ছাত্রদের পড়াশোনার পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং-বিষয়টি একটি সুন্দর ও তথ্যবহুল
বিষয়।বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভরযোগে কেবল পাঠ্যপুস্তক ভিত্তিক শিক্ষা যথেষ্ট
নয়, বরং বাস্তব জীবনের দক্ষতা অর্জন করা অত্যন্ত জরুরী। এক্ষেত্রে ডিজিটাল
মার্কেটিং একটি জনপ্রিয় ও লাভজনক ক্ষেত্রে হিসেবে সামনে এসেছে। আজকের ছাত্র
সমাজের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রতি আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে,
যা ভবিষ্যতের জন্য এক ইতিবাচক দিক নির্দেশনা
বর্তমান যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং বহুল পরিচিত একটি সেক্টর। বিশেষ করে
ছাত্রছাত্রীদের জন্য এটি একটি চমৎকার সুযোগ, যেখানে তারা পড়াশোনার পাশাপাশি
অনলাইনে দক্ষতা অর্জন করে নিজের আর্থিক স্বাবলম্বীতা গড়ে তুলতে
পারে। ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা যেমন তেমনি ভবিষ্যতে এটি উদ্যোক্তা হওয়ার
পথকে ও প্রশস্ত করে। অল্প সময়ে শেখা যায় এমন একটি স্কিল ছাত্রদের আত্মবিশ্বাস,
সময় ব্যবস্থাপনা এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের দুর্দান্ত একটি উপায় হিসেবে
বিবেচিত হচ্ছে।
পেজ সূচিপত্রঃ ছাত্রদের পড়াশুনার পাশাপাশি ডিজিলার মার্কেটিং করে স্বাবলম্বী হওয়া
ছাত্রদের পড়াশুনার পাশাপাশি ডিজিলার মার্কেটিং করে ক্যারিয়ার গড়ে তোলা
ছাত্রদের পড়াশোনার পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং করে ক্যারিয়ার গড়ে তোলা-বিষয়টি
খুবই যুক্তিযুক্ত এবং এবং চরম বাস্তবতা উঠে এসেছে। বর্তমান যুগে ক্যারিয়ার
গঠনের ধরন পরিবর্তন হয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি ক্ষেত্র, যা একজন ছাত্রকে
পড়াশুনার পাশাপাশি নিজেকে একটি সকল ক্যারিয়ারের প্রতি এগিয়ে নিতে সহায়তা করে।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য প্রথাগত শেখা বাধা নয়, বরং এটি এমন একটি স্কিল
যেটি ইন্টারনেট ও মোবাইল অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমে খুব সহজে শেখা যায়। একজন
শিক্ষার্থী ফেসবুক মার্কেটিং , ইউটিউব মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং , এস ই ও
এবং গুগল এডস এর মত বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে করে বসেই অনলাইনে আয় করতে পারেন।
শিক্ষার্থীরা সাধারণত পড়াশোনার পর অবশ্যই সময় ডিজিটাল
মার্কেটিংচর্চাকরেপ্রাথমিকভাবে ফ্রিল্যান্সিং বা পার্টটাইম প্রজেক্ট নিয়ে
কাজ শুরু করতে পারে। এর থেকে বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা হয়, অন্যদিকে আয় করার
সুযোগও তৈরি হয়। এভাবে ধাপে ধাপে কাজ করে একজন শিক্ষার্থীকে খুব অল্প বয়সে
নিজের একটি শক্তিশালী প্রোফাইল তৈরি করতে পারেন। এই দক্ষতা ভবিষ্যতে
চাকরিপ্রাপ্তির
ক্ষেত্রেও অনেক বেশি মূল্যবান, বর্তমান সময়ে প্রায় প্রকৃতি কোম্পানি
ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হচ্ছে খুজছে। এমন এমনকি কেউ চাইলে নিজেই
উদ্যোক্তা হয়ে নিজের পণ্য বা সেবা অনলাইনে প্রচার ও বিক্রি করতে পারেন। ফলে
ডিজিটাল মার্কেটিং শুধু একটি স্কিল নয়, বরং এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি সম্ভাবনাময়
ক্যারিয়ার।
পড়াশুনার পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখলে ছাত্ররা অনলাইনে আয়ের
সুযোগ
ছাত্রদের পড়াশোনার পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং-পড়াশুনার পাশাপাশি ডিজিটাল
মার্কেটিং শিখলে ছাত্ররা অনলাইনে আয়ের সুযোগ পায়। তাই অনেক শিক্ষার্থী
পড়াশুনার পাশাপাশি কোন দক্ষতা অর্জনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে যার মধ্যে সবচেয়ে
জনপ্রিয় সম্ভাবনা ক্ষেত্র হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। এটি এমন একটি ক্ষেত্র,
যেখানে খুব অল্প সময় দক্ষতা অর্জন করে একজন শিক্ষার্থী অনলাইন থেকে আয় করতে
পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন শাখা রয়েছে যেমনঃ
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
কন্টেন্ট মার্কেটিং
ইমেইল মার্কেটিং
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
ফ্রিল্যান্স মার্কেটিং সার্ভিস
এফিলিয়েট মার্কেটিং ও ড্রপ শিপিং
এই সবগুলোর মাধ্যমেই শিক্ষার্থীরা অনলাইনে কাজ করতে পারে-যা একদিকে আয় করার
পথ খুলে দেয়। অন্যদিকে রেজমেতে প্রফেশনাল অভিজ্ঞতা হিসেবে যুক্ত হয়। ছাত্রদের
জন্য সবচেয়ে বড় সুবিধা হল-তারা পড়াশোনার পাশাপাশি সময় অনুযায়ী নিজস্ব
গতিতে শেখার ও কাজ করার সুযোগ পান। একজন ছাত্র যদি প্রতিদিন এক থেকে দুই ঘন্টাও
দক্ষ ভাবে এই চর্চা করে, তবে কয়েক মাসের মধ্যে এসে ছোটখাটো প্রকল্পে কাজ করে
আয় শুরু করতে পারেন। অনেক সময় দেখা যায় শিক্ষার্থীরা তাদের ফেসবুক পেজ বা
ইউটিউব চ্যানেল চালু করে সেখানে ইনকাম করতে সক্ষম হয়।
যারা আরও এগিয়ে যেতে চাই তারা অনলাইন কোর্স করে বা কোন প্রতিষ্ঠান থেকে
প্রশিক্ষণ নিয়ে পার্টটাইম চাকরি বা ইন্টারসিপ করেও আয়ের সুযোগ পায় । সবচেয়ে
বড় কথা, এই আয় শিক্ষার্থীদের নিজের খরচ চালাতে, পরিবারকে সাপোর্ট দিতে এবং
ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে সহায়তা করে। হলে পড়াশোনার পাশাপাশি ডিজিটাল
মার্কেটিং শেখা ছাত্রদের জন্য যুগোউপযোগী ও ও বাস্তবমুখী সিদ্ধান্ত।
ফেসবুক ইউটিউব ইনস্টাগ্রামের মতো প্লাটফর্মে মার্কেটিং সেটা সহজ এবং চাহিদা অনেক
ছাত্রদের পড়াশোনার পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং-এই বিষয়ে ফেসবুক, ইউটিউব
ইনস্টাগ্রাম এর মত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে মার্কেটিং করা বর্তমান যুগে খুবই
সহজ, কার্যকর এবং চাহিদা সম্পন্ন একটি পদ্ধতি। আমরা বিস্তারিত আলোচনা করছিঃ এর
তিনটি দিক রয়েছে
সহজতা
বিপুল চাহিদা
ব্যবসার জন্য সুবিধা
সহজতাঃ
ফ্রেন্ডলি ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস -ফেসবুক , ইউটিউব। বা ইনস্টাগ্রাম
ব্যবহারে কোন জটিলতা নেই সামান্য প্রশিক্ষণ এই একজন ব্যক্তি বিজ্ঞাপন চালানো শিখে
নিতে পারে। ফ্রি প্লাটফর্ম-শুরুতে কোন খরচ ছাড়াই পেজ , চ্যানেল বা প্রোফাইল
তৈরি করে মার্কেটিং শুরু করে যায়। অটোমেশন ও টুলস-বিজ্ঞাপন চালানোর জন্য
ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজার, ইউটিউব স্টুডিও বা ইনস্টাগ্রাম ইনসাইডস-স এর মতো টুলস
রয়েছে যা সহজে ব্যবহার করা যায়
টিউটোরিয়াল ও গাইড-ইউটিউবে হাজারো
ভিডিও টিউটোরিয়াল পাওয়া যায় যা দেখে শেখা যায় কিভাবে মার্কেটিং করতে হয় বিপুল
চাহিদাঃ ব্যবহারকারীর সংখ্যা-ফেসবুক, ইউটিউব এবং ইনস্টাগ্রাম মিলিয়ে
প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ সক্রিয় থাকেন।ফলে বিপণনের জন্য একটি বিশাল শ্রোতা সহজে
পাওয়া যায়। ব্র্যান্ড ভেলো গড়ে তোলা-এই প্লাটফর্ম গুলোতে নিয়মিত কনটেন্ট
আপলোড করে একটি ব্র্যান্ডকে জনপ্রিয় করা সহজ। টার্গেট মার্কেটিং-বয়স,
এলাকা, আগ্রহ , পেশা ইত্যাদি অনুযায়ী টার্গেট করে বিজ্ঞাপন চালানো যায়, ফুলে
সঠিক কাস্টমারদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়।
কাস্টমার রেসপন্স-সোশ্যাল মিডিয়ার কাস্টমারদের মন্তব্য , রিভিউ , ইনবক্স এর
মাধ্যমে সরাসরি ফিডব্যাক পাওয়া যায় এবং দ্রুত সারা দেওয়া সম্ভব।
ব্যবসার জন্য সুবিধাঃ
নতুন পণ্য/সার্ভিস সহজে পরিচিত করানো যায়
লাইভ ভিডিও , রিয়েল , শর্ট ইত্যাদির মাধ্যমে প্রচারণা আরো আকর্ষণীয় হয
ছোট ব্যবসা বা স্টার্টআপ এর জন্য কম খরচে বৃহৎ বাজারে প্রবেশের সুযোগ তৈরি
হয়
বর্তমান যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং মানেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। ফেসবুক,
ইউটিউবও ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্ম গুলোতে সহজে নিজের ব্যবসা প্রচার করে
সফলতা অর্জন করা সম্ভব। এই কারণে এসব প্লাটফর্মে মার্কেটিং এর চাহিদা দিন দিন
আরো বাড়ছে।
যারা ভবিষ্যতেও উদ্যোক্তা হতে এতা নিয়ে আলোচলা চায় তাদের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং কেন অপরিহার্য
পড়াশোনার পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং-যারা ভবিষ্যতে উদ্যোক্তা হতে চান,তাদের
জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এখন অপরিহার্য -এটা শুধু সময়ের দাবি নয় , এটি একটি
ব্যবসার সাফল্যের চাবিকাঠি। বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
কেন এই ডিজিটাল মার্কেটিং অপরিহার্য-গ্রাহকের অবস্থান এখন অনলাইনে। বর্তমানে
অধিকাংশ মানুষ ফেসবুক ইউটিউব , ইনস্টাগ্রাম , গুগল সহ নানা ধরনের ডিজিটাল
প্লাটফর্মে সক্রিয়। উদ্যোক্তা হিসেবে আপনি যেখানে আপনার গ্রাহক সেখানে পৌঁছাতে
পারবেন তা হল অনলাইন।
সঠিক টার্গেট অডিয়েন্স নির্বাচন করা হয়-ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট
বয়স , এলাকা , আগ্রহ আগ্রহ ও আচরণভিত্তিক গ্রাহকদের টার্গেট করা হয়। এর বাজেট
বাচে এবং ফলাফল দ্রুত পাওয়া যায়।
কম খরচে প্রচার-প্রিন্ট মিডিয়া বাটি বিজ্ঞাপনের তুলনায় ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক
সাশ্রয়ী। অল্প টাকা খরচ করেও লক্ষাধিক মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়।
রিয়েল টাইম ফলাফল ও বিশ্লেষণ-ফেসবুক বা গুগল বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কতজন দেখলো ,
ক্লিক করলো , কে ইনবক্স করলো-সবকিছু লাইভ ট্র্যাক করা যায়। এটি ব্যবসার কৌশল
বদলাতে বা উন্নত করতে সহায়ক।
ব্র্যান্ড গড়ে তোলার সুযোগ-ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে একজন উদ্যোক্তা নিজেকে
প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। , নিয়মিত কনটেন্ট , রিভিউ , লাইভ এবং ভিডিও মার্কেটিং
ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়ায়।
প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য-আপনার প্রতিযোগীরা যখন ডিজিটাল মার্কেটিং
করছে, আপনি যদি না করেন তাহলে পিছিয়ে পড়বেন। বর্তমান মার্কেট কম্পিটেশনে
টিকে থাকতে হলে ডিজিটাল মার্কেটিং জানা বাধ্যতামূলক।
অল্প সময়ে শেখা যায় এবং ইন্টার্নশিপ বা ফ্রিল্যান্স কাজ শুরু করা
যায়
অল্প সময়ে শেখা যায় এবং ইন্টার্নশিপ বা ফ্রেন্ডস কাজ শুরু করা যায় ডিজিটাল
মার্কেটিং হল এমন একটি দক্ষতা-অল্প সময়ে শেখা সম্ভব এবং ঘরে বসে ইন্টার্নশিপ
কিংবা ফ্রিল্যান্সা কাজ শুরু করা যায়। বর্তমানে প্রযুক্তি নির্ভরযোগে ইউটিউব ,
ফেসবুক , গুগল বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে হাজারো বিনামূল্যে টিউটোরিয়াল ও কোর্স
সহ লব্য হওয়ায় যে কেউ মাত্র এক থেকে তিন মাস নিয়মিত শেখার মাধ্যমে-ডিজিটাল
মার্কেটিং এর মৌলিক বিষয়গুলো রপ্ত করতে পারে।SEO, কনটেন্ট মার্কেটিং, ফেসবুক
এডস, ইউটিউব মার্কেটিং বা সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর মত স্কিল গুলো
বর্তমানে অত্যন্ত চাহিদা সম্পন্ন। শেখার পর শিক্ষার্থীরা চাইলে অনলাইনেই বিভিন্ন
মার্কেটপ্লেস যেমন-Fiverr,Upwork,Freelancer-এ প্রোফাইল তৈরি করে ঘরে বসেই
আয় শুরু করতে পারেন।
এছাড়া অনেক ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি বা ই-কমার্স কোম্পানি অনলাইনে থাকে,
যেখানে শিক্ষার্থীরা বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। ফলে অল্প সময়ে শেখা ,
নিজের পোর্টফোলিও তৈরি করা এবং ঘরে বসে ফ্রিলেন্স বা ইন্টার্নশিপ শুরু করা এখন আর
স্বপ্ন নয়-বরং একটি বাস্তব এবং সম্ভাবনাময় কেরিয়ার পথ। যে কেউ মাত্র কয়েক
সপ্তাহ বা মাসে SEO, Facebook Marketing,Contant Creation,Youtube Management -এর
মতো গুরুত্বপূর্ণ স্কিলগুলো আয়ত্ত করতে পারে।শেখার পর নিজের একটি ফেসবুক পেজ বা
ইউটিউব চ্যানেল খুলে চর্চা শুরু করা যায়,যা ভবিষ্যতের জন্য পোর্টফোলিও হিসেবে কাজ
করে। এমনকি অনেক প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ইনটার্ন নিয়োগ দেয় , যেখানে কাজ শিখে
বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায্ এভাবে কেউ নিজের স্কিল ডেভলপ করে ক্যারিয়ার
গড়ে তুলতে পারে ডিজিটাল জগতে।
শিক্ষা জীবনের ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা মানে ক্যারিয়ার প্রস্তুতির পথে এক
ধাপ এগিয়ে যাওয়া
পড়াশোনার পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং-শিক্ষা জীবনে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা মানে
কেরিয়ার প্রস্তুতির মধ্যে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। বর্তমান যুগের শুধু একাডেমিক
পড়াশোনা নিয়ে সকল ক্যারিয়ার গঠন করা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ
প্রতিযোগিতা যেমন বাড়ছে , তেমনি আধুনিক স্টিলের চাহিদা দিন দিন বেড়ে
চলেছে। এই পরিস্থিতিতে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা একজন শিক্ষার্থীর জন্য ক্যারিয়ার
গঠনের একটি স্মার্ট ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ।
বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ-ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি ক্ষেত্র , যেখানে আপনি
শেখার সাথে সাথেই প্র্যাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা নিতে পারেন। নিজের ফেসবুক পেজ ইউটিউব
চ্যানেল , কিংবা ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল ব্যবহার করে শেখায় স্কিল গুলো অনুশীলন করা
যায়। এতে আপনি শুধু থিউরি নয় বাস্তব কাজ শিখে হাতে কলমে অভিজ্ঞতা অর্জন
করতে পারেন-যা ভবিষ্যতের চাকরি বা ব্যবসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
পড়াশুনার পাশাপাশি ইনকামের পথ-অনেক শিক্ষার্থী খণ্ডকালীন আয় করতে চান। ডিজিটাল
মার্কেটিং শেখার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং , এফিলিয়েট মার্কেটিং , কন্টেন্ট লেখা ,
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট , গ্রাফিক ডিজাইন বা ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে ঘরে আয়
করা যায়। এতে করে শিক্ষাজীবনেই অর্থনৈতিকভাবে কিছুটা বৃষ্টি খেতে আবার
স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব হয়।
ক্যারিয়ারে একধাপ এগিয়ে থাকা-বিশ্বজুড়ে আজকের শুধু সার্টিফিকেট যথেষ্ট
নয়-পাশাপাশি প্রাক্টিক্যাল স্কিল ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । ডিজিটাল মার্কেটিং
শেখার ফলে আপনি একজন স্কিল্ড প্রফেশনাল হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারেন। ভবিষ্যতে
আপনি যখন কোন জব ইন্টারভিউতে যাবেন , তখন আপনার হাতে যদি বাস্তব কাজের
অভিজ্ঞতা ও পোর্টফোলিও থাকে , সেটা আপনাকে শত শত প্রার্থীর মধ্যে আলাদা করে
দিবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে নিজের ছোট ব্যবসা অনলাইনে ব্র্যান্ড হিসেবে করে
তোলা সম্ভব
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে নিজের ছোট ব্যবসা অনলাইনে ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে
তোলা সম্ভব-এই আলোকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে নিজের ছোট ব্যবসাকে অনলাইনে
একটি ব্রান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা পুরুষের সম্ভাব্য এবং বাস্তবতা নির্ভর একটি
কৌশল। আজকের দিনে তারা অনলাইনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে-তারা পণ্য বা সেবার
তথ্য, রিভিউ , প্রমোশন এবং পরিচিতি সবকিছু ইন্টারনেটে খোঁজ করে। এ অবস্থায়
একটি ছোট ব্যবসা যদি সঠিকভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করে , তবে খুব অল্প
সময়ে সে ব্যবসা অনলাইনে একটি পরিচিত ও জনপ্রিয় ব্র্যান্ডে পরিণত হতে পারে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূল সুবিধা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূল সুবিধা হল স্বল্প
বাজেটে বড় পরিসরে প্রচার করা যায়। যেমন-ফেসবুক পেজ খুলে নিয়মিত আকর্ষণীয়
পোস্ট , প্রোডাক্ট এর ছবি , ভিডিও রিভিউ এবং লাইভ শেয়ার এর মাধ্যমে একটি
ব্যবসাকে মানুষের চোখে আনা যায়। ইন্সটাগ্রামে ভিজুয়াল কনটেন্ট এর মাধ্যমে
ব্র্যান্ডের সৌন্দর্য ওমান তুলে ধরা যায় , আবার ইউটিউবে পণ্যের ডেমো বা
টিউটোরিয়াল ভিডিও দিয়ে বিশ্বাস অর্জন করা সম্ভব। গুগল বা ফেসবুকে এদের মাধ্যমে
নির্দিষ্ট শ্রোতাদের টার্গেট করে বিজ্ঞাপন চালিয়ে খুব অল্প খরচে বিপুল সংখ্যক
মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। এছাড এসইও-সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে গুগলে
নিজের ওয়েবসাইট বা পণ্যের অবস্থান উন্নত করা সম্ভব হয় , যা ক্রেতাদের বিশ্বাস
অর্জনে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
সঠিক সময়ের ব্যবহার একজন শিক্ষার্থী পড়াশোনার পাশাপাশি দক্ষ
ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারে
সঠিক সময়ের সঠিক ব্যবহার একজন শিক্ষার্থী পড়াশুনার পাশাপাশি দক্ষ ডিজিটাল
মার্কেটার হতে পারে--সঠিক সময়ের সঠিক ব্যবহার একজন শিক্ষার্থীর জীবন পরিবর্তনের
বড় চাবিকাঠি হতে পারে। বর্তমান যুগে পড়াশোনার পাশাপাশি একজন শিক্ষার্থী যদি
সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগায়, তবে সে দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবেও গড়ে উঠতে
পার্ এটি শুধু বাড়তি একটি স্কিল নয়, বরং ভবিষ্যতের ক্যারিয়ার গঠনের একটি
শক্তিশালী ভিত্তি। আজকের বিশ্বে-ডিকেল মার্কেটিং একটি দ্রুত বিকাশ মান ক্ষেত্র ,
যেখানে রয়েছে বিপুল চাহিদা , আয়ের সম্ভাবনা এবং আত্মনির্ভরশীল হওয়ার সুযোগ।
একজন শিক্ষার্থী প্রতিদিন পড়াশোনার পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু সময় ডিজিটাল
মার্কেটিং শেখার জন্য বরাদ্দ করলে মাত্র কয়েক মাসের সে এসইও , ফেসবুক ও
ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং , কন্টেন্ট ক্রিয়েশন , ইউটিউব মার্কেটিং , গুগল এডস
, ইমেইল মার্কেটিং ইত্যাদি দক্ষতা অর্জন করতে পারে।
সঠিক সময় ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ইউটিউব , গুগল বা অনলাইন কোর্স থেকে
শেখা শুরু করতে পারে। শেখার পরে নিজের প্র্যাকটিস পেজ বা প্রোফাইল খুলে কাজের
চর্চা করে , ছোট প্রজেক্ট নিয়ে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা অর্জন করে । এরপর
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এ কাজ শুরু করা বা ইন্টার্নশিপ নেওয়ার মাধ্যমে সে
একটি প্রফেশনাল ক্যারিয়ার মধ্যে এগিয়ে যেতে পারে। তাই সময় নষ্ট না করে নিয়মিত
শেখার অভ্যাস গড়ে তোলা একজন শিক্ষার্থীকে শুধু পড়ালেখায় নয় বরং ডিজিটাল
মার্কেটিং এর মত আধুনিক স্কিল অর্জনের মাধ্যমে ক্যারিয়ারের জন্য প্রস্তুত
করে তোলে। সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্তই একজন শিক্ষার্থীকে দক্ষর ডিজিটাল
মার্কেটের ও ভবিষ্যতের সফল পেশাজীবী হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।
এই যুগে শুধু একাডেমিক জ্ঞান নয়, ডিজিটাল স্কিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ
ছাত্রদের পড়াশোনার পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং--এই যুগে শুধু একাডেমিক জ্ঞান নয়
ডিজিটাল স্টিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ-বর্তমান বিশ্বের শিক্ষা ও পেশা জীবনের ধরন
আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি পরিবর্তিত হয়েছে। আগে যেখানে শুধু
একাডেমিক ডিগ্রী বা সার্টিফিকেট থাকলে ভালো চাকরি পাওয়া যেত , এখন সেখানে
টিকে থাকতেও এগিয়ে যেতে হলে প্রয়োজন ডিজিটাল স্কিল। কারণ , বিশ্ব এখন ডিজিটাল
যুগে প্রবেশ করেছে-সবকিছুই এখন অনলাইন ভিত্তিক , প্রযুক্তি নির্ভর এবং স্কিল
ভিত্তিক হয়ে উঠছে। দ্বিমিক শিক্ষা একজন শিক্ষার্থীর মৌলিক এত জ্ঞান ,
চিন্তাভাবনা ও বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা করে তুলে।
ডিজিটাল স্কিলঃ বর্তমান ও ভবিষ্যতের শক্তি-
ডিজিটাল মার্কেটিং
গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ভিডিও এডিটিং
ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট
ডাটা এনালিটিক্স ও এসইও
এ আই ও অটোমেশন টুলস ব্যবহারের ক্ষমতা
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের ক্ষমতা
চাকরি বা উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মনির্ভরশীল করে তোলা
কেন ডিজিটাল স্কিল এত গুরুত্বপূর্ণঃ
চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা বেশি-শুধু সার্টিফিকেট নয় স্কিল দেখে নিয়োগ
দেওয়া হয়
আত্মকর্ম সংস্থান ও উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ--ডিজিটাল স্কিল থাকলে কেউ ঘরে বসে
ব্যবসা শুরু করতে পারে
বিশ্ব বাজারে কাজের সুবিধা--ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের বিশ্বের যে কোন
প্রান্তের ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করা যায়
সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচে--ডিজিটাল স্কেল শিখতে বড় ডিগ্রি লাগে না , কিছু
মাসের ট্রেনিং বা কোর্স ই যথেষ্ট
লেখক এর শেষ কথা, মন্তব্য-ছাত্রদের পড়াশোনার পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে
বক্তব্য
এ যুগে একজন শিক্ষার্থীর জন্য শুধু একাডেমিক ভালো রেজাল্ট করাই যথেষ্ট নয়। যদি
সে ডিজিটাল স্কিল আয়ত্ত করে তাহলে তার ক্যারিয়ার হবে আরো দৃঢ় , বাস্তবমুখী ও
স্বাধীন। আজকের প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বের সফল হতে হলে একাডেমিক জ্ঞানের পাশাপাশি
ডিজিটাল দক্ষতা থাকা বাধ্যতামূলক। এটি একজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য
সবচেয়ে কার্যকর ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। একজন ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তার জন্য
ডিজিটাল মার্কেটিং শুধু একটি স্কিল নয়, এটি হচ্ছে তার সফলতা ও টিকে থাকার মূল
ভিত্তিক। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যারা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে এবং ব্যবহার করে
, তারাই আগামী ব্যবসায়ী জিতবে। বর্তমান বর্তমান যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং মানে
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। এই কারণে এসব প্লাটফর্মে মার্কেটিং এর চাহিদা দিন দিন
আরো বাড়ছে।
প্রিয় পাঠক, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সময় ধরে আপনার মূল্যবান সময় থেকে কিছুটা
সময় বের করে এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন
এবং বুঝতে পারেন আর মনে করেন, আপনার এবং আপনার ব্যক্তি জীবনে এই আর্টিকেলটির কিছু
কথা প্রয়োগ করলে , জীবন আরেকটু সহজ হতে পারে। তাহলে অবশ্যই আপনার
প্রিয়জন-বন্ধু-বান্ধবের সাথে একটু কষ্ট করেশেয়ার করবেন। আশা করছি, ফলাফল ভালই
আসবে। এখানে আলোচনা করা হয়েছে-ছাত্রদের পড়াশোনার পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং-এই
বিষয়টি নিয়ে। আমার মনে হয় , উপরোক্ত আলোচনায় বিস্তারিত বলা হয়েছে। কাজের
ফাঁকে ফাঁকে এই ওয়েবসাইটটি কিছুটা সময় বের করে ভিজিট করবেন। আশা করি হতাশ হবেন
না , বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নতুন নতুন আর্টিকেল পড়ার সুযোগ পাবেন।
মাসুদা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url