লিপিস্টিক কোন কোন প্রাণীর চর্বি দিয়ে তৈরী

লিপস্টিক কোন কোন প্রাণীর চর্বি দিয়ে তৈরি-লিপস্টিক তৈরিতে প্রাণীর চর্বির ব্যবহার, সৌন্দর্য চর্চার জগতে লিপিস্টিক একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় প্রসাধনী দ্রব্য। এটি শুধুমাত্র ঠোঁট রাঙাতে নয়, ব্যক্তিত্ব ও আত্মবিশ্বাস প্রকাশের একটি উপায় হিসেবে বিবেচিত।

লিপিস্টিক-কোন-কোন-প্রাণীর-চর্বি-দিয়ে-তৈরী

তবে অনেকেই জানেন না, লিপিস্টিক তৈরির ক্ষেত্রে কিছু উপাদান প্রাণী যার উৎস থেকে নেওয়া হয়, যার মধ্যে অন্যতম হলো প্রাণের চর্বি। বিশেষ করে গরু, ভেড়া, শূকর প্রভৃতি প্রাণীর চর্বি বা টালো অনেক ফ্রেন্ডের লিপস্টিকে ব্যবহৃত হয়।

পেজ সূচিপত্রঃ বিশেষ কিছু প্রাণীর চর্বি দিয়ে লিপিস্টিক তৈরি করা হয়

লিপিস্টিক কোন কোন প্রাণীর চর্বি দিয়ে তৈরি

লিপিস্টিক কোন কোন প্রাণীর চর্বি দিয়ে তৈরি-বিস্তারিতভাবে আমরা জেনে নেবঃ
লিপিস্টিক সৌন্দর্য চর্চার অন্যতম প্রসাধনী, তবে ছোট্ট পণ্যটির পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে এমন কিছু উপাদান, যা অনেকেই জানেন না। লিপিস্টিক তৈরিতে অন্যতম একটি উপাদান হলো প্রাণের চর্বি বা ট্যালো। ধারণা তো গরু, ভেড়া ও শূকরের চর্বি থেকে এই টালো সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া কিছু লিপস্টিক এ মাছের তেলও ব্যবহৃত হয়। যা ঠোঁটকে মসৃণ রাখে এবং আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।প্রাণীর চর্বি লিপস্টিক কে দীর্ঘস্থায়ী করে এবং চকচকে ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে।


তবে এ ধরনের উপাদানের ব্যবহার ধর্মীয় ও নৈতিক কারণে অনেক মানুষে পণ্যগুলো ব্যবহার করতে অনিচ্ছুক হন। বিশেষ করে মুসলিম, হিন্দু বা ভেগান জীবনধারায় বিশ্বাসীরা প্রাণীর চর্বি থেকে তৈরি প্রশাসনে এড়িয়ে চলেন। এ কারণে অনেক ব্র্যান্ড এখন ঐতিহ্য তেল, মোম ও প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি লিপিস্টিক বাজারে আনছে। ছি তাই সচেতন বক্তা হিসেবে আমাদের উচিত কেনার আগে লিপিস্টিকের উপাদান তালিকা পড়ে নেওয়া এবং আমাদের বিশ্বাস ও স্বাস্থ্য অনুযায়ী পণ্যনির্বাচন করা।

লিপস্টিক তৈরিতে কখনো কখনো গরুর চর্বি ব্যবহার করা হয়

টি খোলো একটি জনপ্রিয় প্রসাধনী দ্রব্য, রাঙানোর পাশাপাশি ফোটে সৌন্দর্য আর্দ্রতা বজায় রাখে। এই লিবিসটিক তৈরিতে ব্যবহৃত উপাদান গুলোর মধ্যে একটি হলো গরুর চর্বি, যার সাধারণত টালো নামে পরিচিত। ট্যালও হচ্ছে পরিশোধিত প্রাণের চর্বি, যা গরুর চর্বি গুলিয়ে তৈরি করা হয় এবং একটি প্রসাধন শিল্পে বহু বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গরুর চর্বি লিপস্টিকে ব্যবহৃত হয় মূলত তার মসৃণতা, দায়িত্ব এবং ঠোঁটে একটি কোমল ও চোখ থেকে ভাবানোর জন্য। এটি ঠোঁটকে ফাটা ও শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং দীর্ঘ সময় ধরে লিপিস্টিক স্থায়ী রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া গরুর চর্বি সহজলভ্য ও তুলনামূলকভাবে কম খরচে পাওয়া যায়, যার ফলে অনেক সাধারণ মানের লিপিস্টিকে এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

তবে গরুর চর্বি ব্যবহার নিয়ে কিছু বিতর্ক রয়েছে। ধর্মীয় ও নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনেকে এই ধরনের উপাদান ব্যবহার করা পছন্দ করেন না। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে হালাল প্রসাধন সামগ্রীর চাহিদা বাড়ছে, যেখানেও গরুর চর্বি ব্যবহারের উৎস নিশ্চিত করতে হয়। নিরামিষ বুঝি ব্যক্তিরাও প্রাণের উৎসের উপাদান এড়িয়ে চলার পক্ষপাতী। বর্তমানে অনেক প্রসাধনী প্রতিষ্ঠান প্রাণের চর্বির পরিবর্তে উদ্ভিজ্জ তেল ও প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে লিপিস্টিক তৈরি করছে। ভোক্তাদের সচেতনভাবে লিপস্টিক কেনার সময় উঠানো তালিকা দেখে নেয়া উচিত যাতে তারা নিজেদের বিশ্বাস, পছন্দ ও চাহিদার সঙ্গে মিলিয়ে পণ্যটি ব্যবহার করতে পারেন।

শুকরের চর্বি ও কিছু লিপস্টিকের উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে

লিফট তৈরিতে শুকরের চর্বি ব্যবহার-লিপিস্টিক প্রসাধন জগতে একটি বহুল ব্যবহৃত পণ্য, যা নারীদের দৈনন্দিন সাজগোজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে এর উপাদানগুলোর সম্পর্কে অনেকে সচেতন নয়। এমন কিছু ব্যবহার করা হয় যেগুলোর উৎস অনেক সময় প্রাণী হতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো শুকর এর চর্বি, যা অনেক সময় লিপিস্টিকের গঠন মুসলিম রাখতে এবং ঠোঁটকে কোমলও আর আর্দ্র রাখতে ব্যবহৃত হয়। সকলের চর্বি থেকে প্রক্রিয়াজাত তৈরি লার্ড নামাক উপাদানটি ত্বকের সহজে মিশে যায় এবং ঠোঁটের দীর্ঘস্থায়ী মসৃণিত প্রদান করে। এই চর্বি অনেক সময় লিপিস্টিকের ঘনত্ব বাড়ানো ঠোঁটে দীর্ঘক্ষন রঙ ধরে রাখার প্রাকৃতিক উচ্চতা বজায় রাখতে সহায়তা করে


বিশেষ করে কম দামের বা সাধারণ ব্র্যান্ডগুলোর কিছু লিপস্টিক এই উপাদানটি ব্যবহৃত হতে পারে কারণ এটি তুলনামূলকভাবে সস্তা এবং সহজলভ্য। তবে সুখের চর্বি নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে একটি মুসলিম ও ইহুদি ধর্মালম্বীদের জন্য স্পর্শকাতর একটি বিষয়। ইসলাম ধর্মের শুকুরের চর্বি হারাম হিসেবে গণ্য হওয়ায় মুসলিমরা সাধারণত এই ধরনের পণ্য এড়িয়ে চলতে চান। এছাড়াও, যেসব মানুষ ভেগান বা নিরামিষভোজি জীবন ধারা অনুসরণ করেন তারাও প্রাণিজ উৎস থেকে তৈরি প্রসাধনী ব্যবহার করতে অনিচ্ছুক।

ভেড়ার চর্বি ব্যবহৃত হয় ঠোঁট নরম রাখতে ও চটচটে ভাব আনতে

চর্বি ব্যবহৃত হয় ঠোঁট নরম রাখতে ও চচ্চটি ভাব আনতে--লিপিস্টিকের অন্যতম কাজ হলো ফুট রঙিন করার পাশাপাশি একে কোমল ও আদ্র রাখা। এই উদ্দেশ্যে লিপস্টিক তৈরীর সময় বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়, যার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ফেরার চর্বি। এই চর্বি সাধারণত লেনোলিন নামে পরিচিত, যারা ভেড়ার চামড়ার গ্রন্থি থেকে প্রাকৃতিকভাবে সংগ্রহ করা হয়। এটি চর্বি জাতীয় পদার্থ হল ভেরাকে হত্যা না করে সংগ্রহ করা যায়,তাইএটি তুলনামূলকভাবে নরম এবং কম বিতর্কিত একটি উপাদান। ভেড়ার চর্বি বা লেনোনীল ব্যবহারের প্রধান উদ্দেশ্য হল ঠোঁটের তোকে প্রয়োজনীয় যোগানো।

লিপিস্টিকে লেলনিন লেলনিন ল্যানোলিন যুক্ত করলে তা আরো বেশি চকচকে  হয়ে থাকে। ঠোঁটে লাগালে আরাম দেওয়ার কোন ক্ষতি হয়। বিশেষ করে শুষ্ক আবহাওয়ায়, যখন ঠোঁট ফেটে যায় বা রুক্ষ হয়ে যায়, তখন লেনোলিন-যুক্ত লিপস্টিক দ্রুত আরাম ও সুরক্ষা প্রদান করে। তবে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে লেনোলিন এলার্জির কারণ হতে পারে, তাই যাদের সংবেদন শিল্প রয়েছে তাদের সাবধানে ব্যবহার করা উচিত। বর্তমানে অনেক ব্যান্ড বিকল্প উদ্ভিজ্জ তেল বা মোম ব্যবহার করছে লেনো নিন একটি অগ্রহণযোগ্য উপাদান হতে পারে না তাদের জন্য। তবুও ভেড়ার চর্বি দীর্ঘদিন ধরে একটি কার্যকর ও জনপ্রিয় উপাদান হিসেবে লিপিস্টিকসহ নানা ব্যবহারিত হয়ে আসছে।

এসব প্রাণীর চর্বি মূলত টালো নামে পরিচিত যা প্রসাধনী শিল্পে প্রচলিত

প্রসাধুনিক ব্যবহৃত অনেক উপাদানের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বহুল ব্যবহৃত উপাদান হলো টালো। টালো হলো তো গরু ভেড়া বা কখনো শুকরের চর্বি থেকে প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি এক ধরনের পরিশোধিত চর্বি। এটি দেখতে সাদা বা হালকা হলুদ রঙের মোমের মত, এবং এটি দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় ও সহজে গলে যায়। টালো শতাব্দীর পর শতাব্দি ধরে  বিভিন্ন শিল্পে, বিশেষ করে সাবান, মোমবাতি এবং প্রসাধনে তৈরিতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। লিপিস্টিক, ফাউন্ডেশন, এবং বডি লোশন এর মত অনেক প্রসাধনী পণ্যের টালো ব্যবহৃত হয।

টালো একটি প্রাণিজ উপাদান হওয়ায় এর ব্যবহার নিয়ে কিছু বিতর্ক রয়েছে। হিন্দু ইহুদি ধর্মালম্বীদের মধ্যে অনেকে ধর্মীয় কারণে এ ধরনের উপাদান এড়িয়ে চলতে চান, বিশেষত যদি এর উৎস নিশ্চিত না হয়।একইভাবে, যার ভেগান বা নিরামিষ বুঝি জীবন ধার অনুসরণ করেন, তারাও ব্যবহার করতে অনিচ্ছুক টালো ভিত্তিক পণ্য। অনেক প্রসাদনী পণ্যে একটি কার্য কর জনপ্রিয় উপাদান হিসেবে বিবেচিত সেটা হল টালো। বিশেষ করে যেসব পণ্যের লক্ষ্য হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী আদ্রতা ও চামড়ায় কোমল ভাব আনা। সচেতনভুক্ত হিসেবে আমাদের উচিত লেভেল পড়ে যাচাই করে নেয়া, যাতে নিজের বিশ্বাস ও প্রয়োজন নির্বাচন করা যায়।

ট্যালো লিপিস্টিক কে দীর্ঘস্থায়ী এবং মুসলিম ডাক্তারের সাহায্য করে

লিপিস্টিক কোন প্রাণী চর্বি দিয়ে তৈরি--ট্যালো লিপিস্টিক কে দীর্ঘস্থায়ী এবং মুসলিম ডাক্তারের সাহায্য করে-এ বিষয়ে আমরা এখন জানবঃ
লিপস্টিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ট্যালো। যা গরু , ভেড়া বা শুকুরের চর্বি থেকে তৈরি একটি প্রক্রিয়া যা চর্বি। এটি লিবিসটিক কে দীর্ঘস্থায়ী করতে, আনতে ও আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। টালো সহজে গোলে না এবং ঠোঁটে লম্বা সময় ধরে রং ও কোমলতা বজায় রাখে, এজন্য প্রসাধনী শিল্পী এর ব্যবহার ব্যাপক। তবে মুসলিমদের জন্য বিতর্কিত হতে পারে। ইসলামিক শরীয়ত মতে, যদি 13 হালাল পশু থেকে আসে তাহলে তা ব্যবহারযোগ্য হতে পারে। শুকর থেকে আসে বা হালাল উপায়ে জবাহ না করা পশু থেকে সংগৃহীত হয়, তাহলে তা ব্যবহারযোগ্য হতে পারে না।

অনেক মুসলিম সকল ইসলামিক স্কলার এ বিষয়ের মতামত দিয়েছেন যে, মুসলিমদের উচিত হালাল ও পরিচ্ছন্ন উপাদানযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করা। ত্বকের যত্নের পাশাপাশি, ধর্মীয় দৃষ্টি কোন বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন। তাই যারা ইসলামের জীবনের অনুসারী, তাদের জন্য উপযুক্ত পণ্য নির্বাচন করতে হালাল সার্টিফাইড কসমেটিক ব্যবহার করা উত্তম। বর্তমানে অনেক হালাল কোম্পানি আছে, যা মুসলিম বক্তাদের জন্য আরও নিরাপদ ও গ্রহণযোগ্য। মুসলিম ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী, লিপিস্টিক কেনার সময় উপাদান তালিকা ভালোভাবে পড়ে নেওয়া এবং প্রয়োজনে হালাল লোগো আছে কিনা তা যাচাই করা উচিত।

মাছের তেল, বিশেষ করে পড লিভার অয়েল, কিছু লিফ প্রোডাক্ট ব্যবহৃত হয়

লিপিস্টিক কোন কোন প্রাণী চর্বি দিয়ে তৈরি--মাছের তেল, বিশেষ করে কড লিভার অয়েল। এটি সাধারণত কোর্ট মাছের বিভাগ থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও ডি,-৩ এসিড, জাতকের জন্য অত্যন্ত উপকার। যেমন লিবিসটিক, ব্লসে কদ লিভার অয়েল ব্যবহার করা হয় মূলত শুটের অতিরিক্ত শুষ্কতা অতিরিক্ত শুষ্কতা রোধ, ফাটা খুব দ্রুত সারিয়ে তোল্‌ এবং ফুটকে গভীরভাবে আদ্রতা দেওয়ার জন্য। এটি ঠোঁটে খুব দ্রুত শোষিত হয় এবং প্রাকৃতিক চকমক এবং কোমলতা বজায় রাখে। শীতকালে ঠোঁট কাটার সমস্যা বা রক্ষতা দূর করতে মাছের তেল যুক্ত লিভ প্রোডাক্ট গুলো বেশ কার্যকর।

তবে মাছের তেল ব্যবহারে কিছু বিশেষ সতর্ক থাকা জরুরি। মাদ জাতীয় উৎপাদনের কারো যদি এলার্জি থাকে, এসব পণ্য ব্যবহারে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাছাড়া যারা ভেগান বা নিরামিষ বুঝি জীবন ধারা অনুসরণ করেন তারা প্রাণের যে কোন উপাদান এড়িয়ে চলেন। ফলে কর্ড লিভার অয়েল তাদের জন্য গ্রহণযোগ্য হয়। বর্তমানে কিছু প্রসাধনে ব্র্যান্ড বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে তাদের পণ্যে পড লিভার অয়েল রয়েছে, বিশেষত যেসব পণ্য ঠোঁট বা ত্বকের চিকিৎসামূলক যত্নে ব্যবহৃত হয়। সঠিক ব্যবহৃত হলে, করলিভার ওয়েল যুক্ত লিড প্রোডাক্ট ফুটকে স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

যারা প্রাণিজ উপাদান এড়িয়ে চলেন, তাদের লিপিস্টিক কেনার সময় উপাদান তালিকা দেখা উচিত

লিপস্টিক কেনার সময় যারা প্রাণিজ উপাদান এড়িয়ে চলেন, তাদের লিপস্টিক কেনার সময় উপাদান তালিকা দেখা উচিত-বর্তমান যুগে অনেক মানুষ নিজস্ব নৈতিক বিশ্বাস, ধর্মীয় অনুশাসন বা স্বাস্থ্যগত কারণে প্রাণিজ উপাদান এড়িয়ে চলেন। বিশেষ করে ভেগান, বেশ বুঝি ও ধর্মবিশ্বাসীদের জন্য প্রসাধনী কেনার সময় উপাদান যাচাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। লিপস্টিকের মত ছোট্ট একটি দৈনন্দিন ব্যবহৃত প্রসাধনে অনেক সময় এমন উপাদান ব্যবহৃত হয় যা প্রাণিজ উৎস থেকে সংগৃহীত। লিপস্টিক তৈরিতে ব্যবহৃত সাধারণ প্রাণিজ উপাদানের মধ্যে রয়েছে ঃ
  • টালো-গরু বা ভেড়ার চর্বি থেকে তৈরি
  • লার্ড-শূকরের চর্বি 
  • লেনোলিন-ভেড়ার শরীর থেকে সংগৃহীত তেল
  • কড লিভার অয়েল-মাছের যকৃত থেকে প্রাপ্ত
  • বিটল ডাই-বোকা চূর্ণ করে তৈরি লাল রং
যারা প্রাণে উপাদান এড়িয়ে চলেন, তাদের জন্য কিছু পরামর্শঃ
উপাদান তালিকা ভালোভাবে পড়ুন
ভেগান বা হালাল সনদ আছে কিনা দেখুন
বিশ্বস্ত ও সচেতন ব্র্যান্ড বেছে নিন
প্রয়োজনের সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ওয়েবসাইট এ গিয়ে যাচাই করুন
মেডিকেল বা ধর্মীয় পরামর্শ নিন

বর্তমানে কিছু ব্র্যান্ড'' cruelty-free'' বা ''vegan'' লিপিস্টিক তৈরি করছে যাতে প্রাণীর চর্বি থাকে

সৌন্দর্য ও প্রসাধনী শিল্পে ভোক্তাদের চাহিদা এবং সচেতনতা আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়েছে। অনেক মানুষ এখন প্রাণিজ উপাদান এড়িয়ে চলছেন এবং প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা না করে তৈরি পণ্য ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন। এই কারণে অনেক আন্তর্জাতিক ও দেশীয় প্রসাধনী ভেগান লিপিস্টিক তৈরি করছে। পণ্যটি তৈরি বা পরীক্ষার সময় কোন প্রাণীর উপর নির্যাতন বা পরীক্ষা চালানো হয়নি। ভেগান-পণ্যটি তৈরি বা পরীক্ষার সময় কোন প্রাণীর উপর নির্যাতন বা পরীক্ষা চালানো হয়নি। পণ্যটিতে প্রাণী উপাদান যেমন গরুর চর্বি,ভেড়ার তেল ভেড়ার তেল পোকা থেকে তৈরি কার মাইন বা মাছের তেল ব্যবহার করা হয়নি। এই ধরনের লিপস্টিকে সাধারণত নিচের উপাদান গুলো ব্যবহার করা হয়ঃ
  • উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে প্রাপ্ত তেল ও মোম
  • প্রাকৃতিক রং ও সুগন্ধ উপাদান
  • প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় রাখা উপাদান
এই লিপস্টিক গুলো শুধু নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে নয় বরং সংবেদনশীলতা ও এলার্জি ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। ভেগান এবং ব্যবহারে  অনেক মানুষ এখন আত্মবিশ্বাসী বোধ করছেন কারণ এতে পরিবেশ, প্রাণী, এবং স্বাস্থ্য-সবকিছুর প্রতি সম্মান দেখানো হয়। বাংলাদেশেও কিছু ব্র্যান্ড ও অনলাইন স্টোর এখন এসব পণ্য আমদানি ও সরবরাহ করছে, যাতে করে সচেতন বক্তারা সহজে বিকল্প পণ্য পেতে পারেন। সুতরাং যারা প্রাণিজ উপাদান পরিহার করতে চান কিংবা নৈতিকভাবে সচেতন ব্যবহার করতে আগ্রহী তাদের জন্য কিছু ব্র্যান্ড'' cruelty-free'' বা ''vegan'' লিপিস্টিক একটি নিরাপদ। আধুনিক ও দায়িত্বশীল বিকল্প।

লেখকের শেষ কথা-মন্তব্য-লিপিস্টিক কোন কোন প্রাণী চর্বি দিয়ে তৈরি

লিপিস্টিক শুধুমাত্র একটি রঙিন প্রসাধনী নয় একটি একজন নারীর ব্যক্তিত্ব আত্মবিশ্বাস প্রকাশের একটি মাধ্যম। তবে এর উপাদান সম্পর্কে আমাদের সচেতনতা থাকা খুবই জরুরী। অনেক লিপস্টিক এ গরু,ভেড়া,শুকর এমনকি মাছের তেল বা পোকা নির্যাস এর মত প্রাণিজ উপাদান ব্যবহৃত হয় যা কিছু মানুষের ধর্মীয় নৈতিক বা স্বাস্থ্যগত দিক থেকে গ্রহণযোগ্য নয়। টালো ল্যানোলিন বা কারমিনের মত উপাদান গুলো অনেক সময় লেবেলে ভিন্ন নামে লুকিয়ে থাকে, যা সাধারণ ব্যবহারকারীর পক্ষে বুঝা কঠিন। তাই একজন ভোক্তা হিসেবে আমাদের উচিত লিপস্টিক কেনার আগে উপাতান তালিকার ভালোভাবে যাচাই করা এবং নিজের বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও ত্বকের উপযোগী পণ্য নির্বাচন করা। লিপিস্টিক যেন সৌন্দর্যের পাশাপাশি সচেতনারও প্রতিফলন ঘটায়-এমন আশা রাখি।

প্রিয় পাঠক, প্রসাদনী বিষয়ক প্রসাধনে প্রসাধনী বিষয়ক এই পুরো আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বাংলার ঘরে ঘরে এটি একটি অতি সাধারণ প্রসাধনী। তাই এই প্রসাধনের ব্যাপারে আমাদের জানাটা জরুরী ছিল। চমৎকারভাবে আমরা জেনে নিলাম এর মূল রহস্য গুলো। আশা করছি, আর্টিকেলের বিষয়টি যদি আপনার পরিবারে কাজে লাগে বা বন্ধু-বান্ধবদের বলার প্রয়োজন মনে করেন তাহলে দয়া করে আর্টিকেলটি শেয়ার করে দিবেন। মূল্যবান সময়ের মাঝে মাঝে এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন, বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল পেয়ে যাবেন এই ওয়েবসাইটে। নিত্যনতুন আর্টিকেল করতে আশা রাখছি আপনি উপকৃত হবেন এবং কিছুটা বিনোদন পাবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাসুদা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url