গৃহিণীদের অনলাইনে ইনকামের সেরা ৭টি অ্যাপ

গৃহিণীদের অনলাইনে ইনকামের সেরা ৭টি অ্যাপ -বিষয়ক প্রাথমিক কিছু কথা তুলে ধরা হলো, যা আপনি এই কন্টেন্টের বিস্তারিত আলোচনায় অনেক কিছু জানতে পারবেন । বর্তমান ডিজিটাল যুগে ঘরে বসে আয় করা আর স্বপ্ন নয়-বিশেষ করে গৃহিনীদের জন্য এটি হয়ে উঠেছে একটি বাস্তব সুযোগ। এই লেখায় আমরা তুলে ধরেছি এমন ৭টি সেরা মোবাইল অ্যাপ যা গৃহিনীদের জন্য অনলাইনে আয় করার সহজ। 

গৃহিণীদের-অনলাইনে-ইনকামের-সেরা-৭টি-অ্যাপ

সংসারের কাজ সামলে সময় বের করেও আজ অনেক নারী অনলাইনের মাধ্যমে নিজের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করছেন। প্রয়োজন শুধু সঠিক দিক-নির্দেশনা আর বিশ্বস্ত কিছু ইনকাম প্লাটফর্ম । এমন ৭টি মোবাইল অ্যাপ যা গৃহিনীদের জন্য অনলাইনে আয় করার সহজ, নিরাপদ ও কার্যকর মাধ্যম হতে পারে। চলুন জেনে নেই, গৃহিণীদের জন্য সেরা ৭টি ইনকাম অ্যাপ।

পেজ সূচিপত্রঃ আপনার খালি সময়টাই দিতে পারে অনলাইন ইনকামের সুবর্ণ সুযোগ

গৃহিণীদের অনলাইনের ইনকামের মধ্যে একটি মাধ্যম হলো মোবাইল ফোন

গৃহিণীদের অনলাইনে ইনকামের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সহজলভ্য মাধ্যম হলো মোবাইল ফোন এ বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হল। মোবাইল ফোন দিয়ে গৃহিণীরা অনলাইনে আয় করতে পারেন যেভাবেঃ
  • সহজে ব্যবহারের সুবিধা
  • বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে আয়
  • ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে কাজ
  • অনলাইন টিউশনি ও কোচিং
  • ই-কমার্স ও রিসেলিং
  • কন্টেন্ট তৈরি করে আয়
  • অফলাইন সময়ে অনলাইন ইনকাম
গৃহিণীরা বাড়ির সব কাজ সামলানোর ফাঁকে মোবাইল ফোনে অল্প সময় ব্যয় করে আয় করতে পারেন। ল্যাপটপ বা কম্পিউটার না থাকলেও মোবাইল ফোনে অনেক কাজ করা সম্ভব। বর্তমানে অনেক অ্যাপ আছে যেগুলো দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করা যায় ।যেমন-রেফারেল অ্যাপ, ভিডিও দেখা বা এড ক্লিক করে আয়, পণ্য রিভিউ লেখা, কনটেন্ট তৈরি করে ইনকাম। প্লাটফর্মে কাজ-মোবাইলেই ফাইবার, আপ ওয়ার্ক, অথবা ফ্রিল্যান্সার অ্যাপ ব্যবহার করে ছোট ছোট কাজ করা যায়।যেমনঃ ডাটা এন্ট্রি , ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট , অনুবাদ ইত্যাদি।
মোবাইল ভিডিও কল বা জুম বা গুগলমিট এর মাধ্যমে ঘরে বসে শিক্ষার্থী পড়ানো যায়। মোবাইলে ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ বা ই-কমার্স অ্যাপ ব্যবহার করে পণ্য বিক্রি করা যায়। গৃহিনেরা বিভিন্ন প্রোডাক্ট কিনে হোম ডেলিভারির মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন । অনেক অ্যাপ বা প্লাটফর্ম এমন আছে যেখানে একবার কন্টেন্ট বা সেটিং করে দিলে তা ভবিষ্যতেও ইনকাম এনে দিতে পারে-একে পেসিভ ইনকাম বলে।

গৃহিণীদের জন্য তৈরি কিছু অ্যাপে খুব সহজেই আয় শুরু করা যায়

গৃহিণীদের অনলাইনে ইনকামের মধ্যে-গৃহিণীদের জন্য তৈরি কিছু অ্যাপ এ খুব সহজে আই শুরু করা যায়-এ বিষয়টি বর্তমান সমাজে খুবই গুরুত্বপূর্ণ । যারা ঘরে বসে স্বল্প সময় ব্যয় করে অনলাইনে কিছু উপার্জন করতে চান তাদের জন্য মোবাইল অ্যাপ একটি সহজ ও নিরাপদ। খুব সহজেই কিছু ইনকাম এর অ্যাপ ব্যবহার করতে পারে। এই অ্যাপগুলোতে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি বা অন্যের ভিডিও দেখে পয়েন্ট বা টাকা ইনকাম করা যায় । অনেক সময় রেফার করলে বোনাস পাওয়া যায় । গৃহিণীরা রান্না, ঘর সাজানো , হস্তশিল্পের বানিয়ে আয় করতে পারেন ।

গৃহিণীরা ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য-ডাটা এন্ট্রি,কন্টেন্ট রাইটিং,ডিজাইন,অনুবাদ ইত্যাদি ঘরে বসেই করতে পারে । মোবাইল মাধ্যমে ফাইবার বা আপওয়ার্ক ব্যবহার করে প্রোফাইল খুলে কাজ শুরু করা যায় । গুগল অপিনিয়ন রিওয়ার্ডসে-সহজ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিলেই পেমেন্ট পাওয়া যায়। খুব কম সময় নিয়ে করা যায়, ঝামেলা ছাড়াই। স্টেপ সেটগো-হাটার মাধ্যমে পয়েন্ট জমে, পড়ে তা দিয়ে গিফট কার্ড বা পণ্য কেনা যায়। যারা ঘরেও হাঁটাহাঁটি করেন তাদের জন্য উপযুক্ত। ফেসবুক পেজ খুলে কনটেন্ট তৈরি করে ইনকাম করা যায়। স্পন্সর, এফফিলিয়েট লিংক ও বিজ্ঞাপন থেকেও আয়।

ঘরে বসে স্বাধীনভাবে আয় করার আত্মবিশ্বাস অনেক নারীর জীবন বদলে দিচ্ছে

ঘরে বসে স্বাধীনভাবে আয় করার আত্মবিশ্বাস অনেক নারীর জীবন বদলে দিচ্ছে-এই কথাটি শুধু একটি বাক্যে নয়, এটি আজকের সময়ের বাস্তবতা ও এক বিপ্লবের চিত্র। বিশেষ করে গৃহিণীদের জন্য এটি এক নতুন দিগন্তের সূচনা। ঘরে বসে আয়-নারীদের জীবন পরিবর্তনের এক হাতিয়ার। আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন-অনেক নারী আগে স্বামী বা পরিবারের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল ছিলেন। ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম শুরু করার পর তারা নিজের খরচ নিজে চালাতে পারছেন, সন্তানদের পড়ালেখার খরচ বহন করছেন-এটি তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে বহুগুণ। পরিবারের সম্মান ও সিদ্ধান্তে অংশগ্রহণ-যখন একজন গৃহিণী আয় করেন, তখন তার মতামতের মূল্য বাড়ে। সংসারের ছোট- বড় সিদ্ধান্তে তিনি গুরুত্ব পান।

অনেক নারী অনলাইনে কাজ করতে গিয়ে আবিষ্কার করছেন-তারা ভাল লেখেন, ভালো ছবি তুলেন , সুন্দর কন্ঠে কথা বলেন , বা অন্যদের শেখাতে পারেন। এ আত্ম-আবিষ্কার তাদের আত্মমর্যাদার ভিত্তি করে দেয়। ঘরের কাজের পাশাপাশি থাকার সময় কে কাজে লাগিয়ে তারা নতুন স্কিল শিখছেন। যেমনঃ
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • কন্টেন্ট ক্রিয়েশন
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • অনলাইন টিউটরিং ইত্যাদি
একজন সফল গৃহিণী অনলাইনে আয় করে শুধু নিজের নয়,আশেপাশের নারীদেরকেও উদবুদ্ধ করেন।এতে করে সমাজে নারীর ভুমিকা আরো দৃঢ় হয়।এখন তারা আর নিছক গৃহিণী নন,বরং একজন সফল উদ্যেক্তা,ফ্রিল্যান্সার বা কনটেন্ট ক্রিয়েটর।

ভিডিও দেখা, ছোট কাজ করা বা ফরম পূরণ করেও আয় করা যায়

গৃহিণীদের অনলাইনে ইনকামের সেরা সাতটি অ্যাপে-দেখা যাচ্ছে বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই ভিডিও দেখা, ছোট ছোট কাজ করা বা ফর্ম পূরণ করে আয় করা সম্ভব। বিশেষ করে যারা শিক্ষার্থী, গৃহিণী বা অতিরিক্ত ইনকামের উৎসব খুঁজছেন, দারুন সুযোগ হতে পারে। নিচে প্রতিটি মাধ্যম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ভিডিও দেখে আয় করাঃ
অনেক ওয়েবসাইট বা অ্যাপ রয়েছে যারা ইউজারদের ভিডিও দেখে সময় কাটানোর জন্য টাকা দিয়ে থাকে এগুলো সাধারণত বিজ্ঞাপন দাতাদের কনটেন্ট প্রচারের জন্য ব্যবহার করে।যেমন-
  • ভিডিও দেখা ও লাইক/রেটিং দেওয়া
  • প্রতিটি ভিডিওর জন্য নির্দিষ্ট পয়েন্ট/টাকা পাওয়া
  • ভিডিও শেয়ার করে বাড়তি আয়;
ছোট কাজ করে আয়ঃ
এগুলো এমন কাজ যেগুলো খুব সহজ ও দ্রুত করা যায় যেমন-ছবি চেনা, রিভিউ লেখা, ডাটা যাচাই, অডিও শুনে লেখা ইত্যাদি। যেভাবে আয় হয়-
  • প্রতিটির টাস্কের জন্য পেমেন্ট পাওয়া যায়
  •  নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে বোনাস
  • অ্যামাজন মেকানিক্যাল টার্ক
  • ক্লিক ওয়ার্কার
  • মাইক্রো ওয়ার্কার
  • অ্যাপেন
ফরম পূরণে বা সার্ভে করে আয়ঃ
অনেক মার্কেটিং সংস্থা বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্যবহারকারীদের মতামত জানতে চায়। তাদের জন্য সার্ভে ফরম পূরণ করে আয় করা যায়। যেভাবে আয় করা যায়-
  • প্রতিটি সার্ভের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ
  • দৈনিক একাধিক সার্ভে ভালো করে আয়
  • সার্ভে জাঙ্কি
  • ট্রলোনা
  • ইয়েসেন্স
  • গুগল অপিনিয়ন রেওয়ার্ড
একটি ভালো ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে এসব কাজ করে বসে করা সম্ভব। প্রতারণামূলক সাইড এড়িয়ে চলুন। নির্ভরযোগ্য রিভিউ দেখে প্লাটফর্ম বেছে নিন। সময় নির্ধারণ করে কাজ করলে ভালো আয় হয়। ভিডিও দেখা, ছোট ছোট কাজ করা বা ফরম পূরণ করা সহজ আয় করার মাধ্যম হলেও ধর্য্য , নিয়মানুবর্তিতা ও সঠিক প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেউ চাইলে দিনে এক থেকে দুই ঘন্টা দিয়েই মাসে অতিরিক্ত কিছু আয় করতে পারেন

বিশ্বস্ত ও জনপ্রিয় অ্যাপ গুলো বেছে নিলেই আপনি প্রতারণা থেকে নিরাপদ থাকবেন

বিশ্বস্ত ও জনপ্রিয় অ্যাপ গুলো বেছে নিলে আপনি প্রতারণা থেকে নিরাপদ থাকবেন,বিস্তারিত বর্ণনা-বর্তমান উন্নয়নের যুগে অনেকেই মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করা আয় করতে চান কিন্তু সতর্ক না থাকলে আয় করার আশায় প্রতারণার ফাঁদে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এ প্রতারণা থেকে বাঁচার অন্যতম কার্যকর উপায় হলো বিশ্বস্ত জনপ্রিয় এক নির্বাচন করা। এ বিষয়টি ধাপে ধাপে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হলো। অ্যাপ কিভাবে প্রতারণা থেকে রক্ষা করেঃ

বিশ্বস্ত-ও-জনপ্রিয়-অ্যাপ-গুলো-বেছে-নিলেই-আপনি-প্রতারণা-থেকে-নিরাপদ-থাকবেন
  • বহুল ব্যবহৃত অ্যাপ মানেই যাচাই করা অ্যাপ
  • রিভিউ ও রেটিং দেখে যাচাই করা যায়
  • কমিউনিটি বা ইউটিউব রিভিউ থেকে ধারণা পাওয়া যায়
  • ভুয়া ও প্রতারণামূলক অ্যাপের চেনার উপায়
  • মূল্য পরিশোধ নিশ্চিত করে
  • ডেটা নিরাপত্তা নিশ্চিত করে
  • টাকা বা ফি চায় না
  • অ্যাপে কোন ভাইরাস থাকে না
বিশ্বস্ত ও জনপ্রিয় অ্যাপ গুলো বেছে নিলেই আপনি প্রতারণা থেকে নিরাপদ থাকবেন
গৃহিণীদের অনলাইনে ইনকাম এর ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত কিছু অ্যাপের নাম ও বর্ণনা প্রতারণামূলক অ্যাপের চেনার উপায়- অ্যাকাউন্ট খুলতে বা কাজ আনলক করতে টাকা চাইলে তা প্রতারণা হতে পারে। ৩.৫ বা তার নিচে রেটিং এবং অনেক নেগেটিভ রিভিউ থাকলে সাবধান হওয়া উচিত। অনেক সময় কাজ করিয়ে দেয় কিন্তু টাকা দেয় না। প্লে স্টোর ছাড়া অন্য কোথাও থেকে ইন্সটল করানো নিরাপদ নয়।যেমনঃ
  • সার্ভে, ভিডিও দেখা , অফার পূরণ করে আয়
  • ফরম পূরণ,  অ্যাড ক্লিক, ছোট কাজ করে আয়
  • সোশ্যাল মিডিয়ার কাজ, সার্ভে , রেফারেল ইনকাম
  • গুগল এর সহজ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আয়
  • সার্ভে ও মতামত দিয়ে গিফট কার্ড আয়

গৃহিণীরা সংসার চালানোর পাশাপাশি নিজের স্বপ্ন পূরণেও এগিয়ে যাচ্ছেন

গৃহিণীদের অনলাইনে ইনকামের সেরা ৭ টি অ্যাপে-গৃহিনেরা সংসার চালানোর পাশাপাশি নিজের স্বপ্ন পূরণ এগিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমান সময়ে গৃহিনীরা শুধু রান্নাবান্না ঘরের কাজ বা সন্তান লালন-পালনের সীমাবদ্ধ নন। তারা সংসারের পাশাপাশি নিজেদের স্বপ্ন দক্ষতা ও চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠছেন। প্রযুক্তির কল্যাণে গৃহিণীদের জীবনে এসেছেন নতুন সম্ভাবনা, নতুন দিগন্ত । পরিবার ও দায়িত্বের ভার সামলিয়ে নিজের পরিচয় গড়ায়-একসময় মনে করা হতো গৃহিনরা শুধু পরিবারের সেবায় নিয়োজিত থাকেন তারা এখন নিজের পরিচয় গড়ে তুলছেন উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার , শিক্ষক , ডিজাইনার বা কনটেন্ট হিসেবে।যেমনঃ
  • সন্তান ও পরিবারের দায়িত্ব সামলে সময় বের করে নিজের কাজ করছেন
  • নিজেরযোগ্যতা ও সৃজনশীল তাকে কাজে লাগাচ্ছেন
  • পরিবারে আর্থিক অবদান রাখছেন , যা আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছে
অনলাইনের সুযোগ কাজে লাগানো-ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করার বহু উপায় তৈরি হয়েছে । এতে করে গৃহিণীরা খুব সহজে নিজেদের পছন্দমত কাজ বেছে নিতে পারছেন।
অনলাইন ক্লাস নেওয়া ।যেমনঃ
  • ডিজিটাল মার্কেটিং , সি পি এ বা এফিলিয়েট মার্কেটিং
  • ফ্রিল্যান্সিং ডাটা এন্ট্রি ডিজাইন কনটেন্ট রাইটিং
  • অনলাইন হোম বিজনেস-হস্তশিল্প খাবার পোশাক বিক্রি
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও আত্মবিশ্বাস অর্জন-গৃহিণীরা এখন সংসারের খরচ চালানোয় স্বামীর একমাত্র ভরসা হয়ে থাকেন না । বরং তারা নিজের আইডিয়া পরিবারের সহায়তা করছেন।যেমনঃ
  • নিজের প্রয়োজন নিজেই  মেটাতে পারছেন
  • সন্তানদের পড়াশোনার খরচে সহায়তা
  • সঞ্চয় গড়ে তুলতে পারছেন
  • জরুরি মুহূর্তের সংসার টিকিয়ে রাখার সক্ষমতা অর্জন করছেন
জ্ঞান দক্ষতা ও সৃজনশীলতার বিকাশ-গৃহিণীরা এখন তাদের অবসর সময়টাকে ব্যবহার করছেন দক্ষতা শেখার জন্য অনেকেই ইউটিউব ফেসবুক বা অ্যাপ থেকে শেখা শুরু করেছেন । নতুন কিছু শেখার আগ্রহ বাড়ছে। লাইফ স্টাইল , স্বাস্থ্য , রন্ধন , সেলাই ইত্যাদিতে দক্ষতা বাড়ছে । অনেকে অনলাইন কোর্স করে সার্টিফিকেট নিচ্ছেন ।

এই অ্যাপ গুলোর মাধ্যমে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং এর অভিজ্ঞতাও অর্জন করা যায়

-এই অ্যাপগুলোর মাধ্যমে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং এর অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়-বর্তমানে অনেক গৃহিণী শিক্ষার্থী বা নতুন কাজ হচ্ছেন এমন মানুষ অনলাইন অ্যাপ বা প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ঘরে বসে আয় করছেন । শুধু আই নয় আই এই অ্যাপগুলোর মাধ্যমে তারা ধাপে ধাপে ফ্রীলান্সিংয়ের অভিজ্ঞতা অর্জন করছেন , মার্কেটপ্লেসে কাজ করার পথ খুলে দেয় ।ছোট কাছ থেকেই বড় কাজের অভিজ্ঞতা তৈরি হয়। সব এপে ছোট ছোট কাজ সার্ভে ডাটা এন্ট্রি ভিডিও রিভিউ টাইপিং ইত্যাদি থাকে সেগুলো করার মাধ্যমে একজন নতুন ব্যক্তি ক্লায়েন্ট ক্লায়েন্টের প্রয়োজন বুঝতে শেখেন । সময় অনুযায়ী কাজ শেষ করতে শেখেন । নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার দক্ষতা তৈরি হয় ।

যেসব অ্যাপে ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতা গড়ে ওঠে-ছোট ছোট কাজ যেমন টেস্ট রিভিউ , ডাটা চ্যাপ্টার , অনুবাদ ইত্যাদি করে আয় করা যায় এখান থেকে টাইপিং রিভিউ ও রাইটিং দক্ষতা গড়ে ওঠে । অনেক ধরনের সার্ভে ও অফার থাকে যা ফোকাস বিশ্লেষণ এবং সময় ব্যবস্থাপনা দক্ষতা শেখায় । এখানে AI ট্রেনিং টাস্ক করে আয় করা যায় । যারা ভবিষ্যতে AI  টেক বা লেভেলিং প্রজেক্ট এ কাজ করতে চান তাদের জন্য দারুন প্রস্তুতি। কাজ শেখার পাশাপাশি প্রোফাইল তৈরি করা হয়-এই অ্যাপগুলোতে কাজ করলে আপনার কাজের রেকর্ড টেস্ট স্কোর , টাইম ম্যানেজমেন্ট তৈরি হয়-যা ভবিষ্যতে ফাইবার আপওয়ার্ক বা মার্কেটপ্লেসে ব্যবহার করতে পারেন। 

গৃহিণীরা এখন ইউটিউব, ডিজিটাল মার্কেটিং, ডাটা এন্ট্রির র কাজ করছেন অ্যাপের মাধ্যমে

গৃহিণীদের অনলাইনে ইনকামের অনেক উপায় এখন ঘরের দুয়ারে-গৃহিণীরা এখন ইউটিউব , ডিজিটাল মার্কেটিং ,ডাটা এন্ট্রির কাজ করছেন অ্যাপের মাধ্যমে । বর্তমান সময়ে গৃহিণীরা শুধু ঘরের কাজে সীমাবদ্ধ নন। তারা প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে ঘরে বসে ইউটিউব পরিচালনা, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ডাটা এন্ট্রির মত পেশাগত কাজ শুরু করেছেন । অ্যাপের মাধ্যমে এ কাজগুলো করা এখন সহজ ও জনপ্রিয় । এতে তারা ঘরের দায়িত্ব সামলে নিজের পরিচয় ও  আয় দুটোই গড়ে তুলছেন। গৃহিণীরা এখন নানাভাবে ইনকাম করছেন বিষয়গুলো হলোঃ
  • ইউটিউব থেকে ইনকাম
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • ডাটাএন্ট্রি কাজ
এই কাজগুলো গৃহিনীদের কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে-অনেক গৃহিনী এখন ইউটিউবকে তাদের সৃজনশীলতা , রান্না , হস্তশিল্প , ডিউটি টিপস বা ঘর সাজানোর কৌশল শেয়ার করে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করছেন। মোবাইলে ভিডিও ধারণো এডিট করছেন। অ্যাপে চ্যানেল পরিচালনা করছেন । কন্টেন্ট তৈরি করে সাবস্ক্রাইবার ও ভিউ বাড়িয়ে আয় করছেন । গুগল এডসেন্স ও স্পনসরশীপ থেকে আয় করছেন । যেমনঃ
  • রান্নার রেসিপি
  • গৃহস্থালি টিপস
  • শিশুর লালন পালন
  • নিজের জীবন কাহিনী বা মোটিভেশন
ডিজে কাটিং এখন একটি বড় অনলাইন পেশা গৃহিণীরা এখন এফিলিয়েট মার্কেটিং , সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং , বা ব্র্যান্ড প্রমোশন করে আয় করছেন। বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর লিংক শেয়ার করে বিক্রির মাধ্যমে কমিশন পান। ফেসবুক , ইনস্টাগ্রাম , ইউটিউবে প্রোডাক্ট প্রচার করেন , ছোট ব্যবসা বা অনলাইন পেজের বিজ্ঞাপন চালানো । একবার করে প্রমোশন ট্র্যাক করেন ।                                                       

ইনকামের পাশাপাশি নিজের দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব এই অ্যাপ গুলোর মাধ্যমে

ইনকামের পাশাপাশি নিজের দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব এই অ্যাপগুলোর মাধ্যমে-বর্তমান সময়ের মোবাইল অ্যাপগুলো শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনে নয় বরং এগুলোর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি , বিশেষ করে গৃহিণী বা শিক্ষার্থী , নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাড়াতে পারেন। প্রতিদিন একটু করে কাজের মাধ্যমে যেমন আয় হয় , তেমনি শেখাও হয় । শুধুমাত্র মাত্র ইনকাম টিকিয়ে রাখা কঠিন , স্কিল না থাকলে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত দক্ষতা বাড়ালে সময়ের সঙ্গে ইনকামের পরিমাণও বাড়ে । দক্ষ মানুষ সবসময় চাহিদা সম্পন্ন , অফার বেশি পায়।
ইনকামের-পাশাপাশি-নিজের-দক্ষতা-বাড়ানো-সম্ভব-এই-অ্যাপ-গুলোর-মাধ্যমে
যে অ্যাপগুলোতে আয় ও শেখা একসাথে সম্ভব-ছোট কাজ করে আয় হয় , টাইপিং স্পিড ভাষার ব্যবহার ,সময় ম্যানেজমেন্ট করে শেখা যায় ।প্রাথমিক পর্যায়ের ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতা তৈরি হয় ও অভিজ্ঞতা হয় । আয় হয় সার্ভে , অফার কমপ্লিট করে । শেখা যায়-বিশ্লেষণ ক্ষমতা ,ধৈর্য , সঠিক উত্তর খোঁজার অভ্যাস ।
ভবিষ্যৎ মার্কেট রিসার্চ বা কনটেন্ট এনালাইসিস এর ব্যবহার করা যায় । শেখা যায়-ভিডিও এডিটিং ভিডিও এডিটিং , এডিটিং স্ক্রিপ্ট লেখা অনলাইন মার্কেটিং করে । ভবিষ্যতে কাজ করা যাবে ভিডিও এডিটর কন্টেন্ট বা ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ করে ।

যেসব দক্ষতা এই অ্যাপগুলোর মাধ্যমে তৈরি হয়-টাইপ ও ডাটা এন্ট্রি, ডিজাইন ও ভিজুয়াল কমিউনিকেশন , বিশ্লেষণ ও রিসার্চ , ভিডিও নির্মাণ , ভাষা ও অনুবাদ , মার্কেটিং ও প্রমোশন । দক্ষতা বাড়লে ইনকাম বাড়ে কিভাবে তা জেনে নেই-শুরুতে প্রতিটা ক্লিক বা টাস্ককে ছোট অংকের টাকা পাওয়া গেলেও দক্ষতা বাড়লে বড় প্রজেক্ট,সরাসরি ক্লায়েন্ট ,রেফারেল আয় বাড়ে। এক কাজে অন্যদের তুলনায় আপনি বেশি দক্ষ হলে আপনার দাম বাড়ে । দক্ষতার প্রমাণ থাকলে ফাইবার ,আপ ওয়ার্ক-এ ভালো রেড পাওয়া যায় । এই অ্যাপ গুলো আপনার হাতের মুঠোতে থাকা একটি ছোট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ।

লেখক এর শেষ কথা, মন্তব্য-গৃহিণীদের অনলাইনে ইনকামের সেরা ৭ টি অ্যাপ-বিষয়ে কিছু কথা

ঈদের অনলাইনে ইনকামের সেরা ৭ টি অ্যাপ-এই বিষয়ে উপরোক্ত কনটেন্টে যে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে সেগুলো শুধু টাকা আয়ের মাধ্যম নয় , বরং আত্মবিশ্বাস দক্ষতা ও আত্মনির্ভরতার পথ তৈরি করে দেয় । এই অ্যাপগুলোর মধ্যে কেউ ভিডিও দেখে আয় করছে , কেউ সার্ভে করছে , কেউ ছোট কাজ বা ডাটা এন্ট্রি করছে আবার কেউ ডিজাইন ও মার্কেটিং শিখে নিজেকে গড়ে তুলছে । এবং বাস্তবে রূপ দেওয়ার অনুপ্রেরণামূলক একটি পথচলা । বর্তমান যুগে গৃহিণীদের অবসর সময়টুকু কাজে লাগিয়ে তারা নিজেদের মতো করে অর্থ উপার্জন করতে পারাটাকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করছেন ।

প্রিয় পাঠক, অসংখ্য ধন্যবাদ অনেক সময় ব্যয় করে অনেক কষ্ট করে ধৈর্য ধরে এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য । আশা করি যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যদি পুরুষরা পড়ে থাকেন তাহলে আপনারা আপনাদের মা-বোনদের এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য উৎসাহিত করবেন। অবশ্যই আমি মনে করি ,এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে, যে কোন একটি বিষয় একজন গৃহিণীকে , আত্মনির্ভরশীল হতে সাহায্য করবে । আর যদি গৃহিণীরা আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন বা ছাত্রছাত্রী বা যে কেউ যার মূলত-আত্মনির্ভরশীল হওয়ার প্রচন্ড ব্যাকুলতা রয়েছে, তার বা তাদের জন্য অবশ্যই এই আর্টিকেলটি সাহায্য করবে ,তদের কাংখিত লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে। ভাল লাগলে এই ওয়েবসাইট টি আপনি মাঝে মাঝে ভিজিট করবেন।আপনার প্রিয়জন বা বন্ধু-বান্ধবদের ভিজিট করতে  আগ্রহী করবেন।ধন্যবাদ আপনাকে/আপনাদেরকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাসুদা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url