ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে কোটি টাকা আয় করার সহজ উপায়

ফ্রিল্যান্সিং একটি সম্ভাব্য উপায় তবে "কোটি টাকা আয়" একটি দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য এবং এর জন্য অনেক প্রচেষ্টা দক্ষতা এবং সঠিক কৌশল প্রয়োজন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা সম্ভব তবে "কোটি টাকা" আয়ের জন্য পরিকল্পনা কঠোর পরিশ্রম এবং সঠিক দিকনির্দেশনা প্রয়োজন। যেকোনো একটি বিষয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

কোটি টাকা আয়ের জন্য শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং এর উপর নির্ভর না করে, অন্যান্য আয়ের উৎস তৈরি করুন।কারন এই অনলাইন সেক্টরে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ আছে। নিজের কাজের একটি পোর্টফলিও তৈরি করুন। কারণ রাতারাতি কোটি টাকা আয় করা সম্ভব ন।নিজেকে অনুপ্রাণিত করুন এবং কঠোর পরিশ্রম করুন। ফ্রিল্যান্সিং একটি সম্ভাবনাময় পেশা, কিন্তু "কোটি টাকা" আয়ের জন্য একটি  সুপরিকল্পিত পথ দরকার।

পেজ সূচিপত্রঃ ফ্রিল্যান্সিং করে কোটি টাকা আয় করার উপায়

সঠিক দক্ষতা অর্জন ও মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল তৈরি করা

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যে কাজগুলোর চাহিদা বেশি সেগুলো শিখুন,যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং ইত্যাদি যে কোন একটি বিষয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করুন ফাইবার। আপওয়ার্ক ফ্রিলেন্সার কম এর মত জনপ্রিয় মার্কেট প্লেসগুলোতে নিজের প্রোফাইল তৈরি করুন।নিজের প্রোফাইলকে আকর্ষণীয় করে তুলুন এবং কাজের অভিজ্ঞতা যুক্ত করুন।আরো 

পড়ুনঃ ঘরে বসে মোবাইল ফোনে ভিডিও এডিটিং করে ইনকাম

প্রতিদিন কিছু সময় দিন।মার্কেটে রিসার্চ ও প্র্যাকটিসে ভালো কমিউনিকেশন স্কিল গড়ে তুলুন।ছোট কাজ দিয়েই শুরু করুন।সঠিক মার্কেটপ্লেস বেছে নিন। ফাইবার,আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম,পিপুল পার আওয়ার,টপটাল ও অন্যান্য প্রোফাইল।পার্সোনাল প্রোফাইল পিকচার মানে হালকা ব্যাকগ্রাউন্ড এ হাস্যজ্জল ছবি। স্পষ্ট ও নির্দিষ্ট আপনার স্কিল বাড়াতে হবে, আপনি কিভাবে ক্লায়েন্টের সমস্যার সমাধান করতে পারেন তার জন্য যোগ্যতা তৈরি করতে হবে। সময় মত রিপ্লাই দিন কাজের সময়সীমা মানুন, ক্লায়েন্ট কে সন্তুষ্ট করতে ফিডব্যাক গ্রহণ করুন।

 কাজের জন্য আবেদন, দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক পরিকল্পনা তৈরি করা

বিভিন্ন প্রজেক্টে আবেদন করুন এবং ক্লায়েন্টেরদের  সাথে ভালোভাবে যোগাযোগ রাখুন কাজের গুণগত মান বজায় রাখুন এবং সময় মত কাজ জমা দিন।একটি দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক পরিকল্পনা তৈরি করুন। ফ্রিল্যান্সিয়ার সাফল্য অর্জনের জন্য কাজের জন্য সঠিকভাবে আবেদন করা।এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কাজের জন্য আবেদন করার সময় প্রফেশনাল ও কাস্টমাইজ কভার লেটার লেখাটা জরুরী।যেখানে ক্লায়েন্টের প্রয়োজন বুঝে নিজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়।কপি করা বায়ু বা কভার লেটার ব্যবহার করলে ক্লায়েন্ট এর কাছে তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

অন্যদিকে দীর্ঘ মেয়াদী আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে ফ্রিল্যান্সিং থেকে নিয়মিতভাবে ট্র্যাক করা খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করাটা জরুরী।যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং এর মাসিক আয় এর পরিমাণ স্থির নয় তাই মাসিক বাজেট তৈরি করে চলা এবং জরুরি খরচের জন্য একটি ইমার্জেন্সি ফান্ড রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। এছাড়া আয় বাড়ার সাথে সাথে দীর্ঘ মেয়াদী ইনভেস্টমেন্ট (যেমন সঞ্চয়পত্র স্টক বা ব্যবসা করা) উচিত যাতে ভবিষ্যতের জন্য একটা আর্থিক ভিত্তি গড়ে ওঠে। কর সংক্রান্ত বিষয়গুলো মাথায় রাখা দরকার যাতে আইনি জটিলতা এড়ানো যায়।

নিয়মিত অনুশীলন, আপডেট, নেটওয়ার্কিং,অন্যান্য কমিউনিটিতে যুক্ত হওয়া

নিয়মিত অনুশীলন আপনাকে যেকোনো বিষয়ে দক্ষ করে তোলে। এটি একটি অভ্যাসে পরিণত হলে আপনি সময়ের সাথে সাথে নিজের ভুলগুলো বুঝতে ও শুধরাতে পারবেন। প্রোগ্রামিং শিখতে চাইলে, প্রতিদিন কিছু কিছু কোড লিখুন। দক্ষতা বৃদ্ধি পায়, আত্মবিশ্বাস বাড়্‌ সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা বাড়ে।নতুন নতুন বিষয় শিখতে থাকুন এবং নিজের দক্ষতা বাড়াতে থাকুন। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের পরিবর্তনগুলোর সাথে নিজেকে আপডেট রাখুন। বিভিন্ন অনলাইন কমিউনিটিতে যুক্ত হন এবং অন্যদের সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময় করুন। অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করুন।

আরো পড়ুনঃ আর্টিকেল লিখে লাখ টাকা আয় করার উপায়

যে কোনো পেশা বা দক্ষতায় সফল হতে হলে, তার বর্তমান অবস্থা ও পরিবর্তন সম্পর্কে জানাটা জরুরী। নতুন টুল, প্রযুক্ত্‌ ট্রেন্ড ইত্যাদি সম্পর্কে সচেতন থাকা প্রয়োজন। সফটওয়্যার ডেভলপার হলে নতুন নেটওয়ার্ক বা ভাষা সম্পর্কে জানুন। ডিজাইনার হলে ট্রেন্ডি ডিজাইন স্টাইলগুলো ফলো করুন। ব্লক পড়ুন, ইউটিউব চ্যানেল অনুসরণ করু্‌ নিউজ লেটার সাবস্ক্রাইব করুন, কোর্স বা ওয়েবিনার করুন। পেশাগত নেটওয়ার্ক হলো আপনার সাথে একই পেশার বা আগ্রহের মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা। এই সম্পর্ক আপনাকে তথ্য, সুযোগ এবং সহায়তা পেতে সাহায্য করবে। লিংকডিইন, ইভেন্ট /কনফারেন্স,অন্যান্য গ্রুপ বা ফোরাম। কমিউনিটি হল এমন একটি জায়গা যেখানে একে অপরকে শেখায়, সাহায্য করে এবং উৎসাহ দেয়। নিয়মিত অনুশীলন ,আপডেট থাক্‌ নেটওয়ার্ক তৈরি এবং অন্যান্য কমিউনিটিতে যুক্ত হওয়া- এই চারটি বিষয় পেশাগত উন্নয়নওদক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নির্ভরযোগ্য মার্কেটপ্লেস নির্বাচন, পোর্টফোলিও তৈরি করা

নেটওয়ার্ক ফাইবার ফ্রিলেন্সার কম তাল ইত্যাদি সেটগুলোতে রেজিস্ট্রেশন করে কাজ করতে হবে নিজের কাজ নিজের করা কাজ গুলো সুন্দর করে সাজিয়ে একটি পোর্টফোলিও তৈরি করলে ক্লায়েন্টের বিশ্বাস বাড়ে অনলাইনে কাজ করতে চাইলে প্রথমে একটি ভালো ও নিরাপদ ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইন মার্কেটপ্লেস নির্বাচন করা জরুরী। নির্ভরযোগ্য মার্কেটপ্লেস চেনার উপায়- ভালো রিভিউ এবং জনপ্রিয়তা, পেমেন্ট সিস্টেমের নিরাপত্তা, কাজের পরিমাণ ও বৈচিত্র্য, গ্রাহক সাপোর্ট। অনেক ইউজার ব্যবহার করে এমন সাইট বেছে নিন। আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেম আছে কিনা দেখুন।বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রচুর কাজ আছে কিনা দেখুন। সমস্যার সময় দ্রুত সহায়তা পাওয়া যায় কিনা যাচাই করুন।

পোর্টফোলিও হল আপনার কাজের একটি প্রদর্শনী।এটি দেখে ক্লায়েন্ট বুঝবে আপনি কতটা দক্ষ এবং কি ধরনের কাজ আপনি করতে পারেন।পোর্টফোলিওর বৈশিষ্ট্য- পরিষ্কার পরিচ্ছন্নডিজাইন, উদাহরণসহ কাজ, বায়ো/পরিচিতি, যোগাযোগের উপায়।দেখতে যেন প্রফেশনাল ও সহজ বুদ্ধ হয় অতিরিক্ত রং বা জটিলতা না থাকে।আপনার করা কাজগুলোর স্ক্রিনশট লিংক বা ডেমো দিন। প্রতিটি কাজের সাথে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিনঃ ক্লায়েন্ট কে ছিল, কি কাজ করছে্‌ কিভাবে করছেন। ইমেইল, লিংকডইন বা অন্য কোনো যোগাযোগের মাধ্যম দিন। সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে ভালো একটি মার্কেটপ্লেস বেছে নেওয়া এবং পেশাদার পোর্টফোলিও তৈরি করা- এই দুইটি কাজই আপনার অনলাইন ক্যারিয়ারের ভিত্তি।

প্রোফাইল পেশাদারভাবে সাজানো,যোগাযোগ দক্ষতা

মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল হলো আপনার ডিজিটাল সিডি।এখনে ভালভাবে নিজের দক্ষতা অভিজ্ঞতা ও নমুনা কাজ করে তুলে ধরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইংরেজিতে ভালোভাবে কথা বলা ও লেখার দক্ষতা ফ্রিল্যান্সিংএ এক্সট্রা সুবিধা দেয়। একটি পেশাদার প্রোফাইল এমনভাবে সাজাতে হয় যাতে তা প্রথম দর্শনেই আপনার দক্ষতা,অভিজ্ঞতা এবং পেশাদারিত্ব ফুটিয়ে তোলে।এটি হতে পারে আপনার সিভি, লিংকইডলিন প্রোফাইল, ফ্রিল্যান্সিং সাইডে প্রোফাইল বা অন্য কোন অনলাইন পোর্টফোলিও। প্রোফাইলটি পেশাদারভাবে উপস্থাপন করা যায়-যেমন পরিচিত্‌ দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, প্রকল্প/পোর্টফোলিও, শিক্ষাগত যোগ্যত্‌ ভাষাগত যোগ্যতা, রেটিং ও রিভিউ।আপনার টেকনিক্যাল ও সফট স্কিল পৃথকভাবে তুলে ধরুন। প্রাসঙ্গিক এবং আপডেট স্কিল ব্যবহার করুন।

আরো পড়ূনঃ কোন পরিশ্রম ছাড়া আয় করার উপায়

যোগাযোগ দক্ষতা এমন একটি সফট স্কিল,যা যেকোনো পেশায় সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি।এটি লিখিত মৌখিক ও অ-মৌখিক এই তিনটি ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয়।যেমন-মৌখিক যোগ্যতা,লিখিত যোগাযোগ, মৌখিক যোগাযোগ,ক্ষমতা আন্তঃব্যক্তি ক্ষমতা,দক্ষতা।স্পষ্ট সংক্ষেপে এবং শ্রোতার উপযোগী ভাষায় কথা বলার ক্ষমতা। টোন ও শব্দচয়ন গুরুত্বপূর্ণ।ইমেইল, রিপোর্ট, প্রপোজাল ইত্যাদি পেশাদারভাবে লিখতে জানা।বানান,ব্যাকরর এবং ফরম্যাট ঠিক রাখা। ক্লায়েন্টের সাথে মিটিংয়ে কাজে সার্ভিস প্রদানকারী প্রধান কাজ হল ক্লায়েন্ট এর আসল চাহিদা ও প্রত্যাশা বুঝা শুধু মুখে নয়র প্রগ্রেস রিপোর্ট, ক্লায়েন্টকে ফলোআপ মেইল।অনলাইন মিটিংয়ে ক্যামেরার মাধ্যমে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী ভাবে উপস্থাপন করা।কেবল শোনা নয়, মনোযোগ দিয়ে বুঝা ও প্রশ্ন করা।সহযোগিতা ও সহানুভূতিশীল হওয়া- একটি পেশাদার প্রোফাইল আপনার পরিচয় এবং বিশ্বাসযোগ্যতা তুলে ধরে আর যোগাযোগ দক্ষতা ও টিম ওয়ার্ক সফল করে তোলে।

ক্লায়েন্টদের চাহিদা বুঝা্স‌ময়ানুবর্তিতা,স্কেলেবল সার্ভিস তৈরি করা

একজন ফ্রিল্যান্সারের "ক্লায়েন্টদের চাহিদা বুঝা," "সময়ানুবর্তিতা" এবং "স্কেলেবেল সার্ভিস প্রদান" এ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর অভিজ্ঞ হতে হবে। ক্লায়েন্টদের চাহিদা বুঝা শুধু মুখের কথা নয়, ক্লায়েন্টের অনুভব অভিজ্ঞতা এবং মেইন পয়েন্টগুলো বুঝে নেওয়া।সুনির্দিষ্ট ও পরিষ্কার প্রশ্ন করে ক্লায়েন্টের প্রকৃত সমস্যা বা চাহিদা জানা।ক্লায়েন্টদের থেকে নিয়মিত ফিডব্যাক নিয়ে তাদের সন্তুষ্টি এবং উন্নতির জায়গা চিহ্নিত করা।এটিতে পেশাদারিত্বের পরিচয়ের পাওয়া যায়, ক্লায়েন্টের আস্থা অর্জন করা যায়।সময়সূচি তৈরি করা ও মেনে চলা প্রতিটি কাজের জন্য ডেড লাইন নির্ধার্‌ ক্যালেন্ডার, টাস্ক ম্যানেজমেন্ট টুন ইত্যাদি ব্যবহার করা। ক্লায়েন্টদের বিশ্বাস বাড়ে, অপচয় কমে উৎপাদনশীলতা বাড়ে।

এমন সার্ভিস বা সেবা প্রদান করা, যা সহজে বড় পরিসরে বাড়ানো বা উন্নত করা যায্‌ এবং যা অনেক ক্লায়েন্টকে,একসাথে সাপোর্ট দিতে সক্ষম।ধরুন আপনি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার আপনি যদি একসাথে ৫জন ক্লায়েন্টের কাজ করতে পারেন এবং প্রয়োজনে ৫০ জনের কাজ হ্যান্ডেল করার মত ব্যবস্থা রাখেন,তাহলে আপনার সার্ভিস স্কেলেবেল।স্কেলেবেল সার্ভিস বিভিন্নভাবে গড়ে তোলা যায়, যেমন- প্রক্রিয়া অটোমেশন, দলগঠন, ক্লাউড/অনলাইন সিস্টেম ব্যবহার করে ব্যবসা দ্রুত বাড়ানো যায়।বড় ক্লায়েন্টের আকর্ষণ করা যায়, মুনাফা বাড়ে। ক্লায়েন্টের চাহিদা বুঝা,সময়ানুবর্তিতা এবং স্কেলেবেল সার্ভিস-এই তিনটি বিষয় পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। একজন ফ্রিল্যান্সারের এতে পেশাদার ও লাভজনক ব্যবসা গড়ে তুলতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।

সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচার, নির্দিষ্ট নিস বেছে নেওয়া

সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচার বলতে বোঝায় ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, টিকটক, টুইটার, লিংকডইন ইত্যাদি প্লাটফর্মে কোন পণ্য, সেবা বা ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড সম্পর্কে  মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার কৌশল। এর মাধ্যমে আপনি আপনার টার্গেট অডিয়েন্স বা গ্রাহকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন। এখানে আপনি করতে পারেন- কন্টেন্ট তৈরি,কনসিসটেন্স্‌ এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি,বুস্টিং ও বিজ্ঞাপন, অ্যানালিটিক্স। ছবি, ভিডিও, ইনফটোগ্রাফিক্স, স্টোর্‌ লাইভ ভিডিও এবংধারাবাহিকভাবে কন্টেন্ট আপলোড করা যায়।লাইক, কমেন্ট, শেয়ার ও মেসেজের মাধ্যমে ফলোয়ারের সঙ্গে ইন্টারর‍্যাক্ট করা। টাকা খরচ করে বুস্টিং করে টাকা খরচ করে বুস্টিং করে কোন কন্টেন্ট কতটা কাজ করছে তার নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া।
নিস বলতে বুঝায় একটি নির্দিষ্ট ও সুনির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক মার্কেট যা শ্রোতাদের একটি বিশেষ অংশ। নিস নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় হতে পারে-যেমনঃ টার্গেটেড অডিয়েন্স, কম প্রতিযোগিতা, বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত হওয়্‌ ব্র্যান্ড বিল্ডিং ও আয়।নির্দিষ্ট নিউজ নির্বাচন করার উপায় নিজের আগ্রহ বিশ্লেষণ করুন। স্কিল বা অভিজ্ঞতা বিবেচনা করুন,মার্কেটিং রিসার্চ করুন, প্রতিযোগিতা বিশ্লেষণ করু্‌ মুদ্রায়ন সম্ভবনার বিবেচনা করুন। এফিলিয়েট মার্কেটিং, পেইড প্রমোশন, কোর্স বিক্রি ইত্যাদির সুযোগ আছে। স্পেসিফিক অডিয়েন্স তৈরি হলে স্পনসরশিপ ও এফিলিয়েট ইনকামের সুযোগ বাড়ে।

প্যাসিভ ইনকামের সুযোগ,ফিন্যান্স ম্যানেজমেন্ট শাখা

পেসিভ ইনকাম হলো সেই সেরকম আয়,যেটি আপনি সরাসরি দৈনন্দিন সময় ব্যয় না করেও অর্জন করতে পারেন ।একবার কিছু পরিশ্রম বা বিনিয়োগ করার পর এটি নিয়মিত আয় এনে দেয়।যেমন-সম্পত্তি থেকে থেকে আয়,স্টক বা শেয়ারে লভ্যাংশ,অনলাইন কোর্স বা ইবুক বিক্রি,এফিলিয়েট মার্কেটিং,ব্লগিং বা ইউটিউব থেকে ইনকাম।প্যাসিভ ইনকামের অনেক সুবিধা রয়েছে। যেমন- আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন, রিস্ক  ড্রাইভারসিফিকেশন, রিটায়ারমেন্ট প্ল্যানিং,অতিরিক্ত সময়,রিয়েলএস্টেট- ফ্ল্যাট বা জমি ভাড়া দিয়ে আয়। ডিভিডেন্ট শেয়ার-শেয়ারে বিনিয়োগ করে কোম্পানির মুনাফার অংশ পাওয়া। মিউচুয়াল ফান্ড- প্রফেশনাল দ্বারা পরিচালিত বিনিয়োগ ফান্ড। ব্লক /ইউটিউব- একবার কন্টেন্ট তৈরি করে নিয়মিত বিজ্ঞাপন আয়।

 ফিন্যান্স ম্যানেজমেন্ট শাখায় বেসিক ইনকাম এর গুরুত্ব অনেক। যেমন- আয় ও ব্যয় এর ভারসাম্য রক্ষা করে, বিনিয়োগ পরিকল্পনায় সহায়তা করে, আর্থিক লক্ষ্য অর্জনে সহায়্‌ ট্যাক্স প্ল্যানিং সহজ করে। ফিন্যান্স ম্যানেজমেন্টের মূল উদ্দেশ্য হল আয়,ব্যয়, সঞ্চয় ও বিনিয়োগকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা। প্যাসিভ ইনকাম একটি অতিরিক্ত আয় হিসেবে কাজ করে যা এ ব্যালেন্স কে শক্তিশালী করে।বাংলাদেশে   এখন অনলাইন ভিত্তিক অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে- ইউটিউব মনিটাইজেশন, ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে কোর্স বিক্রি,বিনিয়োগ এপ, রিয়েল এস্টেট প্ল্যাটফর্ম, আমাজা্ন এফিলিয়েট ইনকাম। শুধুমাত্র একটি আর্থিক প্রবাহ নয় এটি একটি লাইফ স্টাইল যেখানে আপনি অর্থ উপার্জনের জন্য সময় বিক্রি না করে নিজস্ব সম্পদ বা দক্ষতাকে কাজে লাগান। 

ফ্রিল্যান্সিং টুলস জানা, কোয়ালিটি মেইনটেন, মার্কেট রিসার্চ করা

ফ্রিল্যান্সিং এ কাজের গতি বাড়াতে এবংকোয়ালিটি বজায় রাখতে বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করা হয়।এই টুলসগুলো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়।যেমন-টাইম মেনেজমেন্ট,কমিউনিকেশন,ডিজাইন,কোডিং,কন্টে
ন্ট লেখা,ফাইল শেয়ারিং,পেমেন্ট ইত্যাদি।কিছু গুরুত্বপূর্ণ টুলস-কমিউনিকেশন ও প্রজেক্ট ম্যনেজমেন্ট,
টাইম ট্র্যাকিং টুলস,কন্টেন্ট ও ডকুমেশন টুলস,কোডিং টুলস, ফাইল শেয়ারিং ও ক্লাউড স্টোরেজ,পেমেন্ট ও ইনভয়েসিং টুলস।কোয়ালিটি মেইনটেইন করা একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সারের বৈশিষ্ঠ্য।কাজ শুরু করার আগে ক্লায়েন্টের প্রয়োজনীয়তা ভালোভাবে বুঝে নিন।সময়মত কাজ ডেলিভারি দিন।সবসময় বিনয়ী ওস্পষ্ট ভাষায় কথা বলুন।টুলস ও স্কিল নিয়মিত আপডেট করুন।


মার্কেট রিচার্জ করা জরুরি যেসব বিষয় নিয়ে সেগুলো হলো ফ্লিল্যান্সিং এ কোন স্কিলের চাহিদা কেমন,কোন মার্কেটপ্লেসে কোন ধরনের কাজ বেশী হয়।যেমন-মার্কেটপ্লেস বিশ্লেষণ,প্রতিযোগীদের বিশ্লেষণ,ট্রেন্ড এনালাইসিস,ক্লায়েন্ট ফিটব্যাক রিভিও করা,ফেসবুক গ্রুপ/রেডিট/কোরা।ফ্রিল্যান্সিং এ টিকে থাকতে হলে কেবল কাজ জানলেই হবে না-আপনাকে টুলস শিখতে হবে।কোয়ালিটি বজায় রাখতে হবে।এই তিনটি বিষয় যদি আপনি নিয়মিত চর্চা করেন,তাহলে আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন।

নিজেকে আপডেট রাখা, আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য্য, প্রশিক্ষণ ও সনদপত্র

নিজেকে আপডেট রাখার কিছু উপায় আছে।ফ্রিল্যান্সিং জগতে নিয়মিত পরিবর্তন হচ্ছে প্রযুক্তি,মার্কেটপ্লেসের নিয়ম,ক্লায়েন্দের চাহিদাএবংনতুন নতুন টুলস ওসফটওয়ারে।যেমন-নতুন স্কিল শেখা,ট্রন্ডস ফলো করা, কোর্স করা।ফ্রিল্যান্সিং এ আত্মবিশ্বাস একটি প্রধান চালিকা শক্তি।ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ ,নিজেকে প্রেজেন্ট করা,বাজবের জন্য বিড করাতে আত্মবিশ্বাস জরুরি।

ধৈর্য্য ধরে ফ্রিল্যান্সিং করলে সফলতা আসবেই।কষ্টকরে কাজ করে এগিয়ে চলাই হচ্ছে সফলতার চাবিকাঠি।প্রথম ইনকাম পেতে সময় লাগবে,ফিটব্যাক পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে,নিজেকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত রাখুন।বিশ্বস্ত প্রশিক্ষন এবং সনদপ্ত্র একজন ফ্রিল্যান্সারের পোর্টফোলিওকে শক্তিশালী করে।

লেখকের শেষ কথা ও মন্তব্য, কিভাবে কোটি টাকা সহজে আয় করার যায়

 ফ্রিল্যান্সিংএকটি দ্রুত পরিবর্তনশীল ও প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্র। সফল হতে হলে শুধু দক্ষতা অর্জন করলেই হবে না,বরং নিজেকে নিয়মিত আপডেট রাখা,ধৈর্য্যশীল হওয়াএবংপ্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সনদপত্র অর্জন করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রিয় পাঠক,এই আর্টিকেল টি পড়ে যদি উপকৃত হোন,তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করবেন।লিখাতে ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃস্টিতে দেখার অনুরোধ রইল।ভালো লাগলে এই ওয়েবসাইডটি মাঝে মাঝে ভিজিট করতে ভুলবেন না।কস্ট করে,  ধৈর্য্য ধরে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url