চুলকানি হলে এলার্জির সবচেয়ে ভালো ঔষধ কোনটি

চুলকানি হলে এলার্জির সবচেয়ে ভালো ওষুধ-এই সম্পর্কে আমরা আজ বিস্তারিত জানব। চুলকানি যদি অ্যালার্জিজনিত হয় , তাহলে এন্টিহিস্টামিনজাতীয় ওষুধ সবচেয়ে বেশি কার্যকর তবে ওষুধের পাশাপাশি জীবনের ধারাও পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ । চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিয়মিত কোন ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।

চুলকানি-হলে-এলার্জির-সবচেয়ে-ভালো-ঔষধ-কোনটি

এলার্জির জন্য ঔষধ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। শিশুদের জন্য ডোজ ভিন্ন হয় , যাদের এজমা , কিডনি সমস্যা বা দীর্ঘমেয়াদি অসুখ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ নেবেন। ওষুধের পাশাপাশি এলার্জির উৎস এড়িয়ে চলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নারকেল তেল , এলোভেরা জেল ব্যবহার করা , সুতির নরম কাপড় পরা। মসলাদার খাবার ধুলাবালি ও সুগন্ধি সাবান/লোশন এড়িয়ে চলা। 

পেজ সূচিপত্রঃ অত্যন্ত কস্টদায়ক ব্যাধি এলার্জি থেকে পরিত্রাণের উপায়

সেটিরিজিন ট্যাবলেট-হালকা থেকে মাঝারি এলার্জিজনিত চুলকানিতে আরাম দেয়

চুলকানি হলে এলার্জির সবচেয়ে বড় ঔষধ কোনটি-সিটি রিজিন ট্যাবলেট হলো একটি এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ , যা হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার এলার্জিজনিত চুলকানি দূর করতে বেশ কার্যকর। সেটিরিজিন শরীরের হেস্টামিন নামক রাসায়নিক কার্যকারিতা বন্ধ করে দেয় যে এলার্জি প্রতিক্রিয়ার জন্য দায়ী। হলে চুলকানি, তোকে ফুসকুড়ি, লালচে ভাব, চোখ ও নাক দিয়ে পানি পড়া , হাঁচি ইত্যাদি উপসর্গ দ্রুত উপশম হয়। সাধারণত প্রতিদিন একটি ট্যাবলেট খাওয়া হয়। খাওয়ার পরে অথবা ঘুমানোর আগে খাওয়া হয়। চুলকানি যেসব ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার হয়ঃ

  • ত্বকের এলার্জিজনিত চুলকানি
  • গরমে ঘাম জমে যাওয়া চুলকানি
  • ধুলাবালি বা ফুলের রেনুতে এলার্জি
  • সাধারণত ফুড এলার্জি থেকে শ্রেষ্ঠ চুলকানি
  • কারো ক্ষেত্রে ঘুমঘুম ভাব বা ক্লান্তি আসতে পারে

সেটিং একটি নিরাপদ ও সহজলভ্য এলার্জি প্রতিরোধে ঔষধ হলেও দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। কারণ চুলকানির পেছনে আরো অন্যান্য কারণ ও থাকতে পারে

লরাটাডিন ট্যাবলেট- এলার্জির কারণে শরীরের চুলকানি হলে একটি উপকারী

চুলকানি হলে এলার্জি ভালো ওষুধের মধ্যে-লড়ার টা দিন হলো এক ধরনের দ্বিতীয় প্রজন্মের এন্টিহিস্টামিন, যা শরীরের এলার্জিজনিত চুলকানির ক্ষেত্রে নিরাপদ ও কার্যকর ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। লড়াটা ডিম শরীরে তৈরি হওয়া ভিস্টামিন নামক রাসায়নিক পদার্থের প্রভাব কমিয়ে দেয়। চুলকানি তোকে রে স্ট খোলা ভাব বা চোখে পানি আসার মত উপসর্গ তৈরি ক... এগুলো দ্রুত উপশম হয়। সাধারণত বড়দের জন্য দিনে একবার 10 মিলিগ্রাম মাত্রায় খাওয়া হয়। খাবারের আগে বা পরে খাওয়া যেতে পা।। তবে প্রতিদিন একই সময়ে খাওয়া ভা... শিশুদের জন্য কমডোস ব্যবহার করা হয়।

গর্ভবতী বাস স্তন্যদানকারী নারীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার করলে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধায়ন দরকার হতে পারে, কিডনি বা লিভারের জটিলতা থাকলে ডোজ নিয়ন্ত্রণ জরুরী । একটি জনপ্রিয় ও নিরাপদ এন্টিহিস্টামিন ওষুধ।এটি এলার্জিজনিত চুলকানিতে দ্রুত আরাম দিলেও সব সময় এর পেছনের কারণ বুঝে চিকিৎসা নেয়া উত্তম। তাই ঘনঘন বা দীর্ঘস্থায় চুলকানির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ । প্রয়োজনে ও সিটিজিনের তুলনামূলক বিশ্লেষণ বা ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কেও জানা দরকার।

হাইড্রোকরটিসন মলম-ত্বকে লালচে ভাব বা ফোলা থাকলে  লাগানো যাবে

এলার্জির জন্য সবচেয়ে ভালো মলম হলো-হাইড্রোকরটিশন । এটি হালকা মাত্রার কর্টিকোস্টেরয়েড ওষুধ যা ত্বকের নানা ধরনের প্রদাহ,লালচে ভাব,ফোলা ভাব ও চুলকানিতে খুব কার্যকর ভাবে ব্যবহার করা হয়।নিচে এর বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হলোঃ
  • কাজের ধরন
  • ব্যবহারযোগ্য সমস্যা
  •  ব্যবহার বিধি
  • সর্তকতা
  • বাংলাদেশের প্রচলিত কিছু ব্র্যান্ড নাম
  • ব্যবহারের সময় করণীয়
আরো পড়ুনঃ ডায়রিয়া হলে আমাদের করণীয় কি কি 

মশা বা পোকামাকড়ের কামড়ে ফোলা ও চুলকানি। একজিমা , সরিয়াসিস বা ত্বকের এলার্জিতে লালচে ভাব , হালকা দাগ বা রেস , ডায়াপার রেস। দিনে ১- ২ বার আক্রান্ত স্থানে পাতলা করে লাগাতে হবে। পরিষ্কার শুকনো ত্বকে ব্যবহার করতে হবে । পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা উচিত নয়। দীর্ঘদিন বা অতিরিক্ত ব্যবহার করলে ত্বক পাতলা হয়ে যেতে পারে। খোলা ক্ষত বা সংক্রমিত স্থানে ব্যবহার করা ঠিক নয় ।শিশুদের ত্বকে ব্যবহারে অতিরিক্ত সতর্কতা দরকার। ত্বকে যদি সংক্রমণ থাকে তখন এই মলম একা ব্যবহার না করাই ভালো। প্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক মলমের সাথে মিলিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।হাইড্রোকরটিশন মলম হালকা ত্বক সমস্যা ও এলার্জির ক্ষেত্রে কার্যকর হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ ভুল প্রয়োগে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।

ঠান্ডা পানির সেঁক-চুলকানির জায়গায় ঠান্ডা কাপড় দিলে আরাম পাওয়া যায়

চুলকানি হলে এলার্জির জন্য-ঠান্ডা পানির সেক-চুলকানির ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক প্রতিকার। চুলকানির সময় ঠান্ডা পানির সেক একটি খুবই সহজ নিরাপদ ও দ্রুত আরামদায়ক ঘরোয়া উপায়। ওষুধ ছাড়াও তাৎক্ষণিক আরাম দিতে  এটি কার্যকর ভূমিকা রাখে, চুলকানির জায়গায় ঠান্ডা কাপড় দিলে রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয় , হলে প্রদাহ ও ফোলা ভাব কমে যায়। হিস্টামিনের কার্যকারিতা কমে , যার কারণে চুলকানির অনুভূতি হ্রাস পায়। ঠান্ডা সেঁকে চুলকানির জায়গার তাপমাত্রা হ্রাস পায় , এতে জ্বালা পোড়া বা উত্তাপ কমে গিয়ে আরাম পাওয়া যায়। এছাড়া অন্য ঘরোয়া প্রতিকার যেমন নিম পাতা , বেসন , উট মিল ইত্যাদি দিয়েও প্রাথমিক চিকিৎসা করা যায়।
ঠান্ডা-পানির-সেঁক-চুলকানির-জায়গায়-ঠান্ডা-কাপড়-দিলে-আরাম-পাওয়া-যায়

পরিষ্কার এক টুকরো নরম কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে নিন। হালকা করে চিপে পানি ঝরিয়ে নিন। চুলকানির জায়গায় ৫ থেকে ১০ মিনিট ধরে চেপে রাখুন।প্রয়োজনে পুনরায় কাপড় ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করুন। বরফ সরাসরি তোকে ব্যবহার করবেন না এতে চামড়ার ক্ষতি হতে পারে, কাপড় যেন খুব বেশি ভেজা বা ট্রেনিং না হয় , না হলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। যদি চুলকানির জায়গায় থাকে তবে এই পদ্ধতি না করাই ভালো। ঠান্ডা পানির সেঁক চুলকানির একটি প্রাথমিক ও প্রাকৃতিক উপকার , যা ওষুধ ছাড়াই দ্রুত উপশমও দেয়। তবে চুলকানি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা বারবার ফিরে আসে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত ।

ওটমিল পানি দিয়ে গোসল-বিশেষ ধরনের চালের গুঁড়ো দিয়ে গোসল করলে চুলকানি কমে

ওটমিল পানি দিয়ে গোসল-ওটমিল দিয়ে গোসল করা চুলকানি , র‍্যাশ , ত্বকের লালচে ভাব , ও জ্বালাপোড়া উপশমে একটি প্রাকৃতিক,নিরাপদ এবং ঘরোয়া প্রতিকার। এটি বিশেষভাবে সংবেদনশীল ও শুষ্ক ত্বকের জন্য কার্যকর। ওটমিলের মধ্যে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট ও এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান চুলকানি ও ত্বকের জ্বালা প্রশমিত করে।এটি ত্বকে একটি প্রকৃতিক সুরক্ষা তৈরি করে যা আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং শুষ্কতা কমায় ।ওট্মিল  নামক উপাদান ত্বকের ময়লা ও জীবাণু পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এক কাপ ওটমিল ব্লেন্ডারে গুঁড়ো করে নিন যেন তা পানিতে সহজে মিশে যায়।একটি বালতিতে গরম পানির মধ্যে ওই ওটমিল গুড়ো মিশান। ১০ থেকে ১৫ মিনিট ওই পানিতে শরীর ভিজিয়ে রাখুন অথবা সেই পানি দিয়ে ধীরে ধীরে গোসল ক্রুন। শেষে ত্বক মুছে ফেলুন এবং প্রয়োজনে হালকা মশ্চারাইজার লাগান।


যদি ওটমিলে এলার্জি থাকে তাহলে এটি ব্যবহার না করাই ভালো। একেবারে বেশি পরিমাণ গুড়ো ব্যবহার করলে পানি খুব ঘন হয়ে তোকে লেগে যেতে পারে তাই পরিমাণ বুঝে মেশাতে হবে। ওটমিল দিয়ে গোসল একটি ওষুধবিহীন , প্রাকৃতিক ও আরামদায়ক উপায় চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়ার। শিশু থেকে বয়স্ক সবাই এটি ব্যবহার করতে পারেন , তবে যদি চুলকানি দীর্ঘস্থায়ী হয় , সংক্রমণ হয় , বা ঘা দেখা দেয় , তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।আপনি চাইলে ওটমিল ছাড়াও নিমপাতা,বেসন,এলোভেরা দিয়ে চুলকানি প্রতিকারের ঘরোয়া উপায়ও জানতে পারেন।

নিম পাতার বাটা বা রস-প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক হিসেবে নিম পাতা খুব কার্

নিমপাতার বাটা বা রস-প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক ও চুলকানির প্রতিকার। নিমপাতা বাংলার ঘুরে ঘুরে পরিচিত একটি ঔষধি গাছ এর পাতা ঝাল ও বীজ বহু যুগ ধরে তোকে রোগ চুলকানি ও জীবাণুনা সব গুনে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশেষ করে চুলকানি গাছ ওরে সের ঘরোয়া প্রতিকারে নিম পাতার ব্যবহার অনেক কার্য... নিম পাতার গুনাগুনঃ নিমপাতা একটি প্রাকৃতিক এন্টিসেপটিক ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল। এতে রয়েছে নিম বিন কুয়ার সেটিং জাতীয় উপাদান যা ব্যাকটেরিয়া ফাঙ্গাস ও ভাইরাস ধ্বংস করতে পারে । এটি চুলকানি ফোলা ভাব ও একজিমা সহায়ক। তার বাটা ও নিম পাতা সিদ্ধ পানির ব্যবহার বিধিঃ
  • নিমপাতা ভালো করে ধুয়ে পাটায় বা ব্লেন্ডারে বেটে নিন
চুলকানির জায়গায় সরাসরি পাতলা করে লাগিয়ে রাখুন
  • পুনরো থেকে বিশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
  • দিনে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করা যেতে পারে
  • একমুঠো নিমপাতা পানিতে দিয়ে দশ মিনিট সিদ্ধ করুন
  • ঠান্ডা হলে সেই পানি দিয়ে গোসল করুন বা আক্রান্ত স্থানে ধুয়ে ফেলুন
  • নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলকানি ও ত্বকের সমস্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে
নিম পাতার তেল হালকা করে ত্বকে মালিশ করলে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক জনিত সংক্রমণ কমে। যেসব সমস্যায় উপকারী-চুলকানি ও ত্বকে ফুসকুড়ি, দাদ, একজিমা বা ফাঙ্গা্‌স , মাথার খুশকি বা চুলকানি , গরমে ঘাম জমে হওয়ার র‍্যাশ, শিশুদের ডায়াপার র‍্যাশ। খুব বেশি সময় ধরে লাগিয়ে রাখলে কিছু মানুষের ত্বকে শুষ্কতা বা চুলচুলে ভাব দেখা দিতে পারে । চোখের আশেপাশে বা মুখে ব্যবহার না করাই ভালো খোলা ঘা বা ক্ষতস্থানে ব্যবহার করা আগের যুগের সুখের পরামর্শ নেয়া উত্তম । নিমপাতা একটি সহজলভ্য সাশ্রয় ও প্রাকৃতিক উপাদান যা চুলকানি ও ত্বকের জীবাণুনাশে দারুন ভাবে কার্যকর। নিয়মিত ব্যবহার ঔষধ ছাড়াই অনেক ত্বকের সমস্যা উপাসনা করা যায়। যদি সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা খারাপের দিকে যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।

চুলকানি বাড়ায় এমন খাবার এরিয়ে চলা-নিজে নিজে খুঁজে বের করা 

চুলকানি বাড়ায় এমন খাবার এড়িয়ে চলা নিজে নিজে খুঁজে বের করা। অনেক সময় আমরা জানতেই পারি না,আমাদের প্রতিদিনের খাওয়া দাওয়া থেকে কিছু খাবার এলার্জি সৃষ্টি করে বা চুলকানি বাড়িয়ে দেয়। তাই নিজের শরীরের প্রতিক্রিয়া বুঝে চুলকানি বাড়ায় এমন খাবার চিহ্নিত করে তা এড়িয়ে চলা একটি গুরুত্বপূর্ণ সচেতন অভ্যাস। কিছু খাবা্রে এমন প্রাকৃতিক উপাদান থাকে যা শরী্রে ইমিউন সিস্টেম এলার্জিক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। যার ফলে  চুলকানি,লালচে ভাব ফোলা ভাব দেখা দেয়।
চুলকানি-বাড়ায়-এমন-খাবার-এগিয়ে-চলা-নিজে-নিজে-খুঁজে বের-করা

প্রতিদিন কি খাচ্ছেন এবং খাওয়ার পর শরীরে কোন চুলকানি বা অস্বস্তি হচ্ছে কিনা তা লিখে রাখুন। সময়ের সাথে মিলিয়ে আপনি বুঝতে পারবেন কোন খাবার আপনার জন্য সমস্যা তৈরি করছে। সন্দেহভাজন খাবার ১২ সপ্তাহ বন্ধ রাখুন।চুলকানি কমে গেলে আবার খাবারটি খান চুলকানি ফিরলে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন। তবে ডাক্তার আপনার শরীরের এলার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া চিহ্নিত করতে স্কিন প্রিক টেস্ট বা ব্লাড টেস্ট করতে পারেন।

সুতি কাপড় পরা-শরীরে বাতাস চলাচল করে এমন কাপড় পরা

সুতি কাপড় পরা-চুলকানি প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। চুলকানি সমস্যা থাকলে সুতি কাপড় পরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর একটি অভ্যাস। কারণ সুতি কাপড় ত্বকের প্রতি সহনশীল আরামদায়ক এবং ত্বকের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। সুতি কাপড়ের তন্তু এমনভাবে তৈরি যে ত্বক সহজে শ্বাস নিতে পারে। ব্যাকটেরিয়া হলে চুলকানি কমে। রেশম সিন্থেটিক বাল নাইলন এর মত কাপড় তোকে সঙ্গে ঘর্ষণ তৈরি করে চুলকানি বাড়াতে পারে।সুতি কাপড় নরম হওয়ায় ঘর্ষণ কম হয় এবং তোকে জ্বালাপোড়া বা রেশ কম বের হয় ।


সুতি কাপড় সহজে ঘাম শোষণ করতে পারে হলে শরীর শুকনো থাকে এবং ঘাম জমে চুলকানি হয় না। বাংলাদেশের মত আবহাওয়া বাংলাদেশের মতো আবহাওয়ায় সুতি কাপড় ত্বকের জন্য আদর্শ বিশেষ করে গরমকালে। রাতে ঘুমানোর সময় ও শরীরের সংবেদনশীল অংশে সুতি কাপড়ের পোশাক ব্যবহার করলে ঘর্ষণ ঘাম ও চুলকানি কমে। শিশুরা অনেক বেশি সংবেদনশীল তাই তাদের জামা,তোয়ালে,বিছানা চাদর সবই সুতি হওয়া উচিত। সুতি কাপড় শুধু আরামদায়ক নয়,ত্বকের সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । চুলকানি,এলার্জি বা র‍্যাশ প্রবণতা থাকলে সুতি কাপড়ই হল সবচেয়ে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পছন্দ।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া-দীর্ঘদিন ধরে চুলকানি থাকলে

চুলকানি হলে এলার্জিতে ভালো পরামর্শ-চুলকানি সাধারণত অস্থায়ী ও হালকার সমস্যা হলেও যদি দীর্ঘদিন ধরে চলে বা ঘন ঘন ফিরে আসে তাহলে সেটিকে অপেক্ষা করা উচিত নয়। অনেক ক্ষেত্রে এটি অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য সমস্যা চর্মরোগ কিংবা এলার্জির লক্ষণ হতে পারে । তাই সময় মত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। চুলকানি একাধিক কারণে হতে পারে যেমন এলার্জি ছত্রাক চর্মরোগ লিভার বা কিডনি সমস্যা ডায়াবেটিস রক্তস্বল্পতা ইত্যাদি। চিকিৎসক প্রয়োজন অনুযায়ী রক্ত পরীক্ষা চর্ম পরীক্ষা বা এলার্জি টেস্ট করে সঠিক কারণে নির্ধারণ করেন। চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী চিকিৎসা নিলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি কমে।

দীর্ঘমেয়াদি চুলকানি কখনো কখনো শারীরিক অসুস্থতার ইঙ্গিত হতে পারে-যেমন লিভার সিরোসিস ক্যান্সার থাইরয়েড সমস্যা ইত্যাদি। চুলকানি কতদিন ধরে হচ্ছে-কোন জায়গায় বেশি হয়-চুলকানির সঙ্গে ফুসকুড়ি রে স খাবার রক্তপাত হয় কিনা-খাওয়ার পর বা কিছু পরিধানের পর চুলকানি বাড়ে কিনা-পরিবারের কারো একই সমস্যা আছে কিনা। চুলকানি যদি সাত দিন বা তার বেশি সময় ধরে থাকে, হোমে ব্যাঘাত ঘটায় বা বারবার ফিরে আসে তাহলে দেরি না করে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সময় মত চিকিৎসা নিলে জটিলতা এড়ানো সম্ভব এবং ত্বক ও শরীরের দুটি সুস্থ থাকে।

লেখক এর শেষ কথা-মন্তব্য-চুলকানি হলে এলার্জির সবচেয়ে ভালো ওষুধের ব্যাপারে পরামর্শ 

চুলকানি যদিও অনেক সময় সাময়িক অসাধারন একটি সমস্যা মনে হয় , তবে এর পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে নানা রকম শারীরিক কারণ-এলার্জি ছত্রাক ত্বকের প্রদাহ কিংবা অভ্যন্তরীণ কোন অসুস্থতা। তাই চুলকানি হলে প্রথমেই প্রয়োজন কারণ বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া সবচেয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হলো-ওষুধ নিজে থেকে শুরু না করে নিজের সমস্যা বুঝে প্রয়োজন হলে পরীক্ষা করে, চিকিৎসকের সঠিক দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করা । তবেই মিলবে দীর্ঘস্থায়ী আরাম ও সুস্থ ত্বক।

প্রিয় পাঠক, অনেক ধৈর্য সহকারে পুরো আর্টিকেলটি করার জন্য আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার মনে হয় আপনার ব্যক্তি জীবনে বা আপনার প্রিয়জনের বা বন্ধু-বান্ধবের কোন উপকারে আসবে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এখানে চুলকানি হলে এলার্জির সবচেয়ে ভালো ওষুধ কোনটি-সম্পর্কে বিভিন্ন রকমের পরামর্শ এবং আলোচনা করা হয়েছে। এবং একটি সাধারণ সমস্যা এই এলার্জির সমস্যাটা। আশা করছি ধৈর্য সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি আপনি পড়েছেন এবং কিছু তথ্য পেয়েছ... যদি ভালো ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই মাঝে মাঝে অবসর সময়ে এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন। আশা করি আপনার সময় নষ্ট হবে না বরং কিছু না কিছু জানতে পারবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ এই ওয়েব টি ভিজিট করার জন... আবার ভিজিট করার আমন্ত্রণ রইল।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাসুদা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url