মুখের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়

 

মুখের দাগ দূর করতে ঘরোয়া উপায়ের বিকল্প নেই। মুখের দাগ আমাদের সৌন্দর্য এবং আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলে, নানা কারণে মুখের দাগ দেখা দিতে পারে, যেমন ব্রণ,সূর্যের তাপ,হরমোনের পরিবর্তন বা চুলকানিজনিত ক্ষত।

মুখের-দাগ-দূর-করার-ঘরোয়া-উপায়

যদিও বাজারে অনেক দামী প্রসাধনই পাওয়া যায়, তবে প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরে বসে মুখের দাগ দূর করা সম্ভব এবং তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। আমরা এমন কিছু কার্যকর ঘরোয়া উপায় এই লেখার মাধ্যমে জানবো যা নিয়মিত ব্যবহার করলে মুখের দাগ দূর করা সহজ।

পেজ সূচিপত্রঃ মুখের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়

মুখের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়

মুখের আমাদের সৌন্দর্য ও আত্মবিশ্বাসের নীতিবাচক প্রভাব ফেলে। ব্রণ,সূর্যের তাপ, হরমোনের পরিবর্তন কিংবা ইনফেকশনের কারণে এ ব্যাগ তৈরি হতে পারে। যদিও বাজারে অনেক কেমিক্যালযুক্ত ক্রিম ও সিরাম পাওয়া যায়,তবে ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপায়ে নিরাপদ ও কার্যকর মুখের দাগ দূর করা সম্ভব। কিছু উপাদানের নাম নিচে দেওয়া হলঃ
  • লেবুর রস
  • এলোভেরা জেল
  • মধু ও দারুচিনি
  • আলুর রস
  • বেসন ও দুধের ফেসপ্যাক
  • টমেটোর রস
  • পর্যাপ্ত পানি পান
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
  • সানস্ক্রিন ব্যবহার
  • ধৈর্য ও নিয়মিত যত্ন
লেবুতে থাকা সাইট্রিক এসিড ত্বকের কালো দাগ হালকা করে। এলোভেরা ত্বক ঠান্ডা রাখে এবং ত্বকের দাগ মুছে দিতে সাহায্য করে। মধু ও দারুচিনি ময়েশ্চারাইজ করে জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। আলুতে প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান রয়েছে এটি দাগ হালকা করে তপুজ্জ্বল করে। বেসন ত্বকের মরা কোষ দূর করে এবং দুধ ত্বক নরম রাখে।টমেটোতে এন্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বক পরিষ্কার রাখতে সহায়ক।

দাগ দূর করতে শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেওয়া জরুরী,তাই দিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত। ভিটামিনA,C,E সমৃদ্ধ খাবার ত্বকের দাগ রাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি মুখের দাগ ডার্ক করে তুলে। তাই বাইরে যাওয়ার আগে অবশ্যই সানিস্কিন লাগান। ঘরোয়া উপায়ে ফল পেতে সময় লাগে, তবে নিয়মিত যত্ন নিলে ধীরে ধীরে দাগ হয় ও ত্বক স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরে পায়।

লেবুর রসে প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান থাকাই এটি যা হালকা করে

প্রাকৃতিকভাবে উপস্থিত থাকে সাইট্রিক এসিড যা একটি প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বকের মেলানিন উৎপাদন কমিয়ে দাগ-ছোপ হালকা করতে সাহায্য করে। লেবুর রস নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রং উজ্জ্বল হয় এবং কালচে দাগ হালকা হতে শুরু করে। বিশেষ করে ব্রণের দাগ বা রোদে পোড়া দাগের ক্ষেত্রে লেবুর রস খুব কার্যকর। তবে এটি ব্যবহারের সময় সরাসরি রোধে যাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত, কারণ এতে ত্বকে জ্বালাপোড়া বা কালচেভাব তৈরি হতে পারে।


লেবুর রস ব্যবহার করার আগে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হয় এবং প্রয়োজনের সামান্য পানি বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে তা ত্বকের জন্য আরও নিরাপদ হয়। লেবুর রসে থাকা সাইট্রিক এসিড একটি প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান হিসেবে কাজ করে। এটি টকের দাগ ও কালচে ভাব হালকা করতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ দেখায়। লেবুর রস সরাসরি তোকে ব্যবহার করা হলেও মধুর সঙ্গে মিশিয়ে দিলে তা আরো নিরাপদ হয়। ব্যবহারের পর রোদে না যাওয়ায় ভালো, কারণ এতে তোকে জ্বালাপোড়া হতে পারে।

এলোভেরা জেল ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে দাগ দূর করতে সাহায্য করে 

এলোভেরা জেল প্রাকৃতিক একটি উপাদান যা বহু বছর ধরেই ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি ত্বকের প্রদাহ কমাতে এবং দাগ হালকা করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এলোভেরা জেল ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এলোভেরা থাকে গ্লুকোমানান ও গ্লাইকোপ্রোটিন, যা ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। সানবার্ন বা ব্রণজনিত লালচে ভাব ভাব দূর করতেও এটি কার্যকর। এলোভেরা ব্যবহারে ত্বকে ঠান্ডা অনুভূতি হয়, যা জ্বালা ও চুলকানি থেকে মুক্তি দেয় এবং ক্ষতস্থান দ্রুত আরাম পায়।

এতে থাকা ভিটামিন সি ই এবং জিংক তকের কোষ পুনর্গঠনে সাহায্য করে, ফলে দাগ হালকা হয়ে আসে। এলোভেরা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং নতুন কোষ তৈরিতে সহায়তা করে। এতে দাগ দ্রুত হালকা হয়।এটি ত্বককে হাইড্রেট করে রাখে, হলে ত্বক থাকে কোমল ও মসৃণ , যা দাগ লুকাতে সহায়তা করে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে পরিষ্কার মুখে পরিমান মত এলোভেরা জেল লাগিয়ে রাখতে পারেন। সকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এলোভেরা জেল ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে দাগ দূর করতে যেভাবে সাহায্য করেঃ
  • প্রদাহ বিরোধী গুণ
  • ত্বক ঠান্ডা রাখে
  • ঘা ও ব্রণের দাগ হালকা করে
  •  ত্বকের কোষ পুনর্জীবিত করে
  • প্রাকৃতিক মশ্চারাইজার

মধু ও দুধ একসাথে ব্যবহার করলে ব্রণজনিত দাগ কমে

মধু একসাথে ব্যবহার করলে ব্রণ জনিত দাগ কমে যায়। মধু দুধ একসাথে ব্যবহার করলে ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী হতে পারে, বিশেষ করে ব্রণজনিত দাগ কমানোর ক্ষেত্রে। এ দুটি প্রাকৃতিক উপাদান একসাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার, উজ্জ্বল ও দাগ মুক্ত হতে সাহায্য করে। মধুতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ওএনপি সেপটিক গুন, যা ব্রণের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং ত্বকের সংক্রমণ কমায়। দুধে থাকা ইলেকট্রিক এসিড ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ করে ও ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। 


এটি ত্বকের কালচে দাগ হালকা করে। দুধ ও মধু একসাথে মিশিয়ে লাগালে তোকে রঙের ভারসাম্য বজায় থাকে এবং ব্রণের পুরনো দাগ ধীরে ধীরে হালকা হয়ে যায়। এই মিশ্রণ ত্বককে গভীরভাবে আদ্রতা দেয়, ফলে তো নরম ও কোমল থাকে। হাইড্রেটেড ত্বকে দাগ ও তুলনামূলকভাবে কম চোখে পড়ে। দুধের লেক্টিক এসিড ও মধুর চটচটে গঠন একত্রে তাক থেকে ময়লা, তেল ও মৃতকোষ দূর করে। এতে ব্রণ কমে এবং দাগ হালকা হয়। মধু ও দুধ একসাথে ব্যবহার করলে ব্রণ জনিত দাগ কমার কিছু টিপসঃ
  • প্রাকৃতিক জীবানু নাশক গুণ
  • ত্বক উজ্জ্বল করে দাগ 
  • হালকা করার গুণ
  • ত্বক মশ্চারাইজ করে
  • প্রাকৃতিক এক্সফলিয়েটর হিসেবে কাজ করে
  • ব্যবহার বিধিঃ
  • এক চা চামচ কাঁচা মধু ও এক চা চামচ কাঁচা দুধ মিশিয়ে নিন
  • মুখে মাস্কের মতো ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন
  • তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন
  • সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে ফল পাওয়া যায়

আলুর রস ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জল হয় এবং দাগ হালকা হয়

মুখের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়-আলুর রস তোকে ব্যবহার করলে তা উজ্জ্বল হয় এবং দাগ হালকা হয়। আলুতে রয়েছে প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান, যা ত্বকের কালো দাগ, সানট্যান ও রংয়ের অসামঞ্জস্যতা দূর করতে কার্যকর। এটি ত্বকের কোষ পুনর্জীবিত করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়। বিশেষ করে যারা ভ্রনের দাগ, বয়সের ছাপ বা রোদে পোড়া দাগে ভুগছেন, তাদের জন্য আলোর রসে কার্যকর প্রাকৃতিক উপাদান। ভিটামিন সি ঢাকা উচ্চমাত্রার ভিটামিন, যা ত্বকের কোষে কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে, যা তককে টানটান ও উজ্জ্বল রাখে। 

এন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের ভিতরের দূষিত উপাদান দূর করে ফলে ত্বক আরো পরিষ্কার ও প্রাণবন্ত দেখায়। এনজাইম আলুর রসে থাকা ক্যাটালেজ নামক এনজাইম সূর্যের প্রভাবে হওয়া দাগ হালকা করে। প্রাকৃতিক ব্লিচিং আলোতে থাকা প্রাকৃতিক অ্যাসিডিক উপাদান ত্বকের গভীরের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের মৃত কোষ দূর হয় এবং নতুন কোষ তৈরি হয়, ফলে দাগ ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায়। চুল বা জ্বালাপোড়া হলে ব্যবহার বন্ধ করে দিবেন। আরো কার্যকারিতা বাড়াতে আলুর রসের সঙ্গে লেবুর রস বা মধু মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করা যায়।

ব্যবহারবিধিঃ
  • একটি কাঁচা মাঝারি সাইজের আলু কেটে রস বের করুন
  • একটি তোলা বা ব্রাশ দিয়ে মুখে বা দাগের স্থানে লাগান
  • ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন, তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন
  • সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়

বেসনের ফেসপ্যাক ত্বকের মরা কোষ তুলে দিয়ে দাগ হ্রাস করে

বেসনের ফেসপ্যাক প্রাচীনকাল থেকে ত্বকের প্রাকৃতিক যত্নে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি ত্বকের স্মরণ করে এবং ত্বকের গভীরে জমে থাকা ময়লা অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক হয় আরো পরিষ্কার,উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত। বেসন প্রাকৃতিক এক্সফেলিএটর হিসেবে কাজ করে, যা ত্বকের যা ত্বকের উপরিভাগের মরা কোষ সরিয়ে নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রং সমান হয় এবং কালচে দাগ ও ব্রণের দাগ অনেকটাই হ্রাস পায়। সাধারণত বেসনের সঙ্গে দুধ, মধু , দই বা হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে ব্যবহার করা হয়।

এটি ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করে এবং প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বলতা এনে দেয়। সংবেদনশীল ত্বকের জন্য বেসন তুলনামূলকভাবে নিরাপদ, তবে যে কোন ফেসপ্যাক ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করে নেওয়া ভালো। বেসনের ফেসপ্যাক ত্বকের যত্নে অত্যন্ত কার্যকর একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এটি ত্বকের মরা কোষ দূর করে এবং দাগ হ্রাস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বেসনের দানাদার গঠন ত্বকের উপর থেকে জমে থাকা মৃত কোষ আলতো ভাবে পরিষ্কার করে ফেলে, যা ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে তুলে। এবং দাগ আরো গাঢ লাগে। এটি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নিয়ন্ত্রণ করতেও সহায়তা করে,ফলে ব্রণ কমে এবং নতুন দাগ পড়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়।

টমেটো রস এন্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর, যা ত্বক পরিষ্কার করে

মুখের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়-টমেটো রস এন্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর, জাতক পরিষ্কার করে। টমেটো রস প্রাকৃতিক এন্টি অক্সিডেন্ট ভরপুর, বিশেষ করে এতে থাকা লাইকোপেন নামক উপাদান ত্বকের যত্নে বিশেষ ভাবে কার্যকর।লাইকোপেন ত্বকের কোষকে ফ্রি আরডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, হলে ত্বক স্বাস্থ্যকর ও প্রাণবন্ত। টমেটো রস ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে এবং রোমছিদ্র ছোট করতে সাহায্য করে, যা ত্বককে আরো পরিপাটি ও পরিষ্কার দেখায়।


এছাড়া টমেটো রসে প্রাকৃতিক অ্যাসিডিক উপাদান রয়েছে যা ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে এবং কালকে দাগ, সানট্যান ও রুক্ষতা দূর করে। এটি ত্বকের মৃত কোষ তুলে দিয়ে নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে, ফলে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরে আসে। নিয়মিত ব্যবহারে টমেটোর রস ত্বকের টোন উন্নত করে, দাগ হালকা করে এবং ব্রণের প্রবণতা কমায়। ঠান্ডা টমেটো রস তুলায় ভিজিয়ে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেললে তাৎক্ষণিক সতেজতা এবং পরিষ্কার ভাব অনুভব করা যায়।

প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করা এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করা দাগ প্রতিরোধ করে

প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করা এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করা ত্বকের দাঁত প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দিনের শেষে ত্বকে ধুলা, দূষণ, তেল ও মৃত কোষ জমে, যা রোমছিদ্র বন্ধ করে দেয় এবং ব্রণ সহ নানা ত্বক সমস্যা সৃষ্টি করে। সঠিকভাবে মুখ পরিষ্কার না করলে এ সমস্যা থেকে কালচে দাগ ও চিরস্থায়ী দাগ সৃষ্টি হতে পারে। প্রতিদিন সকাল ও রাতে মাইল্ড ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নেওয়া ত্বককে পরিষ্কার রাখে এবং দাগ পড়ায় ঝুঁকি কমায়।

অন্যদিকে, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের ট্রিট্মেন্টেসশনের অন্যতম কারণ। এই রশ্মি ত্বকের গভীরে গিয়ে কোষ ক্ষতি করে, যার ফলে সানস্পট, মেছতা বা কালো দাগ দেখা দিতে পারে। প্রতিদিন SPF সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে এই ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বক সুরক্ষিত থাকে এবং নতুন দাগ পড়া রোধ হয়। এমনকি ঘরে থাকলেও সূর্যালোকের প্রভাব থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরী। তাই নিয়মিত টক পরিষ্কার এবং সানস্ক্রিন ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুললে দাগ পড়া অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় এবং ত্বক দীর্ঘ মেয়াদে থাকে উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর।

পর্যাপ্ত পানি পান এবং পুষ্টিকর খাবার ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে

পর্যাপ্ত পানি পান এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ ত্বক সুস্থ, উজ্জল ও দাগমুক্ত রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পানি তোর থেকে তোকে হাইড্রেট করে এবং ত্বকের পর্যাপ্ত আর্দ্রতা পৌঁছাতে সাহায্য করে, হলে ত্বক থাকে কোমল মসৃণ ও প্রাণবন্ত। নিয়মিত পাঠ করলে শরীরের টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ ঘাম ও প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং ব্রণ বা দাগ করার প্রবণতা কমায়।

অন্যদিকে, পুষ্টিকর খাবারে থাকা ভিটামিন, খনিজ এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোশ গঠনে সহায়তা করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষ মেরামত করে। যেমন-ভিটামিন সি ত্বকে কোলাজেন তৈরি করে, যা ত্বককে টানটান ও দাগহীন রাখে। ভিটামিন ই ত্বককে রক্ষা করে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ব্রণ প্রতিরোধে সহায়তা করে। ফল, শাক সবজি , বাদাম, ডিম, মাছ ইত্যাদি নিয়মিত খেলে তোদের ভেতর থেকে পুষ্টি মেলে, যা বাইরে থেকে কোন ক্রিম বা ফেসপ্যাক এর চেয়েও দীর্ঘস্থায়ী উপকার দেয়। তাই সুন্দর তোর জন্য শুধু বাহ্যিক যত্নই নয়, পর্যাপ্ত পানি ও সুষম খাদ্য অপরিহার্য।

লেখকের শেষ কথা, মন্তব্য-মুখের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়

মুখের দাগ দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় গুলো সহজলভ্য, নিরাপদ এবং ব্যয়সাশ্রয়ী। প্রাকৃতিক ব্যবহারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা কম থাকে এবং ধীরে ধীরে নিজস্ব উজ্জ্বলতা ফিরে পায়। তবে এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোতে ধৈর্য ও নিয়ম-নীতি গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গে সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান,স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, মুখ পরিষ্কার রাখা এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করাও দাগ প্রতিরোধ কমাতেও সাহায্য করে। ত্বকের যত্ন কোন একদিনের কাজ নয়-এটি একটি ধারাবাহিক অভ্যাস। তাই পিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নিয়ে নিজেকে আরও বেশি ভালোবাসুন এবং নিজের সৌন্দর্যকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উপস্থাপন করুন।

সম্মানিত পাঠক, ধৈর্য সহকারে অনেক সময় নিয়ে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে/আপনাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন। উপরোক্ত আলোচনায় যেসব গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো আপনি পড়েছেন, আমি আশা করছি আপনি নিশ্চয়ই আপনার উপকারে আসবে বলে আপনি মনে করেছেন। যদি মনে করে থাকেন তাহলে তাহলে আপনি আপনার পরিবার,বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের সাথে কষ্ট করে শেয়ার করবেন। আপনার মূল্যবান সময় থেকে কিছুটা সময় বের করে এই ওয়েবসাইটটি মাঝে মাঝে ভিজিট করবেন। নতুন নতুন তথ্য দিয়ে ওয়েবসাইটটি সাজানোর চেষ্টা করব। এতে আপনি উপকৃত হবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাসুদা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url