আর্টিকেল লিখে অনলাইনে প্যাসিভ ইনকামের আইডিয়া
আর্টিকেল লিখে ব্লগ বা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করলে বিজ্ঞাপন ও এফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে নিয়মিত আয় করা যায়। কনটেন্ট সাইটে লেখাগুলো একবার প্রকাশ করলে সেটি দীর্ঘ সময় ধরে প্যাসিভ ইনকাম দিতে পারে।
গেস্ট পোস্টিং ও পেইড সাবস্ক্রিপশন মডেল থেকেও আয় করা সম্ভব।SEO-এর মাধ্যমে
আর্টিকেল গুগলের র্যাংক করালে অর্গানিক ট্রাফিক থেকে নিয়মিত ইনকাম হয়। লেখার
গুনাগত মান ও টপিক বাছাই সঠিক হলে এটি একটি টেকসই প্যাসিভ ইনকাম উৎসে পরিণত
হয়।
পেজ সূচিপত্রঃ আর্টিকেল লিখার মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে প্যাসিভ ইনকামের কৌশল
- আর্টিকেল লিখে অনলাইনে প্যাসিভ ইনকামের আইডিয়া
- নিজের লেখাগুলো প্রকাশ করে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করা সম্ভব
- এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে পণ্য বিক্রির মাধ্যমে কমিশন পাওয়া যায়
- সাবস্ট্যাক বা মিডিয়ামে লিখে ইনকাম পাওয়া যায়
- ই-বুক আকারে আর্টিকেল বিক্রি করেও আয় করা সম্ভব
- SEO অনুসরণ করলে লেখাগুলো গুগলে রেংক করে নিয়মিত ট্রাফিক পাওয়া যায়
- জনপ্রিয় লেখা অনেকদিন প্যাসিভ ইনকাম দেয়
- Fiverr ও Upwork-এ লেখা বিক্রি করা যায়
- ধৈর্য ও পরিকল্পনা থাকলে একটি আয় করার কার্যকর মাধ্যম
- লেখকের শেষ কথা, মন্তব্য-আর্টিকেল লিখে অনলাইনে বেসিক ইনকামের আইডিয়া
আর্টিকেল লিখে অনলাইনে প্যাসিভ ইনকামের আইডিয়া
বর্তমান আর্টিকেল লিখে প্যাসিভ ইনকাম অর্জনের পথ অনেক সহজ ও কার্যকর হয়ে উঠেছে।
আপনি যদি ভালোভাবে লিখতে পারেন এবং মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্য দিতে পারেন,
তবে তা থেকে নিয়মিত আয় করা সম্ভব। একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে
বিভিন্ন বিষয়ে আর্টিকেল প্রকাশ করলে আপনি গুগল এডসেন্স বা অন্যান্য বিজ্ঞাপন
নেটওয়ার্ক থেকে ইনকাম করতে পারেন। একইভাবে, আর্টিকেলের মাঝে বিভিন্ন কোম্পানির
পণ্যের এফিলিয়েট লিংক যুক্ত করে সেখান থেকে কমিশন আয় করা যায়।
আরো পড়ুনঃ
ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়
আর্টিকেল গুলো ই-বুক হিসেবে প্রকাশ করে Amazon Kindle- এ বিক্রি করলেও
প্যাসিভ ইনকাম আসতে পারে। সাবস্ট্যাক, মিডিয়াম, হাবপেজ, বা ভোকাল মিডিয়া-এর মত
কনটেন্ট প্ল্যাটফর্ম গুলোতে নিবন্ধন জমা দিলে আপনি পাঠকদের ভিউ এবং
সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে ইনকাম পেতে পারেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে-ভালো
মানের, তথ্যবহুল ও এস ই ও-বান্ধব কন্টেন্ট তৈরি করা। কবার ঠিকভাবে লেখা ও র্যাংক
করা কন্টেন্ট অনেকদিন পর্যন্ত আপনার জন্য ইনকাম এনে দিতে পারে। তাই, আর্টিকেল
লেখাকে নিয়মিত অভ্যাস বানালে এটি ধীরে ধীরে একটি
নির্ভরযোগ্য প্যাসিভ ইনকাম সোর্সে রূপান্তর হতে পারে।
নিজের লেখাগুলো প্রকাশ করে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করা সম্ভব
আর্টিকেল লিখে অনলাইনে প্যাসিভ ইনকামের আইডিয়া-নিজের লেখাগুলো প্রকাশ করে
গুগল এডসেন্স থেকে আয় করা সম্ভব। নিচে বিবরণ দেয়া হলোঃ
- নিজস্ব ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করুন
- গুণগত মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করুন
- SEO অনুসরণ করে আর্টিকেল লিখুন
- Google এডসেন্সে একাউন্ট খুলুন
- এডসেন্স অনুমোদনের পর বিজ্ঞাপন যুক্ত করুন
- ট্রাফিক বাড়ান
- নিয়মিত কনটেন্ট আপডেট করুন
- মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন ব্যবহার করুন
- বিজ্ঞাপন পজিশন ঠিকভাবে নির্ধারণ করুন
- ধৈর্য ধরে কাজ চালিয়ে যান
একটি উপস্থিতি কিনে নিজের ব্লক শুরু করতে হবে, যেখানে আপনি নিয়মিত লেখা প্রকাশ
করবেন। পাঠকদের উপকারে আসবে এমন তথ্যবহুল ও মৌলিক আর্টিকেল লিখতে হবে। গুগলে
র্যাংক করতে হলে সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার, হেডিং স্ট্রাকচার ও মেটা টেক
ঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। ব্লগ কিছুটা পুরনো হলে এবং গুণগত মান ঠিক থাকলে গুগল
এডসেন্সে আবেদন করতে পারবেন। গুগলের দেওয়া কোড আপনার সাইডে বসিয়ে বিজ্ঞাপন চালু
করতে পারবেন।
যত বেশি ভিজিটর আপনার সাইডে আসবে, তত বেশি বিজ্ঞাপনে ক্লিক হবে এবং ইনকাম
বাড়বে। নিয়মিত নতুন আর্টিকেল প্রকাশ ও পুরাতন লেখাগুলো আপডেট করলে ট্রাফিক
স্থায়ীভাবে বাড়ে। মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য আপনার সাইট সহজ বুদ্ধ হলে
বিজ্ঞাপন পাঠফরমেন্স ভালো হয়। বিজ্ঞাপন কোথায় বসালে বেশি ক্লিক আসবে তা
বিশ্লেষণ করে সেটিংস করুন। প্রথম দিকে ইনকাম কম হলেও ধীরে ধীরে নিয়মিত ও ভালো
ইনকাম সম্ভব। এই প্রক্রিয়া আপনি নিজের লেখার মাধ্যমেই গুগল এডসেন্স থেকে পেসিভ
ইনকাম অর্জন করতে পারবেন।
এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে পণ্য বিক্রির মাধ্যমে কমিশন পাওয়া যায়
এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে অন্য বিক্রির মাধ্যমে কমিশন পাওয়া যায়-এই সম্পর্কে
বিবরণ পয়েন্ট আকারেঃ
- এফিলিয়েট মার্কেটিং কি
- বিশ্বাসযোগ্য এফিলিয়েট প্রোগ্রাম বাছাই করুন
- নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগে রিভিউ বা গাইড লিখুন
- লেখার প্রাসঙ্গিকভাবে এফিলিয়েট লিংক দিন
- পাঠকের আস্থা অর্জন করুন
- কমিশন কিভাবে পাওয়া যায়
- লিঙ্ক ট্রাকিং ও এ্যানালাইটিকস ব্যবহার করুন
- সোশ্যাল মিডিয়া ও ইমেইল মার্কেটিং ব্যবহার করুন
- নিয়মিত আপডেট ও ট্রেন্ড ফলো করুন
- এইসব উপায়ে প্যাসিভ ইনকাম সম্ভব
এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি, যেখানে আপনি অন্য কোম্পানির পণ্য বা
সেবার লিংক প্রচার করেন এবং কেউ সেই লিংকের মাধ্যমে পণ্য কিনলে আপনি কমিশন পান।
আপনি যেই পণ্যের এফেলিয়েট করছেন, সেটির ভালোভাবে রিভিউ লিখে পাঠকদের
সাহায্য করতে হবে। আর্টিকেলের মাঝে এমন ভাবে লিংক বসান, যাতে পাঠক বুঝে নেয় এটা
ওই পণ্যের অফিসিয়াল লিংক। নির্ভরযোগ্য , সৎ রিভিউ এবং তথ্য উপস্থাপন করলে পাঠক
আপনি পরামর্শ অনুযায়ী কেনাকাটা করতে আগ্রহী হবে।
কেউ যদি আপনার শেয়ার করা লিংক থেকে অন্য কিনে, তখন নির্দিষ্ট হারে আপনাকে
কমিশন দেওয়া হয়, যা আপনি ব্যাংক বা মোবাইল পেমেন্ট নিতে পারেন। কোন পেজ
থেকে বেশি বেশি ক্লিক আসছে, কোন পণ্য বেশি বিক্রি হচ্ছে-এসব বুঝে আরো ভালো
কনটেন্ট তৈরি করা যায়। আপনার লিখা ও লিংকগুলো ফেসবুক, ইউটিউব বা ইমেইলের মাধ্যমে
ছড়িয়ে দিন। নতুন পণ্য ও জনপ্রিয় ট্রেন্ড নিয়ে লিখলে বিক্রি সম্ভাবনা বাড়ে।
একবার ভালোভাবে লেখা ও শেয়ার করা আর্টিকেল বছরের পর বছর কমিশন এনে দিতে পারে।
এইভাবে এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে আপনি অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে দীর্ঘ মেয়াদী ও
নিরবিচ্ছিন্ন প্যাসিভ ইনকাম অর্জন করতে পারেন।
সাবস্ট্যাক বা মিডিয়ামে লিখে ইনকাম পাওয়া যায়
সাবস্ট্যাক বা মিডিয়ামে লিখে ইনকাম পাওয়া যায়। সাবস্ট্যাক দিয়ে
ইনকাম:
সাবস্টাক একটি নিউজ লেটার প্লাটফর্ম যেখানে আপনি আপনার একা ইমেল এর মাধ্যমে
পাঠকদের কাছে পাঠাতে পারেন। এটি মূলত সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক। আপনি চাইলে
আপনার কিছু লেখা বা নিউজ লেটার কনটেন্ট ফ্রি রাখবেন, বাকিগুলো শুধু পেইড
গ্রাহকদের জন্য উন্মুক্ত করবেন। অনেক পাঠক লেখককে উৎসাহ দিতে অনুদান বা অর্থ
প্রদান করেন। নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন আপনার নিউজ লেটারে
যুক্ত করে আয় করতে পারেন। নিচে কিছু তথ্য দেওয়া হলঃ
- সাবস্ট্যাক দিয়ে ইনকাম
- পেইড সাবস্ক্রিপশন চালু
- দাতব্য সমর্থন
- স্পন্সরশিপ
মিডিয়াম দিয়ে ইনকাম -মিডিয়াম একটি ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে লেখকরা তাদের
লেখাগুলো প্রকাশ করতে পারেন এবং পাঠকরা তা পড়তে পারেন। আপনি যদি মিডিয়ামের
পার্টনার প্রোগ্রামে যুক্ত হন, তাহলে আপনার লেখাগুলো পড়ার উপর ভিত্তি করে আপনি
আয় করতে পারবেন। আপনার লেখায় একজন পাঠক যত বেশি সময় ব্যয় করবে, তার ভিত্তিতে
আপনি ইনকাম পাবেন। যদি নতুন সদস্য মিডিয়ামে যোগ করাতে সাহায্য করেন, তখনও
আপনি কমিশন পেতে পারেন। লেখার মান যত ভালো হবে, পাঠকের সংখ্যা তত বাড়বে। নিয়মিত
লেখা প্রকাশ করলে পাঠকের আস্থা তৈরি হয়।SEO ও শিরোনামে আকর্ষণীয় শব্দ ব্যবহার
করলে আর বেশি মানুষ আপনার লেখা খুঁজে পায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের লেখা শেয়ার
করুন বেশি পাঠক পাওয়ার জন্য।
ই-বুক আকারে আর্টিকেল বিক্রি করেও আয় করা সম্ভব
ই-বুক আকারে আর্টিকেল বিক্রি করে অনলাইন থেকে ভালো আয় করা সম্ভব। এটি লেখকদের
জন্য একটি দারুন সুযোগ, যারা নিজের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা বা গল্প শেয়ার করতে চান এবং
তা থেকে অর্থ আয় করতে চান। ই-বুক আকারে আর্টিকেল বিক্রি করে আয় করার বিস্তারিত
বিবরণঃ
- ই বুক কিভাবে তৈরি করবেন
- ই-বুক বিক্রির মাধ্যমে
- ই-বুক মার্কেটিং ও প্রচার
- কতটা আয় করা সম্ভব
আপনি যেকোন নির্দিষ্ট বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে লেখা আর্টিকেল একত্র করে একটি ইবুক
তৈরি করতে পারেন। উদাহরণ "ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার দশটি ধাপ", "সফল ইউটিউবার
হওয়ার গাইড"," প্যাসিভ ইনকামের পাঁচটি উপায়"- এ ধরনের গাইড বা হেল্পফুল
কন্টেন্ট খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ বড় ই বুক মার্কেট-এমাজন কাইন্ডলি ডিরেক্ট
পাবলিশিং। এখানে আপনি ই-বুক প্রকাশ করে বৈশ্বিকভাবে বিক্রি করতে পারেন। এগুলো
ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রির সহজ প্ল্যাটফর্ম। খুব আপনি পেমেন্ট গেটওয়ে সহ ই বুক
বিক্রি করতে পারবেন।
সাবস্ক্রাইবারদের মাঝে ইমেইল পাঠিয়ে ই-বুক প্রমোট করুন। ই-বুক সম্পর্কে ভিডিও
তৈরি করুন বা ব্লক পোষ্টের রিভিউ দিন। জনপ্রিয় ই-বুক হলে মাসের শত ডলার থেকে
হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করা যা... একবার বানিয়ে রাখলে এটি থেকে বারবার ইনকাম
আসতে পারে-এটি একটি টিপিক্যাল ইনকাম সোর্স। ই বুক আকারে নিজের আর্টিকেল
বিক্রি করে শুধু আয়ের উৎসই নয় বরং নিজের জ্ঞান ও দক্ষতা অন্যদের কাছে পৌঁছে
দেওয়ার একটি চমৎকার উপায়। এটি একবার তৈরি করে ফেলা যায় এবং পরবর্তীতে
আপনি বারবার সেই ই-বুক থেকে ইনকাম করতে পারেন-একদম প্যাসিভ ইনকাম।
SEO অনুসরণ করলে লেখাগুলো গুগলে রেংক করে নিয়মিত ট্রাফিক পাওয়া যায়
এসিও অনুসরণ করলে লেখাগুলো গুগলে কিভাবে র্যাংক করে এবং নিয়মিত ট্রাফিক পাওয়া
যায়। সাপ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আপনার লেখা বা
কনটেন্ট কে গুগলের মত সার্চ ইঞ্জিনের দৃশ্যমান করার সুযোগ তৈরি হয়। যখন আপনি কোন
বিষয়ে ভালো মানের একটি আর্টিকেল লিখে সেটিকে সঠিকভাবে কিওয়ার্ড ব্যবহার, টাইটেল
অপটিমাইজেশন, ছবি , লিংক এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য দিয়ে সাজান, তখন গুগল সে
কন্টেন্ট টিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে এবং রেজাল্টের উপরের দিকে দেখাতে শুরু
করে।
একজন ব্যবহারকারী যখন গুগলে একটি বিষয় সার্চ করেন এবং আপনার কনটেন্ট যদি
প্রথম পেজে থাকে, তাহলে সেটি করার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। এর মাধ্যমে আপনি
প্রতিদিন অর্গানিক ভিজিটর পেতে পারেন। এই ভিজিটরদের মাধ্যমে আপনি গুগল
এডসেন্স, ই-বুক বিক্রি, এফিলিয়েট মার্কেটিং কিংবা স্পন্সর থেকেও ইনকাম করতে
পারেন। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনার লেখার স্থায়িত্ব
বাড়ে, কারণ গুগলে একবার র্যাঙ্ক করলে সেটি দীর্ঘদিন ধরে ট্রাফিক আনতে পারে। এটি
এক ধরনের প্যাসিভ ইনকামের পথ তৈরি করে, যেখানে আপনি লেখাটি একবার লিখে রাখলেন,
কিন্তু সেটি দীর্ঘ সময় ধরে আপনাকে উপহার দিচ্ছে।
জনপ্রিয় লেখা অনেকদিন প্যাসিভ ইনকাম দেয়
একটি জনপ্রিয় লেখা অনেকদিন ধরে প্যাসিভ ইনকাম দিতে পারে-এটি অনলাইন আ এর
দুনিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সত্য। একবার ভালোভাবে লেখায় এবং সঠিকভাবে প্রকাশিত
একটি কন্টেন্ট যদি পাঠকের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করে ও গুগলের রেংক করে, তাহলে সেটি
শুধু কিছুদিন নয়, মাসের পর মাস এমনকি বছরে পর বছরে দিতে পারে। মানুষ
নিয়মিতই ভালো এবং গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল সার্চ করে,ফ,লে আপনার কনটেন্ট যদি
প্রথম দিকে থাকে, তাহলে আপনি নিয়ম পাঠক পেতে থাকবেন।
অন্যদিকে, আপনি যদি সময়ে সময়ে সেই লেখাগুলো হালনাগাদ করেন এবং কিছু নতুন তথ্য
যোগ করেন, াহলে গুগল সেটিকে আরো বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে করে এবং দীর্ঘ সময় ধরে
আরো ভালো র্যাঙ্কে রাখে। এর ফলে সেই লেখা থেকে আপনার আয়ের ধারা আরো
শক্তিশালী হয়ে ওঠে। সবশেষে বলা যায়-একটি ভালো মানের জনপ্রিয় লেখা হলো একটি
ডিজিটাল সম্পদ, যা আপনাকে ঘুমের মধ্যেও আই এনে দিতে পারে। এই ধরনের প্যাসিভ ইনকাম
ব্যবস্থা অনেক লেখকের দীর্ঘমেয়াদি সফলতার পেছনে বড় ভূমিকা রাখে।
Fiverr ও Upwork-এ লেখা বিক্রি করা যায়
Fiverr ও Upwork-এ লেখা বিক্রি করা যায়-এটি অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং আয়ের
একটি জনপ্রিয় এবং কার্যকর মাধ্যম। যারা কনটেন্ট লেখার ক্ষমতা রাখেন, তারা এই
দুইটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নিয়মিত আয় করতে পারেন। ফাইবারে লেখা
বিক্রি-ফাইবার একটি গিগ-ভিত্তিক ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস, যেখানে আপনি নির্দিষ্ট
একটি সেবা নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করতে পারেন। যদি আপনি লেখক হন, তাহলে ফাইবারে
আপনি নিজে একটি গিগ তৈরি করতে পারবেন। প্রতি অর্ডারে আপনি নির্ধারিত টাকা পাবেন,
আর অভিজ্ঞতা ও রেটিং বাড়লে আপনি আরো বেশি চার্জ নিতে পারবেন। যেমন-
- ব্লগ আর্টিকেল লেখা
- ওয়েবসাইট কন্টেন্ট
- প্রোডাক্ট রিভিউ
- ই-বুক লেখার সেবা
- SEO কনটেন্ট
- কপিরাইটিং ও এডিটিং
Upwork-এ লেখা বিক্রি-একটু একটু ভিন্নধর্মী। এখানে ক্লায়েন্টরা কাজের জন্য
জব পোস্ট করে, আর আপনি সে জবের প্রস্তাবে বিড করবেন। লেখালেখি ক্যাটাগরিতে হাজারো
কাজ প্রতিদিন পোস্ট হয়। আপনি প্রতি ঘন্টা বা প্রতি প্রজেক্ট ভিত্তিতে উপার্জন
করতে পারেন। নির্ভরযোগ্যতা এবং ভালো রিভিউ থাকলে নিয়মিত কাজ পাওয়া সম্ভব। হাজার
হাজার ক্লায়েন্ট প্রতিদিন লেখা প্রয়োজনের জন্য এসব প্লাটফর্মে খোঁজ করেন। আপনি
ঘরে বসে কাজ করতে পারেন, সময় নির্ধারণ করতে পারেন নিজের মত। নতুনদের জন্য ছোট
ছোট প্রজেক্ট পাওয়া যায়, যা দিয়ে অভিজ্ঞতা ও প্রোফাইল তৈরি করা যায়। নিয়মিত
কাস্টমার থাকলে এটি একটি আয়ের ধারাবাহিক উচ্চ হয়ে উঠতে পারে। যেমন-
- ব্লক পোস্ট বা নিউজ আর্টিকেল লেখা
- গেস্টিং রাইটিং
- টেকনিকেল ও একাডেমিক লেখা
- সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট
- স্ক্রিপ্ট রাইটিং
ধৈর্য ও পরিকল্পনা থাকলে একটি আয় করার কার্যকর মাধ্যম
আর্টিকেল লিখে অনলাইনে প্যাসিভ ইনকামের আইডিয়া- ধৈর্য ও পরিকল্পনা থাকলে
অনলাইন আয়ের একটি কার্যকর মাধ্যম গড়ে তোলা সম্ভব। এটি অনলাইন কাজের জগতের
সফলতার মূল মন্ত্র। যে কেউ চাইলে একদিনে বড় আয় শুরু করতে পারেন না বরং ধাপে
ধাপে সময়, পরিশ্রম এবং সঠিক দিকনির্দেশনার মাধ্যমে এটি বাস্তবে রূপ নেয়। প্রথম
তাকে নির্ধারণ করতে হবে কোন কাজটি আপনি ভাল পারেন বা করতে চান-যেমন কনটেন্ট লেখা,
ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং , ইউটিউব, ব্লগিং , এফিলিয়েট মার্কেটিং বা অনলাইন কোর্স
তৈরি ইত্যাদি। একবার সঠিক লক্ষণ নির্ধারণ করতে পারলে, এরপর প্রয়োজন নিয়মিত
শেখা, অনুশীলন এবং এবং মানসম্মত কাজ তৈরি করা।
এই পুরো প্রক্রিয়ায় ধৈর্য সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে। প্রথম দিকে কাজ
না পেতে পারলেও, প্রতিদিন একটু একটু করে উন্নতি করলে এক সময় আপনি
নিজেই নিজের আয় দেখে অবাক হবেন। একবার আপনি দক্ষতা ও বিশ্বাস যোগ্যতা অর্জন
করলে, সে কাছ থেকেই আপনি বারবার প্রজেক্ট পেতে শুরু করবেন। পরিকল্পনা ছাড়া উনাকে
কাজ শুরু করে হাল ছেড়ে দেন, কিন্তু যারা নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে পরিকল্পনা
অনুযায়ী কাজ করেন, তারাই ধীরে ধীরে সফল হন। ধৈর্য ও পরিকল্পনা এই দুইয়ের
মাধ্যমে আপনি কেবল অস্থায়ী আয় নয়, বরং একটি স্থায়ী প্যাসিভ ইনকামের উৎসও গড়ে
তুলতে পারেন।
লেখকের শেষ কথা, মন্তব্য-আর্টিকেল লিখে অনলাইনে বেসিক ইনকামের আইডিয়া
কাল ডিজিটাল যুগে নিজেকে প্রমাণ করার এবং আয় করার অসংখ্য পথের মধ্যে অন্যতম
কার্যকর ও সহজলভ্য মাধ্যম হলো-আর্টিকেল লিখে অনলাইনে পেসিভ ইনকামের আইডিয়া। আপনি
যদি লেখালেখি তে আগ্রহী হন তবে এটি হতে পারে আপনার জন্য একটি চমৎকার বেসিক
ইনকামের উৎস। তবে ধৈর্য, ধারাবাহিকতা এবং মানসম্মত লেখার মাধ্যমে ধীরে
ধীরে গড়ে উঠতে পারে আপনার নিজস্ব পাঠক গোষ্ঠী ও ক্লায়েন্ট নেটওয়ার্ক। এই পথটি
কেবল আয়ের নয়, বরং নিজের জ্ঞান ও ভাবনা ছড়িয়ে দেওয়ার ও সুযোগ এনে দেয়। আপনি
একবার ভালো একটি কন্টেন্ট তৈরি করে ফেললে, সেটি বছরের পর বছর আপনাকে প্যাসিভ
ইনকাম দিতে পারে।
সম্মানিত প্রিয় পাঠক, সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ে শেষ করার জন্য
আন্তরিক অভিনন্দন। উল্লেখিত আর্টিকেলে যেসব বিষয় নিয়ে আপনি পড়েছেন, আমি আশা
করব আপনার ব্যক্তি জীবনে বা আপনার কাছের মানুষের এই টিপসগুলো উপকারে আসবে।
যদি এতটুকু ভালো লাগে তাহলে আপনি কষ্ট করে আপনার আশেপাশের মানুষের সাথে শেয়ার
করবেন। একটু সময় বের করে মাঝেমধ্যে আমার এই ওয়েবসাইটটিতে ভিজিট করবেন। আমি
অবশ্যই মনে করি, আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট হবে না। আরো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জানতে
পারবেন। ভিন্ন ভিন্ন আর্টিকেল নিয়ে হাজির হব আপনাদের যাতে একটু উপকারে আসতে
পারি।
মাসুদা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url