাসের মাধ্যমে
শরীরে প্রবেশ করতে পারে না।হলে ঠান্ডা, করোনা বা যেকোনো শ্বাস জনিত রোগের ঝুঁকি
অনেকাংশে কমে।
বিশেষ করে শহর অঞ্চলে বায়ু দূষণের কারণে ফুসফুসের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
মাস্ক পড়লে ধুলাবালি, ধোয়া ও ক্ষতিকর কণা শ্বাসনালীতে প্রবেশ করতে পারেনা, যা
শরীরকে সুস্থ রাখে। আপনি যদি হালকা সর্দি বা কাশিতে ভোগেন, তাহলে মাছ পরলে
অন্যদের মধ্যে জীবাণু ছড়াবে না। এটি দায়িত্বশীল সামাজিক আচরণও বটে। শীতকালে
মাস্ক পড়লে বাতাস সরাসরি মুখ ও নাকে লাগতে পারে না, এ কারণে সাইনাস,
গলা ব্যথা বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা এড়ানো যায়। মাস্ক পড়লে আমরা বারবার মুখে হাত
দেওয়া থেকে বিরত থাকি, এর ফলে নখ বা হাতের মাধ্যমে জীবাণুমে প্রবেশ করার ঝুকি
হ্রাস পায়। তাই শরীর ভালো রাখতে হলে মাস্ক পড়তে হবে।
শরীর থেকে ঘাম ঝরালে শরীর ভালো থাকবে
শরীর থেকে ঘাম ছড়ালে শরীর ভালো থাকতে পারে, তবে এর কিছু কারণ ও প্রভাব রয়েছে।
ঘাম হলো শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং কিছু
বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। যখন শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে
যায়, তখন মাধ্যমে অতিরিক্ত তাপ বের হয়ে যায়। অতিরিক্ত ঘাম হওয়া সব সময়
ভালো নাও হতে পারে, বিশেষ করে যদি তা কোন রোগের কারণ হয়। ঘামের উপকারিতাঃ
শারীরিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ
- বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন
- ত্বকের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হন
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা
- কিছু রোগের উপসর্গ
- ভিটামিন ডি এর অভাব
- মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন যা ঘামের মাধ্যমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে
- পর্যাপ্ত পানি পান পরে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখুন
- অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার সমস্যা হয়, ডাক্তারের পরামর্শ নিন
- অতিরিক্ত ঘামের কারণ হতে পারে এমন খাবার এড়িয়ে চলুন
প্রচুর পানি পান করলে শরীর ভালো থাকে
শরীর রাখার ঘরোয়া উপায়-এর মধ্যে প্রচুর পানি পান করলে শরীর ভালো থাকে একটি
গুরুত্বপূর্ণ দিক। পর্যাপ্ত পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরী। এটি
শরীরের বিভিন্ন কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। পানির অভাবে শরীর রেশন
ডিহাইড্রেশন বা পানি শূন্যতায় ভুগতে পারে, যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। প্রচুর
পানি পান করার কিছু উপকারিতাঃ
- শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
- হজমে সাহায্য করে
- ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
- জয়েন্টের সুরক্ষা করে
- বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন করে
- কোষের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- ক্লান্তি দূর করে
- ওজন নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে
পানি শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। পানি হজম প্রক্রিয়াকে সহজ
করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। পর্যাপ্ত পানি পান ত্বকে মশ্চারাইজ করে এবং
ত্বককে উজ্জল রাখতে সাহায্য করে। জয়েন্টগুলোতে পিচ্ছিল ভাব বজায় রাখে, যা
জয়েন্টগুলোর নড়াচড়া মসৃণ করে। শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য
করে। শরীরের প্রতিটি কোষে পানির মাধ্যমে পুষ্টি উপাদান পৌঁছে দেয়। রোগ প্রতিরোধে
সাহায্য করে। শরীরে পানির অভাব হলে ক্লান্তি অনুভূত হতে পারে, পর্যাপ্ত পানি পান
করলে ক্লান্তি দূর হয়। পর্যাপ্ত পানি পান করলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ফলমূল ও শাক-সবজি খেতে হবে শরীর ভালো রাখার জন্য
অবশ্যই, শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য ফলমূল ও শাক সবজি খাওয়া প্রয়োজন। ফল ও সবজিতে
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং এনটিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরের জন্য অপরিহার্য।
এ উপাদানগুলি রোগ প্রতিরোধের সাহায্য করে এবং শরীরের কার্যকারিতা উন্নত করে।
ভিটামিন এ, সি, ্কে এবং বি কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং
পটাশিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম,ক্যালসিয়াম,আয়রনের মত প্রয়োজনীয় খনিজ রয়েছে।
এন্টিফিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল ও সবজি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং শরীরকে রোগ
সৃষ্টিকারী ফ্রী রেডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। সবজিতে থাকা ভাইবার হজম প্রক্রিয়াকে
উন্নত করে এবং কুষ্ঠ কাঠিন্যসহ বিভিন্ন হজমজনিত সমস্যা প্রতিরোধ করে। ফল ও সবজি
হৃদরোগ স্ট্রোক এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ফল ও
সবজিতে ক্যালোরি কম থাকায় এবং ফাইবার বেশি থাকার কারণে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে
রাখতে সাহায্য করে। ফল ও সবজি শরীরের জন্য কেন প্রয়োজনীয় তার কিছু বিবরণ দেওয়া
হলোঃ
- ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ করে
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
- হজমে সাহায্য করে
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
- উজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
- চুলের ও স্বাস্থ্য ভালো রাখে
অতিরিক্ত ওজন কমাতে হবে শরীর ঠিক রাখার জন্য।
নিয়মিত ব্যায়াম- প্রতিদিন কিছু শারীরিক কার্যকলাপ করুন, যেমন হাটা দৌড়ানো বা
সাঁতার কাটা। এবং উজন কমাতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং অতিরিক্ত
ক্যালরি গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন। ফাস্টফুড,চিনি যুক্ত খাবার এবং
প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান। প্রচুর ফল,সবজি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ
করুন। পর্যাপ্ত পানি পান করা শরীরকে ডিটক্সিফাই পড়তে এবং বিপাকক্রিয়া উন্নত
করতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো শরীরের জন্য খুবই জরুরী। ঘুমের অভাব ওজন
বাড়াতে পারে। অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য নিচে কিছু কার্যকরী টিপস দেওয়া
হলোঃ
- নিয়মিত ব্যায়াম
- পরিমিত খাদ্য গ্রহণ
- পর্যাপ্ত পানি পান করুন
- পর্যাপ্ত ঘুম ওজন কমাতে সহায়ক
- মানসিক চাপ কমাতে হবে
- ধূমপান ও মধ্যপান পরিহার করা
- ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শ নিন
লেখকের শেষ কথা, মন্তব্য-শরীর ভালো রাখার ঘরোয়া উপায়
শরীর ভালো রাখা হলে খুব কঠিন কিছু নয়, যদি আমরা নিয়মিত কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি
অনুসরণ করি। প্রকৃতির উপহার যেমন পর্যাপ্ত পানি পান, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ,
পর্যাপ্ত ঘুম এবং হালকা ব্যায়াম, এগুলোই শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখে। কোনো
ব্যয়বহুল ওষুধ নয় বরং নিজের যত্ন ও সচেতনতাই হলো সুস্থ জীবনের মূল চাবিকাঠি।
তাই আজ থেকে ছোট ছোট অভ্যাস গড়ে তুলি, সুস্থ থাকি-প্রাকৃতিকভাবে।
সম্মানিত পাঠক, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে/আপনাদেরকে আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে
সম্পূর্ণ ভাবে পড়ার জন্য। আশা করি আপনার আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লেগেছে। যদি মনে
করেন এই আর্টিকেলটি শেয়ার করলে আপনার পরিবার-পরিজন,আত্মীয়-স্বজন,বন্ধু-বান্ধব
সবার উপকার হবে তাহলে কষ্ট করে আর বিষয়টি শেয়ার করবেন এবং অন্যদেরকে এ
আর্টিকেলটি পড়ার জন্য উৎসাহিত করবেন। অতি ব্যস্ততার মাঝেও একটু সময় করে
মাঝেমধ্যে এই ওয়েবসাটটি ভিজিট করবেন। নতুন নতুন তথ্য পেয়ে যাবেন যা আপনার কিছু
না কিছু উপকারে আসবেই। ধন্যবাদ আপনাকে।
মাসুদা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url