ব্রণের চিকিৎসা কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে করা যায়
ব্রণের চিকিৎসা কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে করা যায়-ব্রণ হলো ত্বকের সবচেয়ে সাধারণ
অবস্থার মধ্যে একটি যা চুলের পলি কলগুলি তেল এবং মৃত ত্বকের কোষে দম বন্ধ হয়ে
যায় সমস্ত বয়স্ক কে প্রভাবিত করে, কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা
যায়।
এটি ঘটে যখন চুলের ফলিকলগুলি তেল মৃত ত্বকের কোষের দম বন্ধ হয়ে যায়। এই বাঁধার ফলে হোয়াইট হেডস, ব্ল্যাকহেডস, সহ বিভিন্ন ধরনের দাগ তৈরি হয়। ব্রণ দূর, বেশিরভাগই মুখ,কপাল, বুকে, উপরের পিঠ এবং কাঁধে দৃশ্যমান হয়।
পেজ সূচিপত্রঃ ব্রণ,লক্ষণ,কারণ, রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা
- ব্রণের চিকিৎসা কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে করা যায়
- রোদ এড়িয়ে চলুন রোদে ত্বকের খুব ক্ষতি হয়
- তেলযুক্ত ক্রিম বা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না
- ব্রণে হাত লাগাবেন না, খুটাবেন না
- চুলে এমন ভাবে তেল দেবেন না, যাতে মুখটাও তেলতেলে হয়ে যায়
- তেলযুক্ত বা ফাস্টফুড খাবার ও উচ্চ শর্করা যুক্ত খাবার পরিহার করুন
- ত্বকে সমস্যাগুলো যে কারণে হয় তা খুঁজে বের করা
- শসার রস, চালের গুড়া ও মধু , কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুড়ো
- ২৪ ঘন্টার মধ্যে ব্রণ দূর করার সাতটি কার্যকর উপায়
- লেখকের শেষ কথা, মন্তব্য-ব্রণের চিকিৎসা কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে করা যায়
ব্রণের চিকিৎসা কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে করা যায়
চা গাছের তেল, এর ব্যাকটেরিয়া বিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য ব্যাপকভাবে স্বীকৃ্ত,
সম্ভাব্যভাবে গ্রহণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে পারে। অ্যাপেল সিডার
ভিনেগার একটি জনপ্রিয় চিকিৎসা। এলোভেরা জেলে সেলিসিলিক এসিড এবং সালফার থাকে যা
সাধারনত ব্রণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। প্রথমে চন্দন কাঠের গুডোর সাথে
গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর এতে দুই তিন ফোঁটা লেবুর রস মিশান।
গোলাপজল অনেকের ত্বকের সাথে এডজাস্ট হয় না। আর সেই ক্ষেত্রে গোলাপজলের পরিবর্তে
মধু ব্যবহার করতে পারেন।
রোদ এড়িয়ে চলুন রোদে ত্বকের খুব ক্ষতি হয়
রোদ থেকে দূরে থাকাই ভালো, কারণ সূর্যের আলো থেকে আসা অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের
ক্ষতি করতে পারে। সূর্যের আলোতে বেশিক্ষণ থাকলে তো পড়ে যেতে পারে, অকালে ভরিয়ে
যেতে পারে এবং ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই রোড থেকে ত্বককে রক্ষা করা
উচিত। সূর্যের আলো থেকে টককে রক্ষা করার কিছু উপায় হলঃ
- সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন-দিনের বেলায় বাইরে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন
- ত্বক ঢেকে রাখুন-লম্বা হাতা জামা কাপড়, প্যান্ট টুপি ও সানগ্লাস ব্যবহার করে ত্বক ঢেকে রাখুন।
- সাওনের নিচে থাকুন-সূর্যের আলো থেকে বাঁচতে ছাউনি বা গাছের নিচে থাকার চেষ্টা করুন।
- ত্বক ঠান্ডা রাখুন-সূর্যের আলো থেকে আসার পর তক ঠান্ডা করার জন্য ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন এবং মশ্চেরাইজার লাগান
- ডাক্তারের পরামর্শ নিন-যদি রোদে পড়ার মতো কোনো সমস্যা হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন
তেলযুক্ত ক্রিম বা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না
তেলযুক্ত বা তৈলাক্ত ভাবের সমস্যা থাকলে, তেলযুক্ত ক্রিম বা ফাউন্ডেশন ব্যবহার
করা উচিত নয়। এর পরিবর্তে, ম্যাট বা ওয়েল-ফ্রি ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা ভালো,
জাতককে তৈলাক্ত হওয়া থেকে রক্ষা করবে এবং মেকআপ কে দীর্ঘস্থায়ী করবে। তেল যুক্ত
ত্বক বা তৈলাক্ত ভাবের সমস্যা থাকলে তেলযুক্ত ক্রিম বা ফাউন্ডেশন ব্যবহার
করলে ত্বক আরো বেশি তৈলাক্ত হয়ে যেতে পারে, যা মেকআপ কে সহজে নষ্ট করে দিতে পারে
এবং ব্রণের সমস্যাও বাড়াতে পারে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ম্যাড বা ওয়েল ফ্রি
ফাউন্ডেশন বেছে নেওয়া ভালো, যা ত্বককে শুষ্ক রাখতে সাহায্য করে এবং মেকআপ
কে দীর্ঘস্থায়ী করে। কিছু টিপস যা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সহায়কঃ
- ম্যাট ফিনিশযুক্ত ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন
- ওয়েল ফ্রি বা অয়েল কন্ট্রোলিং ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন
- ফাউন্ডেশন ব্যবহারের আগে একটি ভালো প্রাইমার ব্যবহার করুন
- ত্বক এর ধরন অনুযায়ী সঠিক ফাউন্ডেশন বেছে নিন
- দিনে কয়েকবার ফেস পাউডার ব্যবহার করে তোকে তেল মুক্ত রাখুন
- প্রয়োজন অনুযায়ী জলীয় বাষ্প গ্রহণ করুন
- এই টিপস গুলো অনুসরণ করে আপনি তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং একটি সুন্দর মেকআপ লোক পেতে পারেন।
ব্রণে হাত লাগাবেন না, খুটাবেন না
ব্রোন অ্যাপ লাগানো বা ফুটালে সমস্যা আরো বাড়তে পারে। এতে ব্রণের স্থানে
ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে প্রবাহ সংক্রমণ হতে পারে এবং দাগও হতে পারে। ব্রণে হাত
না লাগানো এবং না ফুটানোর কিছু কারণ নিচে দেওয়া হলঃ
- সংক্রমণ-ব্রণে হাত লাগালে বা ফুটলে হাতের জীবাণু ব্রণের মধ্যে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
- দাগ-ব্রণ ফোটালে বা চাপ দিলে ত্বকের ভিতরে প্রদাহ হতে পারে এবং এর ফলে ব্রণের দাগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
- অন্যান্য ব্রণ-একটি ব্রণ ফুটলে তার আশেপাশে থাকা অন্যান্য ব্রণের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে
- ত্বকের ক্ষতি-ব্রণ ঘটলে বা চাপ দিলে তো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা পরবর্তীতে ব্রণের দাগ বা অন্যান্য ত্বকের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। করণীয়ঃ
- হাত না লাগানো এবং না খোঁটানো
- ত্বক পরিষ্কার রাখা ও মশ্চারাইজার ব্যবহার করা
- প্রয়োজনে চিকিৎসা পরামর্শ নেওয়া
চুলে এমন ভাবে তেল দেবেন না, যাতে মুখটাও তেলতেলে হয়ে যায়
ব্রণের চিকিৎসা কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে করা যায়-কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। চুলে
তেল দেওয়ার ক্ষেত্রেও কথাটা সত্য। অথচ আগে বেশিরভাগ মানুষেরই অভ্যাস ছিল
চুলে করে তেল দেওয়া। তাতে উল্টো ক্ষতি হয়। তেল দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে
হবে যাতে মুখ তৈলাক্ত না হয়ে যায়। এক্ষেত্রে, তেল ব্যবহারের পরিমাণ এবং পদ্ধতি
দুটি গুরুত্বপূর্ণ। বেশি তেল ব্যবহার না করে, অল্প পরিমাণে তেল নিয়ে চুলের
গোড়ায় ভালো করে মেসেজ করা উচিত। এছাড়া, তেল লাগানোর পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে
শ্যাম্পু করে নিলে তৈলাক্ত ভাব কমে যাবে। তেল ব্যবহারের সঠিক নিয়মঃ
- ব্যবহারের আগে মাথায় ত্বক পরিষ্কার করে নিন
- অল্প পরিমানে তেল নিয়ে মাথার তালুতে মেসেজ করুন
- তেল লাগানোর পর ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন
- এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন
- যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত হয়, তাহলে তেল ব্যবহারে পরিমাণ আরো কমিয়ে দিতে হবে
- তেল লাগানোর পর বাইরে বের হলে, চুল বেঁধে নিন যাতে মুখে তেল না লাগে।
- এই নিয়মগুলো মেনে চললে চুলে তেল ব্যবহার করেও চুল ও ত্বক দুটোই ভালো থাকবে
তেলযুক্ত বা ফাস্টফুড খাবার ও উচ্চ শর্করা যুক্ত খাবার পরিহার করুন
তেলযুক্ত বা ফাস্টফুড খাবার এবং উচ্চ শর্করাযুক্ত খাবার পরিহার করা স্বাস্থ্যকর।
এই খাবারগুলোতে সাধারণত ক্যালরি বেশি থাকে, যা ওজন বৃদ্ধি করে এবং হৃদরোগ,
ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। এবং এসব খাবার খেলে মুখে
ব্রণ উঠার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
তেল যুক্ত বা ফাস্টফুড খাবার পরিহার করার কারণঃ
- এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট বা চর্বি থাকে, যার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়
- এগুলোতে সাধারণত ট্রান্স ফ্যাট থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর
- এগুলোতে অতিরিক্ত লবণ এবং চিনি থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে
- এগুলোতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের অভাব থাকে, যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে না।
স্বাস্থ্যকর খাবার নির্বাচনঃ
- ফল, সবজি , শস্য এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি করে খান
- পরিমিত পরিমানে ফ্যাট গ্রহণ করুন এবং চেষ্টা করুন অসম্পৃক্ত ফ্যাট যেমন জলপাই তেল, বাদাম, বীজ ইত্যাদি খেতে।
- প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্টফুট এবং অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন
উচ্চ শর্করাযুক্ত খাবার পরিহার করার কারণঃ
- অতিরিক্ত শর্করা শরীরে ফ্যাট হিসেবে জমা হয়, যা বাড়াতে সাহায্য করে।
- উচ্চ শর্করা যুক্ত খাবার শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে, যা ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়
- এগুলো শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে, যা বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে।
ত্বকে সমস্যাগুলো যে কারণে হয় তা খুঁজে বের করা
ব্রণের চিকিৎসা কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে করা যায়-ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।
ধান কারণ গুলোর মধ্যে রয়েছে সংক্রমণ, যেমন-ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বা ভাইরাস,
এলার্জি, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শ,জেনেটিক কারণ,দূর্বল রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা এবং কিছু অন্তর্নিহিত রোগ।ত্বকের সমস্যার কিছু সাধারণ কারন নিচে উল্লেখ
করা হলোঃ
- সংক্রমণ
- এলার্জি
- সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি
- জেনেটিক কারণ
- দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
- অন্যান্য রোগ
- শুষ্ক ত্বক
- হরমোন পরিবর্তন
- কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- চুলকানি
১২ বছর বয়স হলেই মুখমন্ডল, গল্ পিঠে ব্রণের উপদ্রব দেখা যায়, ছেলে মেয়ে
উভয়ের ত্বকেই দেখা যায়। তৈলাক্ত ত্বকেই আস্তানা গাড়ে বেশি। তৈলাক্ত তোকে
লোমকূপ খোলা থাকে, এ কারণে তেলের নিঃসরণ হয় বেশি। অতিরিক্ত তেলের কারণে ত্বকের
উপর জ্বালাপোড়া টাও হয় বেশি। অনেক সময় ব্রণ থেকে পুঁজ বের হয়। একটা থেকে
তিনটা, তিনটা থেকে পাঁচটা-গাল, নাক ভরে যায়। তেলের প্রভাব কমানোর জন্য মুখে
ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিতে হবে দিনের মধ্যে ৫-৬ বার। পানির আছে নিজস্ব ঔষধি
গুন। পানি দিয়ে কয়েকবার চেহারা ধুলে ব্রণের সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে। কারণ, এতে
লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাবে। তেল নিঃসরণও কমে যাবে। তবে মজার বিষয় হলো অতিরিক্ত শুষ্ক
ত্বক থেকেও কিন্তু ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের ত্বকে ক্রিমের একটা
আস্তরণ যেন সবসময় থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
শসার রস, চালের গুড়া ও মধু , কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুড়ো
শসার রস, চালের গুড়া ও মধু , কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুডো-
এসব ঘরোয়া জিনিসপত্র দিয়ে ব্রণের চিকিৎসা করা অতি সহজ। শসার রস তৈলাক্ততা দূর
করতে খুবই কার্যকর। প্রতিদিন বাইরে থেকে এসে শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে
পারেন। কিংবা আইস কিউব করে রেখেও ইউজ করতে পারেন, এতে ওপেন পোরসের প্রবলেম ও সলভ
হবে অনেকটা। শসার রস মুখে ব্রণ দূর করতে খুবই কার্যকর। এছাড়া স্ক্রাব হিসেবে
ব্যবহার করতে চাইলে এর সঙ্গে চালের গুড়া মিশিয়ে নিলেই হবে। যাদের মধুতে
অ্যালার্জি নেই তারা সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন এই মিশ্রণে। সপ্তাহে দুই
দিন এই প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার হবে। ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহ্যাডস দূর
হয়ে যাবে। খেয়াল রাখতে হবে ব্রণ থাকলে স্ক্রাব করা যাবে না।
কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুডো ব্রণের জন্য খুবই কার্যকর দুটো উপাদান। সমপরিমাণ
বাটা কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের একত্রে নিয়ে এতে পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে পেস্ট
তৈরি করে নিতে হবে। মিশ্রণটি এরপর ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ
পর শুকিয়ে গেলে মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি শুধুমাত্র
ব্রণ দূর করার কাজ করে না বরং ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
২৪ ঘন্টার মধ্যে ব্রণ দূর করার সাতটি কার্যকর উপায়
ব্রণের চিকিৎসা কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে করা যায়-২৪ ঘন্টার মধ্যে ব্রণ দূর করার
কিছু ঘরোয়া উপায় ও কার্যকরী ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। নিচে চব্বিশ ঘন্টার
মধ্যে ব্রণ দূর করার সাতটি কার্যকরী উপায় আলোচনা করা হলোঃ
আরো পড়ুনঃ
ডায়রিয়া হলে আমাদের করণীয় কি কি
- বরফ ব্যবহার-ব্রণের উপর বরফ ঘুষলে প্রদাহ কমে এবং ফোলা ভাব হ্রাস পায়। এটি রক্তনালী গুলিকে সংকুচিত করে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কয়েকবার বরফ ব্যবহার করুন।
- বেকিং সোডা পেস্ট-বেকিং সোডা প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে এবং ব্রণের কমাতে সাহায্য করে। অল্প বেকিং সোডার সাথে অল্প পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করে ব্রণের উপর লাগিয়ে এক মিনিট মেসেজ করে ধুয়ে ফেলুন
- এলোভেরা জেল-এলোভেরা প্রাকৃতিক উপাদান যা ব্রণের প্রদাহ কমাতে এবং ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। ব্রণের এলোভেরা জেল লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।
- চা গাছের তেল-চা গাছের তেল এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যযুক্ত যা ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে। তুলোর সাহায্যে ব্রণের উপর চা গাছের তেল লাগান
- অতিরিক্ত প্রসাধনী পরিহার-ব্রণ হলে মেকআপ এবং অন্যান্য প্রসাধনী ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন
- পর্যাপ্ত ঘুম ও পানিপান-প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে
- হালকা গরম পানির ভাব-হালকা গরম পানির ভাব নিলে লোমকূপ পরিষ্কার হয় এবং ব্রণ ওঠার সম্ভাবনা কম থাকে
উপরের উপায় গুলো চেষ্টা করার পরেও যদি ব্রণ না কমে তাহলে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের
পরামর্শ নিন। এছাড়াও , বাজারে উপলব্ধ ব্রণরোধী ক্রিম যেমন
নোভাক্লিয়ার একমি ক্রিম, নরম্যাকনে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ক্লিনজিং ফেসিয়াল
জেল ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।
লেখকের শেষ কথা, মন্তব্য-ব্রণের চিকিৎসা কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে করা যায়
ব্রণের চিকিৎসা কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে করা যায়-এই ব্যাপারে আরো কিছু আলোচনা করা
হলোঃ প্রতিদিন ৯-১০ গ্লাস পানি পান করুন। প্রতিদিন রাতের খাবারের পর যে কোন ধরনের
মৌসুমি ফল খান। আপনার ত্বকের সতেজ রাখবে। যতটা সম্ভব যুক্ত বা ফাস্টফুড জাতীয়
খাবার পরিহার করতে হবে।সব সময় বাইরে থেকে আসা মাত্র মুখ ফেইস ওয়াশ শ দিয়ে
ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া হালকা গরম পানির স্টিম নিতে পারেন। এতে করে ত্বকে জমে থাকা
ধুলোবালি পরিষ্কার হয়ে যায়। আমাদের মধ্যে অনেকেই নখ দিয়ে ব্রণ খোটার বাজে
অভ্যাস রয়েছে। আমাদের বুঝতে হবে এটা কোন সমাধান না। উল্টো এতে ব্রণের অবস্থা আরো
খারাপ হবে। এর ফলে ব্রণ লাল হয়ে যাবে। এমনকি তা ফেটে গিয়ে মুখে দাগের
সৃষ্টি করবে। ব্রণ না যাওয়া পর্যন্ত মেকআপ ব্যবহার না করাই উচিত। দিনে
অন্তত দুইবার তেল-মুক্ত ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
প্রিয় পাঠক, কষ্ট করে ধৈর্য সহকারে এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক
অভিনন্দন। এই আর্টিকেলে আমার মনে হয় যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা
হয়েছে, বর্তমান সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। ঘরে ঘরে এই সমস্যাটি
তীব্র আকারে দেখা দিয়েছে। লেখাটি পড়ে যদি আপনি মনে করেন যে আপনার পরিবারের,
প্রিয়জনের বা বন্ধু-বান্ধবদের উপকার হতে পারে,তাহলে কষ্ট করে অবশ্যই এই
আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন। মূল্যবান সময় থেকে কিছুটা সময় বের করে মাঝে মাঝে এই
ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখা পেয়ে
যাবেন যা আপনার বা আপনাদের অবশ্যই উপকারে আসবে, ধন্যবাদ।
মাসুদা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url