আড়ং ঘি: সুবাস, স্বাদ ও বিশ্বাসের এক নাম
বাংলার রান্নাঘরে ঘি মানেই ঐতিহ্য, আর সেই ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিক মান ও বিশুদ্ধতার সুন্দর মেলবন্ধন ঘটিয়েছে আড়ং ঘি। পোলাও, খিচুড়ি, কাচ্চি বিরিয়ানি থেকে শুরু করে সেমাই, হালুয়া—প্রায় সব বিশেষ পদেই এক চামচ ঘি যেন স্বাদ ও সুবাসকে আলাদা উচ্চতায় পৌঁছে দেয়। দেশের অন্যতম বিশ্বস্ত দুগ্ধব্র্যান্ড হিসেবে আড়ং ডেইরির ঘি তাই অনেকের প্রথম পছন্দ।
আড়ং ঘি জনপ্রিয় হওয়ার বড় কারণ তার স্থিতিশীল মান ও মনভোলানো সুবাস। এটি সাধারণত স্বর্ণালি রঙের, ঘন ও মসৃণ টেক্সচারের হয়—না অতিরিক্ত তীব্র, না আবার ম্লান; বরং রান্নার স্বাদকে বাড়িয়ে তোলে ভারসাম্য রেখে। গরম ভাতে এক চিমটি আড়ং ঘি মেখে খেলে যেমন বাড়ির মতো স্বাদ মেলে, তেমনই ভারী রান্নায়ও এটি তৈলাক্ততা বা ঝাঁঝ বাড়িয়ে দেয় না।
মানের দিক থেকে আড়ং ঘি পরিচ্ছন্নতা ও সঠিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুত করা হয়—এতে ঘির স্বাদ, রঙ ও টেক্সচার থাকে একরকম। ভালো প্যাকেজিংয়ের কারণে বাতাস ও আর্দ্রতা ভেতরে ঢোকে না, ফলে ঘির আসল সুবাস বজায় থাকে দীর্ঘদিন। দেশে সহজলভ্য হওয়ায় ভিন্ন ভিন্ন সাইজে কেনার সুবিধাও আছে, যা পরিবারের প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নেওয়া যায়।
পুষ্টিগুণের কথা বলতে গেলে, ঘি মূলত ফ্যাট এবং ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিনের (যেমন A, D, E, K) উৎস। উচ্চ স্মোক পয়েন্টের কারণে ভাজার বদলে টেম্পারিং বা ফিনিশিংয়ে এটি বেশ কার্যকর। তবে মনে রাখতে হবে—১ চা চামচ ঘিতে প্রায় ৪০–৪৫ ক্যালরি থাকে এবং এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটও আছে। তাই পরিমিতি বজায় রাখা জরুরি, বিশেষত যাদের কোলেস্টেরল বা হার্টের সমস্যা আছে, তারা ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলবেন।
রান্নায় আড়ং ঘির ব্যবহার:
পোলাও/বিরিয়ানি: ভাত বা মাংস দম দেওয়ার আগে ১–২ চা চামচ ঘি দিয়ে দিন।
ডাল তড়কা: রসুন, শুকনা লঙ্কা ও ঘি দিয়ে সহজ তড়কায় অনন্য সুবাস।
মিষ্টান্ন: সেমাই, সুজি বা গাজরের হালুয়ায় ঘি ক্লাসিক রিচনেস আনে।
রুটি/পরোটা: কম তাপে শেষ ধাপে ব্রাশ করে দিলে নরম ও সুগন্ধি থাকে।
ভাতের সঙ্গে: গরম ভাত, একটু লবণ আর এক চিমটি ঘি—সরল অথচ তৃপ্তিকর।
সংরক্ষণের টিপস:
বাতাসরোধী কাচ/স্টিলের পাত্রে রাখুন; ঢাকনা ভালো করে বন্ধ রাখুন।
শুষ্ক, ঠান্ডা স্থানে রাখুন; সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলুন।
ভেজা চামচ ব্যবহার করবেন না—এতে নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
খুব গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় চাইলে ফ্রিজে রাখা যেতে পারে (গন্ধ আটকে রাখতে পাত্র ভালোভাবে সিল দিন)।
কেনার সময় যা দেখবেন:
সিল অক্ষত কি না, আর উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ।
প্যাকেজিংয়ে ব্র্যান্ডের হোলোগ্রাম/অফিশিয়াল মার্কিং।
প্রয়োজন অনুযায়ী সাইজ বাছাই—ছোট প্যাক দ্রুত শেষ হয়, তাই সুবাস টাটকা থাকে।
সব মিলিয়ে, আড়ং ঘি এমন এক দৈনন্দিন রান্নাঘরের সঙ্গী, যা স্বাদ ও সুবাসে এনে দেয় ধারাবাহিকতা। পরিমিত ব্যবহার, সঠিক সংরক্ষণ আর মানসম্মত ব্র্যান্ড বাছাই—এই তিনটি জিনিস মানলে আপনার প্রতিটি বিশেষ রান্নাই হয়ে উঠবে আরও স্মরণীয়।
মাসুদা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url