বিড়ালের উপকারিতা ও অপকারিতা

বিড়াল আমাদের একটি জনপ্রিয় প্রাণী, অনেকেই আমরা বিড়াল পোষে থাকি, কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা বিড়ালের উপকারিতা ও অপকারিতা |
চলুন জেনে নেই বিড়ালের উপকারিতা ও অপকারিতাঃ


পোস্ট সুচিপত্রঃ


বিড়াল পোষার উপকারিতাঃ



বিড়াল পোষার অপকারিতাঃ

    বিড়াল পোষার উপকারিতা গুলোর বিবরণ জেনে নেই ঃ


    বিড়াল ঘরের ইঁদুর ধ্বংস করে দেয় ,যা ঘর পরিষ্কার রাখতে সাহায্য  করে--


     বিড়াল প্রাকৃতিকভাবে একটি শিকারি প্রাণী।এটি ঘরে বা খামারে ইঁদুর ধরার ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর।ইঁদুর অনেক ধান, চাল,গমসহ নানা খাদ্যশস্য নষ্ট করে । বিড়াল থাকলে ইঁদুর ভয় পেয়ে এলাকা থেকে দূরে থাকে, ফলে খাদ্যশস্য রক্ষা পায় ।পোকামাকড়  ,টিকটিকি ইত্যাদি অনেক ধরনের ক্ষতিকর জীবের অত্যাচার কমিয়ে দেয় বিড়াল ।ফলে ঘরবাড়ী তুলন্সমূলকভবে স্বাস্থ্যকর ও পরিচ্ছন্ন থাকে ।

    এটি একজন ভালো সঙ্গী হতে পারে এবং একাকিত্ব দূর করে--

    বিড়ালের খেলা,দৌড়ঝাঁপ,মিষ্টি আচরণ অনেকের কাছে বিনোদনের উতশ।অনেক মানুষ দিনের ক্লান্তি দূর করতেবা সময় কাটাতে বিড়ালের সাথে সময় কাটায় ।এটি মনকে হালকা করে তোলে।

    বিড়াল সহজেই গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে খাপ খাইয়ে নিতে পারে--

    অন্যান্য অনেক পোষা প্রাণী প্রাণীর তুলনায় খুব বেশি খরচ সাপেক্ষ নয়।খাবার ,বাসস্থান এবং যত্ন নেওয়ার দিক থেকে তুলনামূলকভাবে সহজল্ভ্য ও সাশ্রয়ী।বিড়াল সহজেই পোষ মানে এবং খুবই আদরপ্রিয় ।তাই অতি সহজেই গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে কাপ খাইয়ে নিতে পারে ।

    মানষিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে--

    বিড়াল একটি শান্ত স্বভাবের প্রাণী,যেটি মানুষের সাথে সহজেই মিশে যায় ।অনেকেই বিরাল পুষে একাকীত্ব দূর করে ।বিড়ালকে আদর করা,খেলা করা,খাওয়ানো,গোসল করানো ইত্যাদি কাজ  মন ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং দুশ্চিন্তা কমায় ।এটি পোষা প্রাণী থেরাপি(Pet Therapy)-র একটি অংশ হিসেবেও বিবেচিত।

    শিশুদের শিক্ষা ও মানষিক বিকাশে সহায়ক--

    ঘরে বিড়াল থাকলে শিশুরা প্রাণীর প্রতি সহানুভূতি শেখে।তারা বুঝতে শিখে কিভাবে একটি জীবের যত্ন নিতে হয়--যেমন খাওয়ানো,পরিষ্কার রাখা ইত্যাদি ।এতে শিশুর মধো দায়িত্ববোধ ও ভালোবাসা গড়ে উঠে।

    বিড়াল পোষার অপকারিতা গুলোর বিবরণ জেনে নেই ঃ


    বিড়াল অনেক সময় বাসা বিড়াল অনেক সময় বা র জিনিসপত্র যেমন সোফা বা পর্দা নষ্ট করে ফেলে--

    ঘরের পর্দা,সোফা বা অসবাবপত্রে নখ বসিয়ে দেওয়া ,কিছু ভেংগে ফেলা বা ছিঁড়ে ফেলা --এসব বিড়ালের স্বভাবজাত আচরণ ।

    কারো কারো এলার্জি হতে পারে বিড়ালের লোম থেকে--

    বিড়ালের লোম ও লালা থেকে অনেক মানুষের এল্যার্জি হতে পারে,যার ফলে হাঁচি ,চোখ চুলকানো ,শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি দেখা যায় ।বিড়ালের গায়ের লোম অনেক সময় বিছানায় ,কাপড়ে বা ঘরের মেঝেতে পড়ে যায়,যা অস্বাস্থ্যকর ও অস্বস্তিকর হতে পারে।ফ্লে(পশমে থাকা পোকা),স্ক্যাবিস,ফাংগাল ইনফেকশনসহ নানা রোগ ছড়াতে পারে যদি বিড়াল অসুস্থ হয় বা নিয়মিত পরিষ্কার না করা হয় ।


    এটি প্রাকৃতিকভাবে শিকারি হওয়ায় পাখি ছোট প্রাণী মেরে ফেলতে পারে।

    বিড়াল স্বভাবগতভাবে শিকারি প্রাণী।এটি পাখি,গিনিপিক বা খরগোশের মতো ছোট প্রাণীদের জন্য হুমকিস্বরুপ।

    বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কার না করলে দূর্গন্ধ হতে পারে এবং জীবাণু ছড়াতে পারে--

    যদি ট্রেনিং না দেওয়া হয় ,বিড়াল বাসার বিভিন্ন জায়গায় মল-মূত্র ত্যাগ করতে পারে,যা দূর্গ্নন্ধ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করে ।তাই বিশেষ ভাবে স্যাভলন বা বিভিন্ন এন্টিসেপটিক এজেন্ট ব্যবহার করে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করতে হবে ।

    অনেক সময় বিড়াল রাতে শব্দ করে,যা ঘুমের ব্যাঘাত ব্যাঘাত ঘটাতে পারে--

    অনেক সময় বিড়াল রাতের বেলায় সক্রিয় হয় এবং ঘরের মধ্যে দৌড়ঝাঁপ বা শব্দ করে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে ।

    সর্বোপরি বিবেচ্য বিষয় ঃ

    বিড়াল পালনে খাবার ,চিকিৎসা, টিকা, গ্লুমিং ইত্যাদিতে অর্থ ব্যয় হয় এবং সময় দিতে হয়। তবে সচেতনভাবে  বিড়াল পালন করলে অনেক সমস্যা  প্রতিরোধ করা সম্ভব ,ঠিকমত যত্ন নিলে বিড়াল একজন মানুষের ভালো সংগীও হতে পারে।











    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url